James Webb Space Telescope: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা, বড়দিনে যাত্রা শুরু জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের
হাব্বল স্পেস টেলিস্কোপের থেকেও বড় আকারে নির্মিত হয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। শুধু আকার-আয়তনেই নয় হাব্বলের তুলনায় এই নতুন স্পেস টেলিস্কোপ অনেক বেশি শক্তিশালী এবং ইনফ্রারেড দেখতে সক্ষম।
খারাপ আবহাওয়ার কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে হেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মিশন। নির্ধারিত সময়ের একদিন পর ক্রিসমাসের দিন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বর লঞ্চ হবে এই স্পেস টেলিস্কোপ। ফ্রেঞ্চ গুয়ানার Kourou স্পেসপোর্ট থেকে এই টেলিস্কোপের লঞ্চ সম্পন্ন হবে। এই অঞ্চলে হাই-উইন্ড বা উচ্চ-বায়ু বিশেষ ফ্যাক্টর বা বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। জানা গিয়েছে, ২৫ ডিসেম্বর শনিবার একটি Ariane ৫ রকেট উৎক্ষেপণ হবে। আর এই রকেটের মাধ্যমে মহাকাশে পৌঁছোবে আগামী প্রজন্মের স্পেস অবজারভেটরি বা মহাকাশ পর্যবেক্ষক।
এ যাবৎ যত স্পেস টেলিস্কোপ তৈরি করা হয়েছে, তার মধ্যে এই জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপই বৃহত্তম। এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৫,৩৩০ কোটি টাকা। মহাকাশ সম্পর্কে জ্যোতির্বিজ্ঞনীদের অসীম কৌতূহল নিবারণ করতেই এবার পাঠানো হচ্ছে এই জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা এবং ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি একত্রিত হয়ে এই টেলিস্কোপ নির্মাণ করেছে। বিগত ৩০ বছর ধরে স্পেস টেলিস্কোপের দুনিয়ায় সুস্পষ্ট ছাপ রেখেছে নাসার হাব্বল টেলিস্কোপ। একপ্রকার এর উত্তরাধিকার হিসেবেই জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ নির্মাণ করা হয়েছে। হাব্বর টেলিস্কোপের থেকেও গভীরে গিয়ে মহাকাশের পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হবে এই নতুন স্পেস টেলিস্কোপ। সেভাবেই এর ডিজাইন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ১৩.৫ বিলিয়ন বছরেরও আগের ঘটনাগুলি সনাক্ত করা হয়েছে।
বর্তমানে সমস্ত স্পেস টেলিস্কোপের মধ্যে হাব্বল টেলিস্কোপই সবচেয়ে শক্তিশালী। প্রায় ৩০ বছর ধরে কার্যকর রয়েছে এই টেলিস্কোপ। এত দীর্ঘ দিন ধরে কার্যকর হওয়ার ফলে এর বয়স হয়েছে। আর তাই প্রয়োজন রিপ্লেসমেন্ট বা পরিবর্তন। সেই জন্যই এই জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের আবিষ্কার করা হয়েছে। নাসা এবং ইএসএ একত্রিত হয়ে এই স্পেস টেলিস্কোপ নির্মাণ করেছে। হাব্বল স্পেস টেলিস্কোপের থেকেও বড় আকারে নির্মিত হয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। শুধু আকার-আয়তনেই নয় হাব্বলের তুলনায় এই নতুন স্পেস টেলিস্কোপ অনেক বেশি শক্তিশালী এবং ইনফ্রারেড দেখতে সক্ষম। সৌরমণ্ডল বা তার বাইরের বিভিন্ন দূরবর্তী গ্রহগুলির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে এই জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ সহায়তা করবে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
একটি ব্লগ পোস্টে নাসার তরফে জানানো হয়েছে ২৫ ডিসেম্বরই এই টেলিস্কোপ লঞ্চের বন্দোবস্ত করা হয়েছে ৩২ মিনিটের লঞ্চ প্রোগ্রাম চলবে। ভারতীয় সময় সন্ধে ৫টা ৫০মিনিটে শুরু হবে। পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে মহাকাশে পাঠানো হতে চলেছে এই স্পেস টেলিস্কোপটিকে। এই সফর সম্পন্ন হতে একমাস সময় লাগবে।
আরও পড়ুন- Earth Water: পৃথিবীর পৃষ্ঠদেশের জল সম্ভবত এসেছিল মহাকাশ থেকে, এমনটাই বিশ্বাস করছেন বিজ্ঞানীরা
আরও পড়ুন- Dinosaur Embryo: বিরল আবিষ্কার! জীবাশ্ম ডিমের ভিতর পাওয়া গিয়েছে ডায়নোসরের ভ্রূণ, অবাক জীবাশ্মবিদরাও