AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Flying Frog: দিব্যি উড়তে পারে, প্রাণ বাঁচাতে রঙ বদলায় গিরগিটির মতো; অদ্ভুতদর্শন ব্যাঙ দেখে আশ্চর্য বিজ্ঞানীরাও

Flying Frogs: এই উড়ন্ত ব্যাঙকে গ্লাইডিং ফ্রগও বলা হয়। এগুলি উজ্জ্বল লাল রঙের এবং শরীরে ছোট ছোট বিন্দু রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পাওয়া ব্যাঙগুলি বিজ্ঞানী আলফ্রেড আর ওয়ালেস খুঁজে পেয়েছিলেন। সদ্য নয়। সে অনেক আগের কথা। আর তারপর থেকেই এই উড়ন্ত ব্যাঙ 'ওয়ালেসের ব্যাঙ' নামে পরিচিত।

Flying Frog: দিব্যি উড়তে পারে, প্রাণ বাঁচাতে রঙ বদলায় গিরগিটির মতো; অদ্ভুতদর্শন ব্যাঙ দেখে আশ্চর্য বিজ্ঞানীরাও
| Edited By: | Updated on: Oct 22, 2023 | 9:00 AM
Share

মৃত্যুকে কে ভয় পায় না বলুন তো? মানুষ হোক বা প্রাণী, বিপদ বুঝলে নিজেদের রক্ষা করার প্রাণপণ চেষ্টা করে। শত্রুর আক্রমণ এড়াতে তারা নানা কৌশল অবলম্বন করে। পৃথিবীতে ক’টা প্রাণীই বা আপনার পরিচিত। বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত কোনও না কোনও অদ্ভুত প্রাণীর খোঁজ করে চলেছেন। তাদের আচার আচরণও সেই প্রজাতির অন্য প্রাণীদের থেকে আলাদা। তেমনই একটি ব্যাঙের খোঁজ মিলেছে। সে কি না উড়তে পারে। মানে ‘উড়ন্ত ব্যাঙ’। শুনেছেন আগে কখনও? হয়তো শুনে থাকবেন। কিন্তু এই প্রজাতির ব্যাঙটিতে আরও অনেক বৈশিষ্ট আছে, যা একে সবার থেকে আলাদা করে। আপনি শুনলে অবাক হবেন, এটি শিকারী থেকে বাঁচতে দ্রুত তার রঙ পরিবর্তন করে। নিশ্চয়ই ভাবছেন, দেখতে ব্যাঙ, অথচ আচরণ গিরগিটির মতো। আর কী জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

এর নাম কী জানেন?

এই উড়ন্ত ব্যাঙকে গ্লাইডিং ফ্রগও বলা হয়। এগুলি উজ্জ্বল লাল রঙের এবং শরীরে ছোট ছোট বিন্দু রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পাওয়া ব্যাঙগুলি বিজ্ঞানী আলফ্রেড আর ওয়ালেস খুঁজে পেয়েছিলেন। সদ্য নয়। সে অনেক আগের কথা। আর তারপর থেকেই এই উড়ন্ত ব্যাঙ ‘ওয়ালেসের ব্যাঙ’ নামে পরিচিত। এএফএফআই (AFFI)-এর মতে, এই ব্যাঙগুলির উপর বহুদিন ধরে গবেষণা চলছে। তার সেই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তারা যে কোনও বিপদ টের পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের রঙ পরিবর্তন করে ফেলতে পারে। এই কারণে শিকারী প্রাণীর চোখ এড়িয়ে যেতে পারে।

বহুদিন ধরে চলছে গবেষণা-

ওয়ালেসের ব্যাঙের আচরণ বোঝার জন্য ভিয়েনার শোরব্রুন চিড়িয়াখানায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছিল, আর তা বহুদিন ধরেই চলছে। ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সুজান স্টাকলার জানান, এই ব্যাঙের প্রজাতি বিশ্বাস করে যে, কেউ তাদের দেখতে পায় না। তাই শিকার করতে পারে না। এই গবেষণাটি বিহেভিওরাল ইকোলজি এবং সোসিওবায়োলজিতেও প্রকাশিত হয়েছে।

কীভাবে গবেষণা চালানো হচ্ছে?

গবেষকরা মোমের তৈরি বিভিন্ন রঙের ব্যাঙ একটি বাড়িতে রেখেছিলেন যেখানে শিকারী প্রাণীও ছিল। তারপর গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, শিকারী প্রাণীরা লাল রঙের ব্যাঙকে বেশি আক্রমণ করছে। তবে সবুজ রঙের ব্যাঙের উপর আক্রমণের গতি কম ছিল।