Lunar Soil: চাঁদের মাটি থেকে তৈরি হবে অক্সিজেন-জ্বালানি, নতুন তথ্য জানালেন চিনের গবেষকরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sohini chakrabarty

May 09, 2022 | 4:26 PM

Lunar Soil: অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়াও এই 'এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ফটোসিন্থেসিস' স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে চাঁদের মাটি থেকে হাইড্রোকার্বন যেমন মিথন নিষ্কাশন সম্ভব যা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

Lunar Soil: চাঁদের মাটি থেকে তৈরি হবে অক্সিজেন-জ্বালানি, নতুন তথ্য জানালেন চিনের গবেষকরা
চাঁদের পৃষ্ঠদেশ।

Follow Us

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরাই চন্দ্রপৃষ্ঠ (Lunar Surface) নিরীক্ষণের অভিযান চালাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। চাঁদের মাটি (Lunar Soil) মনুষ্য বসবাসযোগ্য হতে পারবে কিনা বা চাঁদের বুকে মানুষের উপস্থিতি স্থিতিশীল হবে কিনা সেই ব্যাপারেই চলছে গবেষণা। এর মধ্যেই চিনের একদল গবেষক দাবি করেছেন চাঁদের মাটির মধ্যে নাকি অক্সিজেন এবং জ্বালানি তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে। ওই গবেষকদের কথায় চাঁদের মাটিতে এমন এক সক্রিয় যৌগ রয়েছে যা কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে অক্সিজেন এবং জ্বালানিতে রূপান্তরিত করতে পারে। এই আবিষ্কারের মাধ্যমে অনুমান করা হচ্ছে যে চন্দ্রপৃষ্ঠে যে মাটি রয়েছে তা হাইড্রোজেন এবং মিথেন পাওয়ার ক্ষেত্রেও কাজে লাগানো যেতে পারে। আর এর ফলে চাঁদের মাটিতে বসবাসের বিষয়টি অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে। চিনের ওই গবেষকদের দল এও বলেছে যে এর ফলে চাঁদের চারপাশে একটি শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি হবে।

চিনের গবেষকরা তাঁদের গবেষণায় জানিয়েছেন এমন একটি সিস্টেম বা পদ্ধতি ডিজাইন করা প্রয়োজন যার মাধ্যমে চাঁদের মাটি এবং সৌর বিকিরণ থেকে অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি করা সম্ভব হবে। ওই গবেষকরা এই নতুন পদ্ধতি বা ডিজাইনকে বলছেন, ‘এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ফটোসিন্থেসিস’ স্ট্র্যাটেজি। চিনের Chang’e 5 স্পেসক্র্যাফট অর্থাৎ মহাকাশযানের মাধ্যমে চাঁদের পৃষ্ঠদেশ থেকে মাটি আনা হয়েছিল। সেই মাটির নমুনা পরীক্ষা করে চিনের নানজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেটেরিয়াল সায়েন্টিস্ট ইয়াংফাং ইয়াও এবং ঝিগাং ঝাউ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে চাঁদের মাটিতে রয়েছে বিভিন্ন কমপাউন্ড বা যৌগ। এর মধ্যে আয়রন রিচ এবং টাইটেনিয়াম রিচ উপাদানও রয়েছে। আর এইসব উপাদান অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরির ক্ষেত্রে ক্যাটালিস্ট বা অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।

অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়াও এই ‘এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ফটোসিন্থেসিস’ স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে চাঁদের মাটি থেকে হাইড্রোকার্বন যেমন মিথন নিষ্কাশন সম্ভব যা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হবে। গবেষকরা জানিয়েছেন সূর্যালোক ছাড়া বাইরের আর কোনও শক্তি এই পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত হয় না অর্থাৎ কাজে লাগে না। এর আগেও চাঁদের মাটিতে মানুষের স্থিতিশীল উপস্থিতি বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে। তবে সেগুলোর সবক্ষেত্রেই বাইরে থেকে অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হতো। পৃথিবী থেকে এইসব শক্তি পাওয়ার পদ্ধতি যুক্ত ছিল। এর ফলে পৃথিবীর বাইরে অন্য কোথাও মনুষ্য বসবাসের খরচ বেড়ে যায়। তবে এই প্রথম এমন একটি পদ্ধতি পাওয়া গিয়েছে সেখানে সূর্যরশ্মি ছাড়া আর কিছু প্রয়োজন নেই। ফলে খরচ অনেক কম।

Next Article