New Research On Indian Dams: 2050 সালের মধ্যে ভারতের প্রায় 3,700 বাঁধ (Dams) 26 শতাংশ সংরক্ষণ বা জল ধরে রাখার ক্ষমতা (Storage Capacity) হারাতে চলেছে। মূলত বাঁধগুলিতে পলি জমার কারণই ধারণ ক্ষমতা হারাচ্ছে। এই পরিস্থিতি আগামীদিনে জল সুরক্ষা, সেচ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। রাষ্ট্রসংঘের একটি সমীক্ষায় এমনই একটি রিপোর্ট উঠে এসেছে, যা রীতিমতো উদ্বেগের কারণ। একটা সময় ছিল যখন বাঁধ নির্মাণকে বিশাল এলাকার উন্নয়নের চাবিকাঠি বলে মনে করা হতো। দীর্ঘদিন ধরেই বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদ চলছে। জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ ওয়াটার, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হেলথের একটি নতুন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে 2050 সালের মধ্যে ভারতীয় বাঁধগুলি তাদের সঞ্চয় ক্ষমতার 26 শতাংশ হারাবে এবং সারা বিশ্বে বাঁধগুলি কমবেশি একই অবস্থায় থাকবে। ইতিমধ্যেই 16 শতাংশ সঞ্চয় ক্ষমতা হারিয়েছে ভারতীয় বাঁধগুলি।
জাতিসংঘের INWEH এর পরিচালক ভ্লাদিমির স্মাখতিন বলেছেন, “যেভাবে বাঁধের ক্ষমতা যেভাবে হ্রাস পাচ্ছে, তাতে আমাদের এই সমস্য়ার সমাধান নিয়ে ভাবতে হবে। কারণ বাঁধগুলি কেবল আশেপাশের অঞ্চলগুলিতে সেচের জন্য জল সরবরাহ করে না, প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎও তৈরি করে।” এই গবেষণার সহ-লেখক ডঃ ডুমিন্ডা পেরেরা বলেছেন, এভাবে বাঁধের ক্ষমতা যেভাবে হ্রাস পেতে থাকলে 2050 সালের মধ্যে জাতীয় অর্থনীতি, সেচ, জলশক্তি উৎপাদন, এমনকি বিশ্বের অনেক দেশের জল সরবরাহে বিশেষ সমস্য়া দেখা দেবে।”
ইউনাইটেড নেশনস ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অন ওয়াটার, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হেলথ (ইউএনইউ-আইএনডব্লিউইএইচ) এর গবেষণায় দেখা গিয়েছে 150টি দেশে 47,403টি বড় বাঁধে 6,316 বিলিয়ন ঘনমিটার প্রাথমিক বৈশ্বিক সঞ্চয়ন হ্রাস পাবে। 2050 সালের মধ্যে, যে দেশগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেগুলি হল যুক্তরাজ্য, পানামা, আয়ারল্যান্ড, জাপান এবং সেশেলস। যাদের বাঁধগুলি তাদের মূল ক্ষমতার 35 থেকে 50 শতাংশ হারাবে। অন্যদিকে, ভুটান, কম্বোডিয়া, ইথিওপিয়া, গিনি এবং নাইজার সবচেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্থ দেশের মধ্যে থাকবে। এই দেশগুলিতে, শতাব্দীর মাঝামাঝি নাগাদ, বাঁধগুলির সংরক্ষণ ক্ষমতা মাত্র 15 শতাংশেরও কম হ্রাস পাবে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাঁধের দেশ চিন। চিন জলাধারে সংরক্ষণের ক্ষমতা প্রায় 10 শতাংশ হারিয়েছে। আগামী 2050 সালের মধ্যে আরও 10 শতাংশ হারাতে চলেছে। এই সমীক্ষায় ভারতের প্রায় 3700টি বিশাল বাঁধকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাই সেখানে বিশ্বের 150টি দেশের 47000টি বাঁধ নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। ইউরোপের কথা বললে, 42টি ইউরোপীয় দেশে 6651টি বিশাল বাঁধের প্রাথমিক স্টোরেজ ক্ষমতা ছিল 895 বিলিয়ন ঘনমিটার। এলাকাটি ইতিমধ্যে তার আয়তনের 19 শতাংশ হারিয়েছে এবং 2030 সালের মধ্যে 21 শতাংশ হারাতে হবে এবং 2050 সালের মধ্যে 28 শতাংশে পৌঁছাবে।