মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity তার ষষ্ঠ উড়ানের জন্য তৈরি হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে মঙ্গলগ্রহের বুকে ফের উড়বে এই কপ্টার। গত ৭ মে ছিল মার্স হেলিকপ্টারের পঞ্চম উড়ান। এই ওয়ান ওয়ে বা একমুখী সফরে ৪২৩ ফুট (১২৯ মিটার) সফর করেছিল Ingenuity। প্রায় ৩৩ ফুট (১০ মিটার) উঁচুতে উঠেছিল এই হেলিকপ্টার। মার্কিন স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে, ৬ নম্বর উড়ানের দিন প্রথমবারের জন্য হেলিকপ্টার ওড়ার সময়েই অপারেশনের ধারা বিবরণী দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি উড়ানের সময় একাধিক সারফেস ফিচার পর্যবেক্ষণ করা এবং সম্পূর্ণ নতুন একটি এয়ারফিল্ডে অবতরণ করবে হেলিকপ্টার।
ষষ্ঠ উড়ানের ক্ষেত্রে এই প্রথমবার সবটাই নিয়ন্ত্রণ করবে মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity। মার্স হেলিকপ্টারের উপর রোভার পারসিভের্যান্সের কোনও নজরদারি থাকবে না। এর আগের ৫টি উড়ানের ক্ষেত্রে অবশ্য রোভার পারসিভের্যান্সই Ingenuity- র সমস্ত ছবি, ভিডিয়ো শেয়ার করেছিল।
নাসার তরফে জানানো হয়েছে ৬ নম্বর উড়ানের সময় হেলিকপ্টার Ingenuity দক্ষিণ পশ্চিমে ৪৯২ ফুট (১৫০ মিটার) অগ্রসর হতে পারে। তার সঙ্গে ৩৩ ফুট (১০ মিটার) উঁচুতে উঠতে পারে। নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করার পর ওই এলাকার রঙিন ছবি সংগ্রহ করবে হেলিকপ্টারে থাকা ক্যামেরা। দক্ষিণ ভাগের ১৫ থেকে ২০ মিটার এলাকায় চলতে পারে এই পর্যবেক্ষণ। মার্স মিশনের ওয়েবসাইটে এমনটাই জানিয়েছেন নাসা কর্তৃপক্ষ।
স্যান্ড রিপল বা বালির ছোট ঢিপি, উজ্জ্বল পাথরের প্রতিচ্ছবি এইসব ধরা পড়তে পারে Ingenuity- এর ছবিতে। এর সাহায্যে ভবিষ্যতে এই এলাকায় অভিযান করার গুরুত্ব কতটা, তা বোঝা যাবে। হেলিকপ্টারে থাকা রোটরক্র্যাফটের সাহায্যে এইসব ছবি সংগ্রহ করা হবে। সমস্ত ছবি সংগ্রহে আসার পর উত্তর পূর্ব দিকে ১৬৪ ফুট বা ৫০ মিটার উড়ে যাবে Ingenuity। তারপর নতুন এলাকা ‘ফিল্ড সি’- তে অবতরণ করবে। এখান থেকেই আগামী দিনের বিভিন্ন কাজকর্ম হবে বলে শোনা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- লালগ্রহে পাড়ি দিতে চান? সাহায্য করতে পারে অ্যাকোরিয়ামের এই পুঁচকে মাছ
এই ষষ্ঠ উড়ানের ক্ষেত্রে মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity- র গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ৪ মিটার থাকবে বলে অনুমান করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করার জন্য মোট ১৪০ সেকেন্ড সময় লাগতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই উড়ানেই প্রথমবার রোটরক্র্যাফট ওড়ার সময় এলাকা পর্যবেক্ষণ করার আগেই লালগ্রহের পৃষ্ঠদেশ ছুঁয়ে ফেলবে। আপাতত আগের পাঁচটি উড়ানের মতোই ষষ্ঠ উড়ানেরও সাফল্যের আশায় প্রহর গুনছেন নাসার বৈজ্ঞানিকরা।