NASA’s Mars Rover: রোভারের পাঠানো এই প্যানোরোমা ছবিটি দেখুন আর লাল গ্রহের রূপ দেখে বিস্মিত হয়ে যান

রোভারটি মাউন্ট শার্প নামক একটি মার্শিয়ান পর্বতের উপরে উঠেছিল। এই পর্বত লাল গ্রহের গ্যাল ক্র্যাটারে ৯৬ মাইল প্রশস্ত জায়গা জুড়ে অবস্থান করেছে।

NASA's Mars Rover: রোভারের পাঠানো এই প্যানোরোমা ছবিটি দেখুন আর লাল গ্রহের রূপ দেখে বিস্মিত হয়ে যান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2021 | 1:51 PM

পৃথিবীর সাধারণ দর্শক অর্থাৎ আমাদের কাছে মার্স বা মঙ্গল বা লাল গ্রহের রহস্য প্রতিদিন অল্প অল্প করে কমছে। নাসার কিউরিওসিটি মার্স রোভারকে সেজন্য বিশেষ ধন্যবাদ। এই রোভার কর্তৃক প্রকাশিত নতুন ফটোগ্রাফ আবারও আমাদের বিস্ময়ের চরম সীমায় পৌঁছিয়ে দিতে সফল হয়েছে। পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৯২.৭২ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরের একটি ক্ষতবিক্ষত পাহাড়ি অঞ্চলের প্যানোরমিক ভিউ আমরা পেয়েছি এই ছবির মাধ্যমে।

রোভারটি মাউন্ট শার্প নামক একটি মার্শিয়ান পর্বতের উপরে উঠেছিল। এই পর্বত লাল গ্রহের গ্যাল ক্র্যাটারে ৯৬ মাইল প্রশস্ত জায়গা জুড়ে অবস্থান করেছে। পর্বতটি প্রায় পাঁচ মাইল পর্যন্ত উঁচু। ছবিগুলি গত সপ্তাহে প্রকাশিত হয়েছে। জুলাইয়ের প্রথম দিকে এই ছবিগুলি তোলা হয়েছিল।

এই পার্বত্য অঞ্চল থেকেই প্যানোরামাতে এই ছবি ওঠা শুরু হয়। এছাড়াও আরো অনেক ছবি পাওয়া গেছে। এইসব ছবিতে সমতল আর পাথুরে ভূখণ্ড দেখা যাচ্ছে। এটা একটা বিশাল পার্বত্যভূমির মাঝ বরাবর একটা অঞ্চলে অবস্থান করেছে।

গবেষকরা বলছেন যে এই অঞ্চলটি এমন একটি জায়গায় অবস্থিত যেখানে সমৃদ্ধ মাটির খনিজ রয়েছে। এছাড়া মাটির ওপর একটি সালফেট পূর্ণ স্তরও রয়েছে। কাদামাটির পাথর এবং ডিপোজিট অতীতের কোন এক সময়ে জলের উপস্থিতি নির্দেশ করে।

রোভারের মাধ্যমে পাঠানো মাটির আরও নতুন নতুন নমুনা বিজ্ঞানীদের এই ভূখণ্ডের ইতিহাস উন্মোচন করতে সাহায্য করবে।

নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরিতে কিউরিওসিটির ডেপুটি প্রজেক্ট সাইন্টিস্ট অ্যাবিগেল ফ্রেম্যান বলেন, “এখানকার পাথরগুলো আমাদের বলতে শুরু করবে কীভাবে এককালের এই ভেজা গ্রহটি আজকের শুষ্ক মঙ্গল গ্রহে পরিবর্তিত হয়েছে। এছাড়াও, শুকনো হওয়ার সময় থেকে শুরু করে কতদিন পর্যন্ত এই গ্রহে বাসযোগ্য পরিবেশ বজায় ছিল সেটা বুঝতেও সাহায্য করবে।”

নাসার কিউরিওসিটি রোভার, যা ২০১২ সাল থেকে মঙ্গলে রয়েছে, তার বাহুতে প্যান্টুর তৈরি করার জন্য একটি ড্রিলিং মেশিন রয়েছে। এটি ভূতাত্ত্বিক নমুনা সংগ্রহের জন্য পাথরে ছিদ্র করতে সাহায্য করে।

রোভারটি গ্যাল ক্র্যাটার পরিদর্শন করা প্রায় সেশ করেছে। এটি এখন রাফায়েল নাভারো মাউন্টেনের মাঝামাঝি একটি পথ বরাবর এগিয়ে চলেছে। এই অঞ্চলের নাম একজন মৃত বিজ্ঞানীর নামে নামকরণ করা হয়েছে। এই অঞ্চলটি চারতলা বিল্ডিংয়ের চেয়েও উঁচু। আগামী দুই বছরের মধ্যে, কিউরিওসিটি গ্রিনহাউগ পেডিমেন্টে অবস্থানরত বালি পাথরের ঢাল পুনর্বিবেচনা করবে বলে জানানো হয়েছে।

রোভারটি এই দীর্ঘ আট বছরের দৈর্ঘ্যে মঙ্গল গ্রহের প্রায় ২৬ কিলোমিটার প্রদক্ষিণ করেছে এবং ৩২ রকমের পাথরের স্যাম্পল জোগাড় করেছে। নাসার (NASA) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “কিউরওসিটির ৩২ তম নমুনা যা ‘পন্টুরস’ নামে পরিচিত তাতে বোঝা যাবে কীভাবে মাটির এই বিশেষ অংশটিতে সালফেটের প্রভাব পড়েছিল। সালফেটের প্রভাবের কারণে মাটির ক্ষয় কেমন পরিমাণে হয়েছে তাও জানা যাবে।”

আরও পড়ুন: লাল-সবুজের মিশেলে উজ্জ্বল আলোকরশ্মি, দেখুন মনোমুগ্ধকর অরোরা লাইটের ছবি