AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

NASA’s Spacecraft: নাসার সৌরযান ফেঁসে গিয়েছিল সূর্য থেকে নির্গত প্লাজমায়, সৌরঝড়ে কী হাল হয়েছিল তার?

NASA's Parker Solar Probe: NASA-র মতে, যে ধরনের সৌর ঝড়ের মুখোমুখি যানটি হয়েছে, তাতে তার কাজ করা বন্ধ করে দেওয়ার কথা। কিন্তু তা সত্ত্বেও যে সে ভিডিয়ো করে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটিকে পাঠাতে পেরেছে, তা দেখেই অবাক বিজ্ঞানীরা।

NASA's Spacecraft: নাসার সৌরযান ফেঁসে গিয়েছিল সূর্য থেকে নির্গত প্লাজমায়, সৌরঝড়ে কী হাল হয়েছিল তার?
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2023 | 8:00 AM
Share

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার (NASA) মতে, তাদের একটি সৌরযান পার্কার সোলার প্রোব সূর্যের পরীক্ষা করার জন্য সৌর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছে। ঠিক সেই সময়ই যানটি শক্তিশালী করোনাল মাস ইজেকশনে আটকে পড়ে। করোনাল মাস ইজেকশন বা CME হল সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল থেকে চুম্বকীয় প্লাজমার বৃহৎ বিস্ফোরণ। সৌর বিস্ফোরণের পরে সূর্য থেকে প্রচুর পরিমাণে প্লাজমা বের হয়। আর তারপরেই তৈরি হয় সৌরঝড়। আর সেই সৌরঝড়ের একটি ভিডিয়োও তুলে NASA-কে পাঠিয়েছে পার্কার সোলার প্রোব। পার্কার সোলার প্রোব সৌর যানটি 5 সেপ্টেম্বর, 2022-এ সূর্যের কাছাকাছি যাওয়ার সময় এই ঘটনাটির একটি ভিডিয়ো করে পাঠায়।

পার্কার সোলার প্রোব যানটির কাজ কী?

পার্কার সোলার প্রোব 2018 সালে চালু হয়েছিল। এই মহাকাশযানের উদ্দেশ্য সূর্যকে পরীক্ষা করা। এটি এখন পর্যন্ত সূর্যের সবচেয়ে কাছে যাওয়া একটি মহাকাশযান। 28 এপ্রিল 2021-এ, এটি সূর্যের অনেক কাছাকাছি গিয়েছিল। এই সময়ে এটি করোনা, সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডলেও চলে যায়। এই মহাকাশযানটি 7 বছরে সূর্যের 24টি কক্ষপথ সম্পূর্ণ করবে। ঘণ্টায় 6 লাখ 92 হাজার কিলোমিটার গতিতে মহাকাশে ঘুরতে পারে।


NASA-র মতে, যে ধরনের সৌর ঝড়ের মুখোমুখি যানটি হয়েছে, তাতে তার কাজ করা বন্ধ করে দেওয়ার কথা। কিন্তু তা সত্ত্বেও যে সে ভিডিয়ো করে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটিকে পাঠাতে পেরেছে, তা দেখেই অবাক বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা এই ভিডিয়োটি দেখার পরে ঘটনাটিকে সোলার ম্যাক্সিমাম বলেছেন। এই সময়ে, সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্র তার সর্বনিম্ন স্তরে থাকে, যা পৃথিবীর জন্য একেবারেই ভাল নয়। কারণ চৌম্বক ক্ষেত্র থেকে সৌর বিকিরণ, সৌর শিখা এবং করোনাল মাস নির্গত হয়। তার সঙ্গে NASA এই সৌর ঝড়ের প্রভাব নিয়েও বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে।

সৌর ঝড়ের প্রভাব কী?

NASA এর মতে, সূর্যের গর্ত বা Sunspots হল এমন এলাকা, যা সূর্যের পৃষ্ঠের অন্ধকার জায়গা। সূর্যের দিকে তাকালে এটিকে অন্ধকার দেখায়। কারণ তারা পৃষ্ঠের অন্যান্য অংশের তুলনায় শীতল। এই দাগগুলি থেকে সৌর শিখা বের হয়। মহাকাশে তাদের থেকে প্রচুর প্লাজমা বেরিয়ে আসে। যদি এটি সরাসরি পৃথিবীতে আঘাত করে তবে এটি পৃথিবীর রেডিও সিগন্যালে সমস্যা হতে পারে। এমনকি স্যাটেলাইট, জিপিএস এবং পাওয়ার গ্রিডও কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে।