লক্ষ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীতে একটি গ্রহাণুর আঘাতে পৃথিবী থেকে ডাইনোসরের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। মানুষ এই পৃথিবীতে এসেছে অনেক পরে। এর আগে পৃথিবীতে অনেক প্রাণীর বিকাশ ঘটেছিল। তারপর তারা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়। ডাইনোসর এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। শুধু প্রমাণটাই অবশিষ্ট আছে, যা আজও বিদ্যমান। আমেরিকার সেন্ট্রাল টেক্সাসের ডাইনোসর ভ্যালি স্টেট পার্কে একটি নদী শুকিয়ে যাওয়ার পরে জীবাশ্মবিদ 113 মিলিয়ন বছরের পুরনো ডাইনোসরের পায়ের ছাপ খুঁজে পেয়েছেন।
জীবাশ্মবিদরা পোলকসি নদীর মাটি, জল ও কাদার নীচ থেকে এটিকে খুঁজে পেয়েছেন। গ্রীষ্মকালে নদীতে জলের স্তর অনেক নীচে চলে যায়। তবে এবার গরমের কারণে তা প্রায় শুকিয়েই এসেছে। জীবাশ্মবিদের একটি দল এখনও পর্যন্ত সেখানে 75টি নতুন পায়ের ছাপ খুঁজে বের করেছেন। সেই থেকে তাদের ধারণা, এই জায়গায় অনেক ডাইনোসরের বসবাস ছিল।
পার্কের সুপারি জেফ ডেভিস জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর গরম বেশি ছিল। বৃষ্টি কমে যাওয়ায় নদীর জলের উচ্চতা কমে গিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে তা প্রায় শুকিয়ে যায়। তারপরেই এক গবেষকের দল সেখানে আসেন। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ দেখতে পান। জীবাশ্মবিদের দল গবেষণার পর জানান, আবিষ্কৃত পায়ের ছাপ দু’টি ভিন্ন ধরনের ডাইনোসরের হতে পারে। প্রথম- যা প্রায় 15 ফুট লম্বা ছিল। ওজনে প্রায় 6350 কেজি ছিল। আর তিন পায়ের আঙুল ছিল। আর দ্বিতীয় হতে পারে প্রোটেলস ডাইনোসর। তিনি মাংসাশী ডাইনোসরের চেয়ে অনেক বড়। এর দৈর্ঘ্য 100 ফুট পর্যন্ত ধরা হয় এবং এর ওজন প্রায় 40 হাজার কেজি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, টেক্সাসের এই এলাকায় যখন ডাইনোসর বিচরণ করত, তখন মাটি ছিল কাদামাটি। ধীরে ধীরে মাটি শক্ত হয়ে চুনাপাথরে পরিণত হয়েছে। এ কারণে এতে ডাইনোসরের পায়ের ছাপ সেখানে থেকে গিয়েছে।