Penis Shaped Pendant: 2,000 বছর পুরনো রোমান যুগের পুরুষাঙ্গ আকৃতির বিরল পেনড্যান্ট উদ্ধার ব্রিটেনে, অনুসন্ধানকারীকে নিয়ে তীব্র হইচই!

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Jul 23, 2022 | 9:41 PM

একটা পুরুষাঙ্গ ঠিক যেমন হয়, এটিও হুবহু সেরকম, তবে ধাতব। এদিকে ব্রিটিশ মিউজিয়ামের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বস্তুটির নির্দিষ্ট টাইমলাইন সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। যদিও ইঙ্গিত মিলেছে যে, এটি রোমান যুগের সময়কালের।

Penis Shaped Pendant: 2,000 বছর পুরনো রোমান যুগের পুরুষাঙ্গ আকৃতির বিরল পেনড্যান্ট উদ্ধার ব্রিটেনে, অনুসন্ধানকারীকে নিয়ে তীব্র হইচই!
রোমান যুগের সেই লিঙ্গ আকৃতির পেনড্যান্ট।

Follow Us

ব্রিটেনের এক মেটাল ডিটেক্টরিস্ট পুরুষাঙ্গের আকারের একটি বিরল পেনড্যান্ট (Penis Shaped Pendant) বা ঝুলিয়ে রাখার বস্তু খুঁজে পেয়েছেন। ওই মেটাল ডিটেক্টরিস্ট (Metal Detectorist) জানিয়েছেন যে, এই বিরল পেনড্যান্টটি রোমান যুগের (Roman Era)। সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের রিপোর্টে সর্বপ্রথম এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যা নিয়ে সারা বিশ্বে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়।

2020 সালের নিউ ইয়ার ইভে গ্রেভসেন্ড এবং স্ট্রুডের কাছে হিহামের একটি খামারে মিস্টার থম্পসন নামের একজন অবসরপ্রাপ্ত এস্টেট এজেন্ট, যিনি একটি মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে একটি ক্ষেত্রকে উপরে এবং নীচে ঢেকে রাখার পরই বিরলতম এই বস্তুটি আবিষ্কারটি করা হয়েছিল। মাটি থেকে প্রায় আট ইঞ্চি নিচে এই বস্তুটির সন্ধান পেয়েছিলেন তিনি।

গত 26 মে মেডস্টোনের কাউন্টি হলে পরিচালিত একটি অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হয় এই পেনড্যান্টটিকে। সেখানে জানানো হয়, 1.2 ইঞ্চি লম্বা ঝুলিয়ে রাখার এই বস্তুটি রূপো দিয়ে তৈরি। 43AD এবং 410AD এর সময়কার এই বস্তুটিকে একটি সম্পদ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছিল।

রজার হ্যাচ নামের এক অনুসন্ধানকারী এই পেনড্যান্টের বিশদে বিবরণ দিয়ে জানাচ্ছেন, একটা পুরুষাঙ্গ ঠিক যেমন হয়, এটিও হুবহু সেরকম, তবে ধাতব। এদিকে ব্রিটিশ মিউজিয়ামের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বস্তুটির নির্দিষ্ট টাইমলাইন সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। যদিও ইঙ্গিত মিলেছে যে, এটি রোমান যুগের সময়কালের।

রোমান যুগের এই ধরনের পুরুষাঙ্গের মতো বস্তু এর আগেও একাধিক ব্রিটেন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট 451টি নথিভুক্ত ফ্যালিক অবজেক্টের সন্ধান মিলেছে সে দেশে। তবে রূপোর তৈরি এমন বস্তুর সন্ধান এই প্রথম মিলল।

রোমান শিল্প সাধারণত ফ্যালিক চিত্র প্রকাশের জন্য পরিচিত ছিল, যেখানে লিঙ্গকে শক্তি এবং পুরুষত্বের চিহ্ন হিসাবে দেখানো হয়েছে। সৈন্যরা প্রায়শই যুদ্ধজয়ে সৌভাগ্যের সন্ধানে ফ্যালাস আকৃতির তাবিজ পরিধান করতেন। শুধু তাই নয়। বাচ্চাদেরও খারাপ নজর এড়াতে এই জাতীয় ফ্যালাস আকৃতির লকেট বা কানের দুল দেওয়া হত।

আইন অনুসারে, মেটাল ডিটেক্টরিস্টদের অনুসন্ধানগুলি পাওয়া যাওয়ার 14 দিনের মধ্যে রিপোর্ট করতে হয়। যিনি এই পেনড্যান্টটি উদ্ধার করেছেন, তিনি এখনও এর মূল্য পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী, মূল্যায়নের পর এবং এই ধরনের বিরলতম ও পুরনো দিনের বস্তুগুলি একবার বিক্রি হলে সেই টাকা উদ্ধারকারী এবং জমির মালিকের মধ্যে ভাগ করা হয়।

একটি বিবৃতিতে মিস্টার থম্পসন দাবি করেছেন, “জিনিসটা মূল্যবান ঠিকই, তবে অর্থের প্রতি আমার কোনও মোহ নেই। এই জিনিসটার মূল্য যত না তার সৌন্দর্য বাড়িয়েছে, তার থেকেও বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে পিছনে থাকা ইতিহাসটা, যার রহস্য উন্মোচন এখনও করা সম্ভব হয়নি। এটা ভেবেও অবাক লাগছে যে, এই বস্তুটাতো এক সময় কারও কাছে ছিল।”

Next Article