Pluto Image: প্লুটোর ছবি শেয়ার করল NASA, ধরা পড়ল বামন গ্রহের ‘সত্যিকারের রং’

Pluto Latest Image: নাসা এবার প্লুটোর একটি আকর্ষণীয় ছবি শেয়ার করেছে। ওই ক্লোজ় আপে ধরা পড়েছে প্লুটোর সত্যিকারের রং। নিউ হরাইজ়ন মহাকাশযান দ্বারা এই ছবিটি তোলা হয়েছে। প্লুটো থেকে 22,025 মাইল (33,445 কিমি) দূরত্বে তোলা ছবিটি তার 'হার্ট' দেখিয়েছে, যা নাইট্রোজেন এবং মিথেন দিয়ে তৈরি একটি বিশাল হিমবাহ।

Pluto Image: প্লুটোর ছবি শেয়ার করল NASA, ধরা পড়ল বামন গ্রহের সত্যিকারের রং
প্লুটোর এই ছবিটিই শেয়ার করেছে নাসা। Image Credit source: NASA

| Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Nov 28, 2022 | 5:55 PM

প্লুটোর কথা নিশ্চয়ই মনে আছে? একদা যে গ্রহের পরিচিতি হয়েছিল সৌরজগতের নবম গ্রহ হিসেবে। কিন্তু 2006 সালে সেই গ্রহকেই বামন গ্রহে নামিয়ে দেওয়া হয়। তার কারণ, আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা ইউনিয়ন (IAU) দ্বারা বিবেচিত একটি পূর্ণ আকারের গ্রহের সমস্ত মানদণ্ড পূরণ করতে অক্ষম হয় গ্রহটি। তবে নাসা এবার প্লুটোর একটি আকর্ষণীয় ছবি শেয়ার করেছে। ওই ক্লোজ় আপে ধরা পড়েছে প্লুটোর সত্যিকারের রং। নিউ হরাইজ়ন মহাকাশযান দ্বারা এই ছবিটি তোলা হয়েছে। প্লুটো থেকে 22,025 মাইল (33,445 কিমি) দূরত্বে তোলা ছবিটি তার ‘হার্ট’ দেখিয়েছে, যা নাইট্রোজেন এবং মিথেন দিয়ে তৈরি একটি বিশাল হিমবাহ।

নাসা এই ছবি শেয়ার করে বলছে, “প্লুটোর তলে রয়েছে অজস্র ফাটল, গর্ত, ট্যান পড়েছে। সামগ্রিক ভাবে রঙিন সাদা হলেও একটা অংশ বাদামি-লাল।” বামন গ্রহের আংশিকভাবে দৃশ্যমান ‘হৃদয়’ হল ‘নাইট্রোজেন এবং মিথেন দিয়ে তৈরি একটি টেক্সাস-এবং-ওকলাহোমা-আকারের হিমবাহ।’ এদিকে, সাদা এবং ট্যান রংগুলি বাদামি-লাল পৃষ্ঠের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য উপরের দিকে তা দৃশ্যমান হয়েছে।


আয়তনের দিক থেকে প্লুটো 1,400 মাইলের সামান্য বেশি, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্থের প্রায় অর্ধেক বা চাঁদের প্রস্থের দুই তৃতীয়াংশ। ছোট এই গ্রহের পৃষ্ঠটি জল, নাইট্রোজেন এবং মিথেন দিয়ে তৈরি বরফাবৃত প্লুটোর কেন্দ্রটি পাথুরে বলে গবেষকরা জানিয়েছিলেন।

সম্ভাব্য গভীর সমুদ্রের গ্রহটির গড় তাপমাত্রা -387°F বা -232°C। আরও জানা গিয়েছে যে, প্লুটো অন্যান্য গ্রহের মতো ‘নিখুঁত বৃত্ত’ আকৃতির নয়। বরং অনেকটাই ডিম্বাকৃতির।

নিউ হরাইজনস প্রথম মহাকাশযান হিসেবে প্লুটোতে পাড়ি দিল। এটি 3.7 বিলিয়ন মাইল দূরত্বে প্রদক্ষিণ করে এবং কুইপার বেল্ট অন্বেষণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (NASA) তরফে বলা হচ্ছে, “এটি এমনই একটি অঞ্চল, যা আমাদের সৌরজগতের সৃষ্টি থেকে অবশিষ্ট ছোট ছোট বস্তুতে পূর্ণ বলে মনে করা হয়।”