ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বার্ড ফ্লু! প্রাণ গেল ভাল্লুকের; রয়েছে মানুষের শরীরে ঢোকার সম্ভাবনাও
Bird Flu: বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত যে কোনও মৃত পশুর আশপাশ দিয়ে গেলেও সেই ভাইরাস শরীরে ঢুকে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ভাল্লুকের ভিতরে পাওয়া গিয়েছে H5N1 বার্ড ইনফ্লুয়েঞ্জার স্ট্রেন। তবে এখনও বিজ্ঞানীরা সেই ভাল্লুককে নিয়ে গবেষণা করছেন।
বার্ড ফ্লু সম্পর্কে সাধারণ মানুষ কখন খবর পায় বলুন তো? যখন পোল্ট্রি মুরগির দাম হুড়মুড়িয়ে অনেকটা কমে যায়। তাছাড়া আর বিশেষ কোনও আগ্রহ দেখতে পাওয়া যায় না। মানুষ মনে করে বার্ড ফ্লুতে আর আমাদের কী হবে! এই ভাবনাই বদলে দিল এক ভাল্লুকের মৃত্যু। আর মৃত্যুর কারণ? বার্ড ফ্লু। এই প্রথম বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে একটি মেরু ভাল্লুক মারা গেল। কিন্তু প্রশ্ন হল কীভাবে এই ভাইরাস মেরু অঞ্চলে পৌঁছেছে? কারণ কী তবে জলবায়ু পরিবর্তন? যে ভাল্লুক বার্ড ফ্লুতে মারা গেল, সেই প্রজাতিটি উত্তর আলাস্কায় বাস করে। বিজ্ঞানীদের মতে, কয়েকদিন আগে ভাল্লুকটির মধ্যে বার্ড ফ্লুর লক্ষণ দেখা যায়। এরপর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই মারা গিয়েছে।
কীভাবে এই ভাইরাস মেরু ভাল্লুকের কাছে পৌঁছল?
বিজ্ঞানীদের মতে, কিছু পরিযায়ী পাখি এই সংক্রমণ আলাস্কার দিকে বয়ে নিয়ে যেতে পারে। এবার সেই পাখিদেরই কিছু শিয়াল বা সীল শিকার করেছে। সেই সীল বা শিয়ালকে আবার ভালুক মেরে খেয়ে ফেলেছে। এটাই যে একমাত্র কারণ তা কিন্তু নয়। তাঁদের মতে, বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত যে কোনও মৃত পশুর আশপাশ দিয়ে গেলেও সেই ভাইরাস শরীরে ঢুকে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ভাল্লুকের ভিতরে পাওয়া গিয়েছে H5N1 বার্ড ইনফ্লুয়েঞ্জার স্ট্রেন। তবে এখনও বিজ্ঞানীরা সেই ভাল্লুককে নিয়ে গবেষণা করছেন। তবে এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, সেই অনুযায়ী ভাল্লুকটি হয়তো বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত কোনও প্রাণীর মৃতদেহ খেয়ে ফেলেছিল। আর তাতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
তবে কি সমস্ত স্তন্যপায়ী প্রাণীরাই বিপদে?
এখনও পর্যন্ত H5N1 বার্ড ইনফ্লুয়েঞ্জার কিছু স্ট্রেন বিভিন্ন জীবের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে। তবে এই প্রথম অ্যান্টার্কটিকার সিলগুলিতেও পাওয়া গেল। বার্ড ফ্লু মানুষকেও রেহাই দেবে না বলেই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে বার্ড ফ্লু বিশেষভাবে দেখা যাচ্ছে। তবে বিভিন্ন প্রজাতির জীবের মধ্যে রোগের লক্ষণ আলাদা আলাদা। এর কারণও জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, যে কোনও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্রুত তার রূপ পরিবর্তন করে। অর্থাৎ বিভিন্ন প্রজাতির জীবের শরীরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই এটি নিজের রূপ বদলে নেয়। যাতে পরবর্তী শক্তিশালী স্ট্রেন তৈরি করা যায়। এ কারণে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
বাঁচবে না মানুষও… বিজ্ঞানীরা ক্রমাগত সামুদ্রিক প্রাণীদের উপর গবেষণা করে চলেছেন। বার্ড ফ্লুতে কোন কোন জীব আক্রান্ত হয়, তা খুঁজে বের করতে। কারণ মানুষ অনেক সামুদ্রিক প্রাণী খায়। আর তা থেকেই মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস।