Earth Tongue: পৃথিবীতে এমন অনেক জিনিস আছে যা আজও রহস্য হয়েই রয়ে গিয়েছে। এমনই এক রহস্যের উন্মোচন করেছেন বিজ্ঞানীরা। যা দেখে বিজ্ঞানীরাও অবাক। বছরের পর বছর গবেষণার পরও বিজ্ঞানীরা এর কোনও সঠিক উত্তর খুঁজে পাননি। গবেষকরা পৃথিবীতে একটি অনন্য প্রজাতির ছত্রাক খুঁজে পেয়েছেন, যা দেখে তাঁরা এটি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছেন। রহস্যময় এই ছত্রাকটি দেখতে জিহ্বার মতো। তাই বিজ্ঞানীরা আর নাম দিয়েছেন ‘আর্থ টাং’ (Earth Tongue) ছত্রাক। কালো রঙের এই ছত্রাকগুলি দেখে মনে হয় অন্য কোনও পৃথিবী থেকে এসেছে। কিছু অদ্ভুত ছত্রাক 300 মিলিয়ন বছর আগে ছত্রাকের প্রজাতি থেকে নিজেদের আলাদা করেছিল। এটিও এক ধরনের ছত্রাক। যদিও এখন বিজ্ঞানীরা তাদের জন্য আলাদা জেনেটিক শাখা তৈরি করছেন।
আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইকোলজিস্ট টবি স্প্রাইবাইল বলেছেন যে, এটি ছত্রাকের জগতের প্লাটিপাস এবং এচিডনা। প্লাটিপাস এবং এচিডনা হল এক ধরনের সরীসৃপ প্রানী যারা ডিম দেয়। অর্থাৎ এরা অন্য় সরীসৃপ প্রানীদের থেকে আলাদা। ঠিক তেমনই এই ‘আর্থ টাং'(Earth Tongue) ছত্রাকটি অন্য় ছত্রাকের থেকে আলাদা। আর্থ টাং ছত্রাক পৃথিবীর উপরের পৃষ্ঠে জন্মগ্রহণ করে এবং তার জিহ্বার মতো গঠন বাতাসে উঁচু করে রাখে এবং সেখান থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে যে জিনোম (Genome:জিনোম হল কোষে পাওয়া একটি ডিএনএ সেট) ছাড়া তাদের মধ্যে ছত্রাকের মতো কিছুই পাওয়া যায় না। এর আচরণ অন্য় ছত্রাকের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন।
বিজ্ঞানীরা এই গবেষণা করতে গিয়ে বিস্মিত হয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক এককভাবে ও ব্যাকটেরিয়ার সাথে যৌথভাবে মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষের দ্রুত পঁচন ঘটায়। বিভিন্ন ধরনের জৈব বস্তুর পচনের ফলে যে সকল পদার্থ তৈরি হয় সেগুলো মাটিতে মিশে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। ছত্রাক মাটিতে বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক বস্তুর ভারসাম্য রক্ষা করে এবং জৈব বস্তুর পঁচনের ফলে সৃষ্ট দুর্গন্ধ থেকে পরিবেশকে রক্ষা করে। কিন্তু এই
আর্থ টাং ছত্রাক এই কাজগুলি করে না। বিজ্ঞানীরা বিশ্বের 9টি দেশের 30টি ছত্রাকের জিনোম অধ্যয়ন করে দেখেন যে এই প্রজাতিটি 300 মিলিয়ন বছর আগে বাকি ছত্রাক থেকে নিজেকে আলাদা করেছে।