Global Warming: গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জন্য দায়ী ক্ষুদ্র উইপোকাও, বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: অন্বেষা বিশ্বাস

Jan 05, 2023 | 3:22 PM

Termites: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বৃদ্ধির সঙ্গে-সঙ্গে প্রকৃতিতে উইপোকার সংখ্য়া আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শুধুই কাঠ নয়, এমনকি মাটিও খেতে শুরু করেছে তারা। কারণ তারা মাটি থেকে খাবার খোঁজার চেষ্টা করছে। এর ফলে তাপমাত্রা আরও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Global Warming: গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জন্য দায়ী ক্ষুদ্র উইপোকাও, বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
এই ক্ষুদ্র প্রাণীটিও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য় দায়ী।

Follow Us

Science News: যত দিন যাচ্ছে পৃথিবীর তাপ যতই বাড়ছে, ততই পৃথিবীকে ধ্বংসের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে। ছোট চেহারার প্রাণীরাও এক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা পালন করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বৃদ্ধির সঙ্গে-সঙ্গে প্রকৃতিতে উইপোকার সংখ্য়া আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শুধুই কাঠ নয়, এমনকি মাটিও খেতে শুরু করেছে তারা। কারণ তারা মাটি থেকে খাবার খোঁজার চেষ্টা করছে। এর ফলে তাপমাত্রা আরও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব উষ্ণায়ন অর্থাৎ পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। দিনের পর দিন বিশ্ব উষ্ণায়ন এভাবে বাড়তে থাকলে পৃথিবীর জল শুকিয়ে যাবে এবং পাথর গলতে শুরু করবে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বে 5টি মহাবিধ্বংসী ঘটনা দেখেছে, যার মধ্যে ডাইনোসরের সমাপ্তি ছিল পঞ্চম। প্রায় 65.5 মিলিয়ন বছর আগে, এই হলোকাস্টের (আগুনে সম্পূর্ণ ধ্বংস) কারণ ছিল পৃথিবীর সঙ্গে একটি গ্রহাণুর সংঘর্ষ। তবে এটা ধরাই যেতে পারে যে ভবিষ্যতে পৃথিবীর ধ্বংস মানুষের কারণেই হবে প্রাকৃতিক কারণে নয়।

বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য উইপোকাও দায়ী:

মানুষের ক্রমাগত গাছ কাটার কারণে পৃথিবী উষ্ণ হচ্ছে। অক্সিজেন কমে যাচ্ছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের গতি বেড়ে যাচ্ছে। তবে এখন বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছে, এতে উইপোকারও কিছু অবদান রয়েছে। ঘরের আসবাবপত্র ও বইপত্র ধ্বংসকারী এই ক্ষুদ্র প্রাণীটিও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য় দায়ী। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, উইপোকা গরম আবহাওয়ায় আরও দ্রুত কাঠ খাওয়া শুরু করে। এমনকি প্রতি 10 ডিগ্রী উষ্ণতা বৃদ্ধি তাদের কাঠ খাওয়ার ক্ষমতাকে 7 গুণ বৃদ্ধি করে।

উইপোকার কাঠ খাওয়ার সঙ্গে তাপ বাড়ার সম্পর্ক কী?

গাছপালা বিশ্ব উষ্ণায়নে বা বৈশ্বিক কার্বন চক্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা সালোকসংশ্লেষণের সময় কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে যাতে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে। গাছের বয়স বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে তাদের কিছু অংশ পচে যেতে শুরু করে। উইপোকা প্রথমে পচা জায়গাগুলিকে লক্ষ্য করে খাওয়া শুরু করে। ফলে এটি থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং মিথেন গ্যাস নির্গত হয়। এগুলি এক প্রকার গ্রিন হাউস গ্যাস, যা দ্রুত তাপমাত্রা বাড়িয়ে তুলছে। তাই তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে উইপোকার সংখ্যা এবং তাদের কাঠ খাওয়ার গতিও বাড়ছে। যার সরাসরি প্রভাব দেখা যাবে বৈশ্বিক উষ্ণতায়।

ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের বিজ্ঞানীরা উইপোকা নিয়ে গবেষণাটি করতে গিয়ে আরও অনেক কিছু খুঁজে পেয়েছেন। যেমন বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে উইপোকার সংখ্যা বাড়বে এবং তারা বিশ্বের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে যাবে। সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় প্রথমবারের মতো উষ্ণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের 133 টি জায়গায় শতাধিক বিজ্ঞানী কাঠ নিয়ে গবেষণা করেছেন।

Next Article