Air Pollution: হাওয়ায় মিশছে বিষ! বিশ্বে আর কোনও জায়গা নেই, যেখানকার বায়ু দূষিত নয়

TV9 Bangla Digital | Edited By: অন্বেষা বিশ্বাস

Mar 12, 2023 | 10:57 AM

Poisonous Air Effects: রাস্তায় বেরলোই অনবরত কাশি হয়? চোখে জ্বালাপোড়া আর ক্লান্তি অনুভব করেন? কখনও এক কারণ খুঁজে দেখেছেন? কারণ একটাই, তা হল বিষাক্ত বায়ু। গবেষকরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে পৃথিবীতে এমন কোনও জায়গা নেই যেখানের বায়ু বিশুদ্ধ।

Air Pollution: হাওয়ায় মিশছে বিষ! বিশ্বে আর কোনও জায়গা নেই, যেখানকার বায়ু দূষিত নয়

Follow Us

Climate Change: রাস্তায় বেরলোই অনবরত কাশি হয়? চোখে জ্বালাপোড়া আর ক্লান্তি অনুভব করেন? কখনও এক কারণ খুঁজে দেখেছেন? কারণ একটাই, তা হল বিষাক্ত বায়ু। বায়ু দুষণকে (Air Pollution) কেন্দ্র করে অনেকদিন ধরেই গবেষকরা বিভিন্ন রকম সতর্কতা জারি করে চলেছেন। কিন্তু গবেষকরা প্রথমবারের মতো এমন একটি গবেষণা করেছেন, যাতে গোটা বিশ্বের বায়ু দূষণের হিসাব করা হয়েছে। তাতে যা ফল এসেছে, তা দেখে গবেষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা দেখেছেন, প্রতি বছর বায়ু দূষণের কারণে 80 লাখ মানুষ মারা যায়। বর্তমানে পৃথিবীতে এমন কোনও জায়গা নেই যেখানের বায়ু বিশুদ্ধ। এই গবেষণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা (Scientists)। সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট জার্নালে (The Lancet Journal) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন হয়েছে। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র 0.0001 শতাংশ মানুষ কম দূষিত বায়ু পাচ্ছে।

মোট 65টি দেশের বায়ুর পরীক্ষা করা হয়েছে:

65টি দেশের 5446টি মনিটরিং স্টেশন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই গবেষণাটি করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, পূর্ব এশিয়ার বায়ু সবচেয়ে দূষিত। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া। আর সর্বশেষে রয়েছে উত্তর আফ্রিকা। এরপরে রয়েছে, ওশেনিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও উত্তর আমেরিকা। এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ানে 2000 থেকে 2019 সালের মধ্যে বায়ু দূষণের মাত্রা কমেছে। অন্য়দিকে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ গবেষকরা জানাচ্ছেন, নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ায় সর্বনিম্ন দূষণ দেখা গিয়েছে।

এত দ্রুত হারে বিষাক্ত বায়ু ছড়িয়ে পড়ার কারণ কী?

গবেষকরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বায়ু দূষণের মাত্রা এত বেশি পরিমাণে বাড়ছে। উত্তর-পশ্চিম চিন এবং উত্তর ভারতে পেট্রোল ও ডিজেলের ব্যবহার শীতকালে প্রচুর পরিমাণে দূষণ বাড়ায়। কিন্তু উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে গ্রীষ্মকালে দূষণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। 2019 সালে, অস্ট্রেলিয়ায় যে দাবানল ঘটেছিল তা সেখানকার বায়ুর গুণমানকে ব্যাপকভাবে নষ্ট করেছিল। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

মানুষের স্বাস্থ্যের উপর মারাত্বক প্রভাব ফেলছে:

মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ইউমিং গুও বলেন, “2.5 মাইক্রোমিটার অর্থাৎ PM 2.5 আকারের দূষিত কণা মানুষের শ্বাসের মাধ্যমে রক্তে মিশে যাচ্ছে। যার কারণে স্ট্রোক, ফুসফুসের ক্যান্সার ও হৃদরোগ হচ্ছে। নাইট্রোজেনের অক্সাইডগুলির বিষাক্ত প্রতিক্রিয়ায় ফুসফুস ফুলে যায় এবং ফুসফুসে জল জমে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে।

Next Article