Toadzilla: বিশালাকার কেন টোড (Cane Toad: পৃথিবীর বৃহত্তম ব্যাঙ) বা কেন ব্যাঙের সন্ধান পাওয়া গেল উত্তর অস্ট্রেলিয়ার একটি জঙ্গল থেকে। ওয়াইল্ডলাইফ বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, এটিই বিশ্বের সবথেকে ব্যাঙ। আকারে এতটাই বড় যে, ওই জঙ্গলের ওয়াইল্ডলাইফ অফিসাররা এটিকে খেলনা ভেবে ভুল করেছিলেন! সাধারণত কেন ব্যাঙদের যা আকার হয়, তার থেকে এই দানবাকার কেন ব্যাঙটি আকারে ছয়গুণ বলে জানা গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, আকারে-আয়তনে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ব্যাঙটির রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে এই কেন টোড। পার্ক রেঞ্জার কাইলি গ্রে এই ব্যাঙটিকে উদ্ধার করেছিলেন। তিনি জানালেন, ন্যাশনাল পার্টে ট্র্যাকের কাজ করার সময় প্রথমে একটি সাপকে দেখতে পান। তারপরই তার নজরে এসেছিল ব্যাঙটি, প্রাথমিক ভাবে যাকে দেখে তিনি একটি প্রপ ভেবেছিলেন।
কিছুটা কাছে যেতেই দেখেন, যাকে প্রপ ভেবে ভুল করছিলেন সেটাই তারপর নড়াচড়া করছে। তাঁর কথায়, “কাছে গিয়ে আমি এই ব্যাঙটাকে ধরলাম। চোখের সামনে দেখেও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে, এত বড় একটা ব্যাঙও থাকতে পারে এবং তা এত শক্তও হতে পারে। আমরা এর নাম দিয়েছি টোডজ়িলা (Toadzilla)। তারপর প্রাণীটিকে একটি কন্টেইনারে রেখে দিই, যাতে ঠিকভাবে ওর রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়।”
এরপরেই ‘টোডজ়িলা’-র ওজন মাপতে যান কাইলি ও তাঁর দলবল। ওজন মেপে যখন দেখেন 2.7 কেজি, তখনই তাঁদের মাথায় ঘোরাফেরা করে রেকর্ডের প্রসঙ্গ। তাঁরা স্পষ্টতই বুঝে যান, এই ব্যাঙের মধ্যে নতুন রেকর্ড সেট করার যাবতীয় সম্ভাবনা রয়েছে। বিবিসি-র একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই 1991 সালে বিশ্বের সবথেকে বড় ব্যাঙ হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডটি রয়েছে সুইডেনে ‘প্রিনসেন’ নামের একটি পোষ্য ব্যাঙের।
কাইলি বিশ্বাস করেন, এই টোডজ়িলা এরকম ভাবে নিজের ওজন বাড়িয়েছে প্রচুর পরিমাণে কীটপতঙ্গ, সরীসৃপ এবং ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী খেয়ে। তাঁর কথায়, “এদের মুখে ঢুকতে পারে, এমন যা-খুশি খেতে পারে এরা।” প্রসঙ্গত, এক সময় আঁখ (Cane) থেকে কীটপতঙ্গ বের করতে এই ব্যাঙগুলিকে ব্যবহার করা হত। সেই থেকেই এদের নাম কেন টোড।
তবে একটা কেন টোড আকারে-আয়তনে কতটা বড়, সেই অনুযায়ী তাদের নামও ভিন্ন। কেন টোডকে কখনও জায়ান্ট টোড, কখনও আবার মেরিন টোডও বলা হয়— কখন কী বলা হবে, তা একান্তই নির্ভর করা হবে তাদের সাইজ়ের উপরে ভিত্তি করে। সাধারণত একটি কেন টোডের উচ্চতা 5.9 ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। এরা অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম আক্রমণাত্মক প্রজাতি এবং স্থানীয় বন্যপ্রাণীদের জন্য এরা যথেষ্ট ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা যদি ওদের মুখে ঢোকার মতো সাপ হয়, তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।