Lost Icons Back To Life: তুর্কি শিল্পীর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় প্রাণ ফিরে পেলেন মাইকেল জ্যাকসন-লেডি ডায়ানা!

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Oct 01, 2022 | 7:52 PM

Artificial Intelligence: অ্যাল্পার ইয়েসিলতাস নামের ওই শিল্পী যিনি পেশায় একজন আইটি আইনজীবী, তিনিই প্রিন্সেস ডায়ানা, মাইকেল জ্যাকসন, ফ্রেডি মার্কারি, অ্যামি ওয়াইনহাউস এবং অন্যান্য জনপ্রিয় ব্যক্তিদের ছবি AI-এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন, যাঁরা এই পৃথিবীতে এখন আর নেই।

Lost Icons Back To Life: তুর্কি শিল্পীর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় প্রাণ ফিরে পেলেন মাইকেল জ্যাকসন-লেডি ডায়ানা!
মাইকেল জ্যাকসন, লেডি ডায়ানা বেঁচে থাকলে কেমন দেখতে হতেন?

Follow Us

আচ্ছা, মাইকেল জ্যাকসন যদি আজ বেঁচে থাকতেন, কেমন দেখতে লাগত তাঁকে? লেডি ডায়ানাও যদি আজ আমাদের মধ্যে থাকতেন, তিনি কি তাহলে আগের থেকে আরও সুন্দরী হতেন? তুরস্কের এক শিল্পী সেই তাঁদেরই ফিরিয়ে আনলেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম মেধার শরণাপন্ন হয়ে। অ্যাল্পার ইয়েসিলতাস নামের ওই শিল্পী যিনি পেশায় একজন আইটি আইনজীবী, তিনিই প্রিন্সেস ডায়ানা, মাইকেল জ্যাকসন, ফ্রেডি মার্কারি, অ্যামি ওয়াইনহাউস এবং অন্যান্য জনপ্রিয় ব্যক্তিদের ছবি AI-এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন, যাঁরা এই পৃথিবীতে এখন আর নেই।

সিরিজটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অ্যাস ইফ নাথিং হ্যাপেনড’ এবং এতে এমনই কিছু আইকনদের ছবি রয়েছে, যাঁদের তিনি ‘সবচেয়ে বেশি মিস করেছেন’। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর কয়েকদিন পর তিনি প্রিন্সেস ডায়ানার ছবি শেয়ার করার পরেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ছবিতে ধূসর চুলে ডায়ানাকে দেখা গিয়েছে, অভিব্যক্তিপূর্ণ চোখে ক্যামেরার দিকে তাকাচ্ছেন, একটি সাধারণ সাদা শার্ট পরিহিত এবং সানগ্লাসটি রয়েছে ঠিক তাঁর মাথার উপরে।


1997 সালে 36 বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন প্রিন্সেস ডায়ানা, আজ তিনি বেঁচে থাকলে তাঁর বয়স আজ 61 বছর।

সিরিজটিতে হিথ লেজারও রয়েছেন, যিনি ক্রিস্টোফার নোলানের দ্য ডার্ক নাইট-এ জোকারের ভূমিকার জন্য পরিচিত। লেজার 2008 সালে 28 বছর বয়সে প্রয়াত হন। তিনি বেঁচে থাকলে, আজ 43 বছর বয়স হত। প্রাকৃতিক আলো, বলিরেখা এবং ধূসর রং সহ ছবিটি ভয়ঙ্করভাবে বাস্তবসম্মত দেখায়।

এই ছবিগুলি তৈরি করার জন্য তিনি AI ফটো-এনহ্যান্সিং সফটওয়্যার, যেমন প্রয়োজনীয় বার্ধক্য এবং টেক্সচার পাওয়ার জন্য রেমিনির মতো সফটওয়্যার এবং সেই সঙ্গে আলো ও রং সঠিকভাবে পেতে অ্যাডোব লাইটরুম এবং VSCO সহ একাধিক সফটওয়্যার ব্যবহার করেছেন।


এই সিরিজের অন্যান্য আইকনদের মধ্যে রয়েছেন র‌্যাপার টুপাক শাকুর এবং ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস ফ্র্যাঞ্চাইজির পল ওয়াকার। এছাড়াও এই তালিকায় ফ্রেডি মার্কারি, জন লেনন, অ্যামি ওয়াইনহাউস এবং মাইকেল জ্যাকসনের মতো কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পীরাও রয়েছেন।

বোর্ডপান্ডায় ইয়েসিলতাস একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “যখন আমি প্রযুক্তির সঙ্গে কঠিন ভাবে কাজ করা শুরু করি, আমি দেখেছিলাম আমি কী করতে পারি এবং কী আমাকে সবচেয়ে সুখী করতে পারে তা নিয়েও ভাবলাম। আমি এমন কিছু লোককে আমার সামনে দেখতে চেয়েছিলাম, যাঁদেরকে আমি মিস করেছি এবং এভাবেই এই প্রকল্পটি আমার মস্তিষ্ক থেকে আবির্ভূত হয়েছে।”

তিনি যোগ করেছেন, “আমার জন্য সৃজনশীল প্রক্রিয়ার সবচেয়ে কঠিন অংশটি হল ছবিটিকে আমার কাছে বাস্তব করে তোলা। আমি যে মুহূর্তটি সবচেয়ে পছন্দ করি তা হল, যখন আমি মনে করি আমার সামনের ছবিটি যদি বাস্তবসম্মত মনে হয় যা কোনও ফটোগ্রাফার ফ্রেমবন্দি করেছেন। আমি বিভিন্ন সফটওয়্যার প্রোগ্রাম ব্যবহার করছি। একটি সম্পূর্ণ চিত্র তৈরি করতে আমার যে সময় লাগে তা পরিবর্তিত হয়। তবে আমি বলব একটি চিত্রকে আমার কাছে বাস্তব মনে হতে অনেকটা সময় লাগে।”

Next Article