Nasa Records Black Hole Sound: বহু দিন ধরেই সৌরজগতের বাইরের গ্রহ এবং সম্ভাব্য অন্যান্য জীবনের সন্ধান করে চলেছে নাসা। সম্প্রতি নাসা এক্সোপ্ল্যানেটের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে বলা হয়েছে, “নাসার টিম আমাদের সৌরজগতের বাইরের গ্রহ এবং জীবন সম্পর্কে সন্ধান চালাচ্ছে। আমরা নাসার সমস্ত মিশনের প্রতিনিধিত্ব করি, যার নতুন বিশ্বের সন্ধান করছে।” সেই সন্ধানে বেরিয়েই একটি ভয়ঙ্কর ভিডিয়ো শেয়ার করেছে নাসা।
The misconception that there is no sound in space originates because most space is a ~vacuum, providing no way for sound waves to travel. A galaxy cluster has so much gas that we’ve picked up actual sound. Here it’s amplified, and mixed with other data, to hear a black hole! pic.twitter.com/RobcZs7F9e
— NASA Exoplanets (@NASAExoplanets) August 21, 2022
ঠিক কী রয়েছে এই ভিডিয়োতে? এই ভিডিয়োটির ভিতরে রয়েছে একটি অডিও। সেটি আসলে ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর থেকে নির্গত শব্দের, যা আমাদের মহাকাশ অনুসন্ধান এবং গবেষণায় নতুন অন্তর্দৃষ্টি দিতে পারে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “পার্সিয়াসের এই সোনিফিকেশনে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পূর্বে চিহ্নিত শব্দ তরঙ্গগুলি বের করে প্রথম বারের মতো শ্রবণযোগ্য কর তোলে। শব্দ তরঙ্গগুলি কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে বেরোচ্ছিল।”
অডিওটি খুব ছোট্ট, কিন্তু তার প্রভাব বিরাট। যে কোনও মানুষকে অবাক করবে কৃষ্ণগহ্বর থেকে বেরোনো শব্দ। অনেকটাই যেন রাক্ষসের মতো, সিনেমায় যেমন রাক্ষুসে শব্দ আমরা শুনে থাকি। নাসা এক্সোপ্ল্যানেটের তরফে এই ভয়ঙ্কর শব্দ সম্পর্কে বলা হচ্ছে, “মহাকাশের কোনও শব্দ নেই, এই ধারণা ভুল। তবে এমন ধারণার উৎপত্তির পিছনের মূল কারণটা হল, মহাকাশের বেশির ভাগ স্থানে শূন্যতা থাকে, যা শব্দ তরঙ্গের ভ্রমণের কোনও উপায় প্রদান করতে পারে না।”
“একটি গ্যালাক্সি ক্লাস্টারে এত বেশি গ্যাস রয়েছে যে, আমরা প্রকৃত শব্দ তুলতে সক্ষম হয়েছি। এখানে শব্দটি অ্যাম্পিফাই করা হয়েছে এবং অন্যান্য ডেটার সঙ্গে মিশ্রিত করেই ব্ল্যাক হোলের আসল শব্দ শোনা গিয়েছে,” যোগ করেছে নাসা এক্সোপ্ল্যানেট। ট্যুইটারে শেয়ার করা সামান্য এই অডিও ফাইলটি প্রায় 1.1 মিলিয়নেরও বেশি মানুষ শুনেছেন।
গত 22 অগস্ট এই অডিও ফাইল শেয়ার করা হয়েছিল। আর তার বিউ এখন 3.9 মিলিয়ন ছাপিয়ে গিয়েছে। মানুষজনের মধ্যে নানাবিধ প্রতিক্রিয়া মিলেছে এই শব্দ থেকে, বিভিন্ন রকমের মন্তব্যও করেছেন মানুষজন। একজন লিখছেন, “ঠিক শব্দ শুনলাম তো, নাকি পুরোটাই মেশিনের কারিকুরি।” আর একজন যোগ করলেন, “আমিই কি একমাত্র ব্যক্তি, যিনি এই শব্দকে প্রশান্তিদায়ক মনে করছেন।”