Mars And Rainbow: মঙ্গলগ্রহে কেন রামধনু দেখা যায় না? সবিস্তারে বুঝিয়ে দিলেন নাসার বিশেষজ্ঞ
মঙ্গলগ্রহে কি রামধনু দেখা যায় বা সেখানে কি রামধনু তৈরি হতে পারে? কী বলছেন মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসার বিশেষজ্ঞ...
মঙ্গলগ্রহে কি রামধনু দেখা যায়? লালগ্রহ নিয়ে মানবজাতির কৌতূহলের পারদ সবসময়ই চড়ে থাকে। আর এই তুঙ্গে থাকা উত্তেজনার মাঝে অনেকবারই ঘুরেফিরে আসে এই প্রশ্ন ‘মঙ্গলগ্রহে কি রামধনু দেখা যায়?’ সম্প্রতি নাসার বিশেষজ্ঞরা এই প্রশ্নের বিস্তারিত ভাবে জবাব দিয়েছেন। নাসার তরফে একটি ইভেন্ট আয়োজিত হয়, যার নাম ‘আস্ক দ্য এক্সপার্ট’। সেখানেই সাম্প্রতিক এপিসোডে এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মার্কিন স্পেস এজেন্সির প্ল্যানেটারি সায়েন্টিস্ট অ্যান্ড মার্স এক্সপার্ট মার্ক লেমন। ইনস্টাগ্রামে এই প্রসঙ্গে একটি ভিডিয়োও শেয়ার করা হয়েছে।
এখন ইক্ত প্রশ্নের জবাবে ফিরে আসা যাক। নাসার বিশেষজ্ঞ লেমন জানিয়েছেন, মঙ্গলগ্রহে রামধনু দেখা যায় না। এখন কেন লালগ্রহের আকাশে রামধনু ওঠে না সেই প্রসঙ্গে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ওই বিশেষজ্ঞ। তিনি জানিয়েছেন, পৃথিবীর সঙ্গে অনেক অংশে মঙ্গলগ্রহের মিল থাকলেও সেখানে পৃথিবীর মতো রামধনু দেখা যায় না। মার্ক লেমনের কথায়, রামধনুর গঠনের জন্য শুধুমাত্র জলের থেকেও বেশি কিছু প্রয়োজন হয়। আসলে রামধনু তখন তৈরি হয় যখন সূর্যালোক একটি গোলাকার ফোঁটার মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হয়, তারপর তা প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে এবং সরাসরি মানুষের চোখে পড়ে। মূলত রোদ ঝলমলে দিনে আচমকা বৃষ্টির পরে রামধনু দেখা যায়।
View this post on Instagram
লেমন জানিয়েছেন, রামধনুর গঠনের জন্য প্রয়োজন গোলাকার জলের ফোঁটা। কিন্তু মঙ্গলগ্রহে রামধনু তৈরি হওয়ার মতো পর্যাপ্ত জলের ফোঁটা নেই। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, লালগ্রহের যে ক্ষুদ্র আকারের ওয়াটার ড্রপলেট বা জলকণা খুঁজে পাওয়া যায় তা মানুষের চুলের থেকেও ২০ গুণ ছোট এবং পৃথিবীতে মেঘের মধ্যে যে ওয়াটার ড্রপলেট পাওয়া যায়, তার থেকেও ১০ গুণ ছোট। তাঁরা আরও জানিয়েছেন যে, মঙ্গলগ্রহে যে জলকণা পাওয়া যায়, তা আকার, আয়তনে আরও ১০ গুণ বড় হলে তবে তার থেকে রামধনু তৈরি হতে পারে। এর পাশাপাশি মার্ক লেমন এও জানিয়েছেন যে, মঙ্গলগ্রহের মেঘের মধ্যে বরফকণা পাওয়া যায়, যা রামধনু তৈরিতে কোনও কাজে লাগে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর এপ্রিল মাসে মঙ্গলগ্রহের আকাশে একটি ‘আর্ক’ দেখা গিয়েছিল। সেটা কি রামধনু নাকি অন্য কিছু তা নিয়ে গবেষণাও শুরু হয়ে গিয়েছিল। ওই ‘আর্ক’ আসলে সত্যিই কী জিনিস তা খতিয়ে দেখতে পর্যবেক্ষণ শুরু করেছিল নাসার মার্স রোভার পারসিভের্যান্স। দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পর নাসা সোশ্যাল মিডিয়ায় সমস্ত অবান্তর ধারণাকে নস্যাৎ করে দিয়ে জানায় যে মঙ্গলগ্রহের আকাশে দেখা যাওয়া ওই আর্ক আসলে একটি lens flare। সেই সময় নাসার তরফে এও বলা হয় যে, মঙ্গলগ্রহে ঘনীভূত হওয়ার মতো পর্যাপ্ত জল নেই। আর লালগ্রহের বায়ুমণ্ডল এতই শীতল যে সেখানকার ঠাণ্ডা তরল জল কোনও ভাবেই গোলাকার জলের ফোঁটার মতো গড়ন নিতে পারবে না।
আরও পড়ুন- Mummy: মৃত্যুর সাড়ে তিনহাজার বছর পরেও অক্ষত ফ্যারাও প্রথম আমেনহোটেপের মমি! অক্ষত রয়েছে দাঁত, চিবুক