ক্যাব বুক করে যেভাবে এ দিকে-ও দিকে যান, ঠিক সেভাবেই মহাকাশে যাবেন নাকি?রসিকতা নয়, বিশ্বাস করতে পারেন। ক্যাবে ওঠার আগে যেমন ডেস্টিনেশন বেছে নিয়ে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে যান, ঠিক একইভাবে এবার পৌঁছে যাবেন মহাকাশেও। তফাৎ শুধু দূরত্বের, ২৫০ মাইল। (SpaceX)
এলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের তৈরি রকেট ফ্যালকন চলে গিয়েছে মহাকাশে। তবে মহাকাশযান ফাঁকা যায়নি, রকেটের মাথায় ড্রাগন ক্যাপসুলে চার নভশ্চরকে নিয়ে পাড়ি দিয়েছে।
নিজের সংস্থার প্রথম বাণিজ্যিক উড়ানের সময় অবশ্য থাকতে পারেননি এলন নিজে, কারণ তাঁর বেশ কিছু কোভিড উপসর্গ রয়েছে। গত মে মাসেই স্পেসএক্স ও নাসার যৌথ উদ্যোগে রকেটে চেপে আইএসএস (ইন্টারন্য়াসনাল স্পেস স্টেসন)-এ গিয়েছেন দুই মহাকাশচারী। সেই যাত্রার নাম দেওয়া হয়, ‘ক্রু-ডেমো-২’। আর প্রথম বাণিজ্যিক উড়ান যাত্রার নাম দেওয়া হয় ‘ক্রু-১ মিশন’। (Crew-1)
চার নভশ্চরের মধ্যে তিনজন আমেরিকান, একজন জাপানের এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির। তাঁরা হলেন মিশন স্পেশ্যালিস্ট শ্যানন ওয়াকার, মিশন স্পেশ্যালিস্ট সোইচি নোগুচি, ভেহিকল পাইলট ভিক্টর গ্লোভার ও কমান্ডার মাইক হপকিনস। ছ’ মাস ধরে এই মহাকাশচারীরা আইএসএসে থাকবেন।
‘ক্রু-১ মিশন’-এর আরও একটি বিশেষত্ব রয়েছে। এই প্রথম কোনও মহাকাশযাত্রার কমান্ডারের ভূমিকায় দেখা যাবে শ্যাননকে, যিনি একজন মহিলা। ২০২১-এর এপ্রিল মাসে এই রকেট যখন ফিরবে তখন কমান্ডারের দায়িত্ব সামলাবেন শ্যানন।
২০২১-এর মার্চে স্পেসএক্সের পরের উড়ান শুরু হবে। তবে প্রথম বাণিজ্যিক মহাকাশ যাত্রায় নভশ্চরদের এখনও পর্যন্ত পাওয়া প্রতিক্রিয়া খুবই ভাল। তবে যাঁরা মহাকাশে গিয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই বিশেষজ্ঞ এবং প্রশিক্ষিত।
এবার আমি, আপনি কবে যেতে পারি মহাকাশে, সেটা একমাত্র বিজ্ঞানীরাই বলতে পারবেন।