দু’হাজারের বেশি স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট লঞ্চ করার পরিকল্পনা করছে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্স। ইতিমধ্যেই ইউএস ফেডেরাল কমিউনিকেশন কমিশন (এফসিসি)- এর অনুমোদন পেয়েছে এই সংস্থা। মূলত লোয়ার আর্থ অরবিটে এই স্যাটেলাইটগুলো পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে স্পেস এক্স। স্পেস বেসড ব্রডব্যান্ড কানেকশন ভাল করতেই এইসব স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট লঞ্চের পরিকল্পনা করেছে স্পেস এক্স।
জানা গিয়েছে, ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্স, এফসিসি- র কাছে ২৮২৪টি স্যাটেলাইট লঞ্চ করার অনুমোদন চেয়েছিল। যেসব মানুষ এখনও হাই-স্পিডের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন পাওয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছেন, তাঁদের সুবিধার্থেই লোয়ার অরবিটে এই সমস্ত স্যাটেলাইট পাঠানো ব্যবস্থা করছে স্পেস এক্স। ইলন মাস্কের সংস্থার পরিকল্পনার সমস্ত দিক বিবেচনা করে অনুমোদন দিয়েছে এফসিসি। তবে নিরাপদে যাতে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, সেজন্য স্পেস এক্স- কে বেশ কিছু শর্তও দেওয়া হয়েছে এফসিসি- র তরফে।
এর আগে গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের জুলাই মাসে অ্যামাজনের তরফে ৩২৩৬টি লোয়ার আর্থ অরবিট স্যাটেলাইটের নেটওয়ার্ক তৈরি করার জন্য ৭৪,৪২৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল। এবার অ্যামাজনের এই পরিকল্পনাকে পাল্লা দিতেই ময়দানে নামতে চলেছে ইলন মাস্কের স্পেস এক্স। মোট ১২ হাজার স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে এই সংস্থা। প্রাথমিক ভাবে স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট পাঠানোর খরচ হতে চলেছে প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন- পিঙ্ক মুন: এই গোলাপি চাঁদের রহস্য আসলে কী?
তবে এত খরচ সত্ত্বেও পরিকল্পনা সফল করার জন্য মুখিয়ে রয়েছে স্পেস এক্স। কারণ একবার তাদের অভিযান সফল হলে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উন্নত ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া সম্ভব হবে। শুধু তাই নন, যাঁরা গ্রামে থাকেন কিংবা যেখানে ফাইবার অপটিক কেবল লাইন অথবা মোবাইল টাওয়ার এখনও পৌঁছয়নি, সেখানেও হাই-স্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যাবে। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ঝড়ঝাপ্টাতেও নেট পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।