QR Code On Tomb: ছেলে মৃত, তাঁর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে সমাধির উপরে QR কোড বসালেন বাবা-মা

QR Code On Tomb In Thrissur: আইভিন ফ্রান্সিসের সমাধির উপরে QR কোড বসালেন তাঁর বাবা-মা। ত্রিশূরের কুরিয়াচিরার সেন্ট জোসেফ চার্চে আইভিনকে সমাধিস্থ করা হয়েছে। আইভিন ছিলেন খুবই ক্রিয়েটিভ। তাঁর মা-বাবা চেয়েছিলেন যাতে ছেলের বিভিন্ন পারফরম্যান্স দেখিয়ে মানুষকে অনুপ্রাণিত করা যায়।

QR Code On Tomb: ছেলে মৃত, তাঁর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে সমাধির উপরে QR কোড বসালেন বাবা-মা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 24, 2023 | 9:56 AM

QR Code On Son’s Tomb: মাত্র 26 বছর বয়সে চলে গিয়েছে ছেলেটা। পেশায় সে ডাক্তার ছিল। কিন্তু সন্তান চলে গেলে তাঁর স্মৃতিগুলো তো মা-বাবা চোখের সামনে সবসময় জ্বলজ্বল করতে থাকে। সেই গিটার বাজিয়ে গান, সব সময় হাসি মুখটা, চোখের সামনে ভেসে ওঠে সবই। সেই মুহূর্তগুলোকেই আরও প্রাণবন্ত করে রাখতে আইভিন ফ্রান্সিসের (Ivin Francis ) সমাধির উপরে QR কোড বসালেন তাঁর বাবা-মা। ত্রিশূরের (Thrissur) কুরিয়াচিরার সেন্ট জোসেফ চার্চে (St. Joseph Church, Kuriyachira) আইভিনকে সমাধিস্থ করা হয়েছে। আইভিন ছিলেন খুবই ক্রিয়েটিভ। তাঁর মা-বাবা চেয়েছিলেন যাতে ছেলের বিভিন্ন পারফরম্যান্স দেখিয়ে মানুষকে অনুপ্রাণিত করা যায়। তার জন্য তৈরি করেছিলেন একটি ওয়েবসাইট। সেখানেই আইভিনের ছোট থেকে বড় হওয়া, স্কুল-কলেজের বিভিন্ন পারফরম্যান্স, গিটার বাজিয়ে গান গাওয়া, ইত্যাদি অনেক মুহূর্ত রয়েছে। আর সেই ওয়েবসাইটটি লিঙ্ক করা রয়েছে QR কোডের সঙ্গে। লোকে ওই QR কোড স্ক্যান করলেই আইভিনের পারফরম্যান্স ও অন্যান্য ভিডিয়োগুলি দেখতে পাবেন।

আইভিনের বাবা ওমানের একটি প্রাইভেট কোম্পানির অফিসার, মা লীনা দেবী সেখানকার একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল। আর আইভিন ছিলেন সঙ্গীত ও খেলাধূলায় পারদর্শী। ডাক্তারি পাশ করেছিলেন তিনি। তাঁর বিভিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য বন্ধু থেকে শুরু করে সহকর্মী ও কাছের মানুষজনের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন আইভিন।

2021 সালে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় আইভিনের। আইভিনের বাবা মিস্টার ফ্রান্সিস বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম তাঁর জীবন সবার জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠুক। তাই, আমরা তাঁর সমাধিতে একটি QR কোড রাখার কথা ভেবেছিলাম।”

এদিকে আইভিনও QR কোড ব্যবহার করে অন্য মানুষদের প্রোফাইল তৈরি করতে করতেন। তাঁর বাবার কথায়, “ও আমাকে তথ্যের জন্য প্রচুর QR কোড পাঠাত। আমি QR কোড স্ক্যান করতে পারতাম এবং আমি যে তথ্য চাইতাম তা ডাউনলোডও করতে পারতাম। তাই ওঁর জন্যও একটা QR কোড  তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা।”

তিনি বলেন, ওঁর সমাধির উপরে QR কোড রাখার আইডিয়াটি আইভিনের বোন ইভলিন ফ্রান্সিসের। “আমার মেয়ে আমাকে বলেছিল, সমাধিতে আইভিন সম্পর্কে কিছু লেখার থেকে ও যা করেছে, তা তুলে ধরতে একটা QR কোড রাখা ভাল। আমরা ভেবেছিলাম, ওঁর জন্য হয়তো কোনও লেখাই যথেষ্ট নয়। তাই, আমার মেয়ে যখন আমাকে আইডিয়াটা দেয়, আমি তখন ভাবছিলাম কীভাবে একটি QR কোড আইভিনের প্রোফাইলের সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারি। যাঁরা কোড স্ক্যান করবেন, তাঁরা জানতে পারবেন আইভিন কী ছিলেন এবং তিনি কী করতে পারতেন। আমার মেয়েই 10 দিনের মধ্যে সাইট এবং QR কোড তৈরি করেছিল,” যোগ করলেন মিস্টার ফ্রান্সিস।

তিনি আরও বললেন, “আমার মেয়ে সাইট এবং QR কোড তৈরি করার পর আমাকে জিজ্ঞাসা করে যে, এটি মার্বেল পাথরের সমাধিতে প্রিন্ট করা যেতে পারে কি না। আমি নির্মাতাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করি এবং তিনি বলেছিলেন এটি মুদ্রণ করা যেতে পারে।” মিস্টার ফ্রান্সিসের কথায়, “অনেক সময় সমাধি থেকে একটা মানুষকে চেনা যায় না। কিন্তু QR কোড স্ক্যান করে নিলেই মানুষজন জানতে পারবেন আইভিন সম্পর্কে।”

আইভিনের বাবা বলছিলেন, QR কোড স্ক্যান করে, লোকেরা আইভিনের ফটোগ্রাফ, কলেজে তাঁর বিভিন্ন প্রোগ্রাম, তার বন্ধুর বৃত্ত, তাঁর সম্পর্কে অন্যান্য অনেক কিছুই জানা যাবে। পাশাপাশি দেখা যাবে, তাঁর কিবোর্ড এবং গিটারের পারফরম্যান্সও।