NSG Bomb Disposal: সন্দেশখালির ইট-পাতা রাস্তা ধরে এগোচ্ছে NSG-র রোবট, কী এটি? কীভাবে কাজ করে?
NSG Bomb Disposal: অনুমান করা হচ্ছে, আবু তালেম মোল্লা নামে ওই ব্যক্তির একতলা বাড়ি ভর্তি রয়েছে বিস্ফোরক। সেগুলির সন্ধানেই এই রোবট নামানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এমন ছবি বাংলায় কার্যত নজিরবিহীন।
সন্দেশখালি: শেষবেলায় ভোটের বাংলায় সব নজর ঘুরে গেল সন্দেশখালির দিকে। সকাল থেকেই এলাকায় চলছিল তল্লাশি। শোনা যাচ্ছিল অস্ত্রের সন্ধান পেয়েই সন্দেশখালি গিয়েছেন সিবিআই তল্লাশি। আর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নিল শেখ শাহজাহানের গ্রাম। বিকেলে শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হাফিজুল খাঁ-এর আত্মীয় আবু তালেব মোল্লার বাড়ি ঘিরে ফেলল এনএসজি কমান্ডো। শুধু তাই নয়, সন্দেশখালির কাঁচা-পাকা রাস্তায় গড়াল রোবটের চাকা। ওই বাড়িতে কত বিস্ফোরক আছে, কী ধরণের বিস্ফোরক আছে, তা খুঁজে বের করতে নামানো হল এই বিশেষ যন্ত্র। বাংলার মাটিতে কখনও এমন রোবট নামানোর প্রয়োজন পড়েছে কি না, তা মনে করতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা।
কী এই যন্ত্র?
এনএসজি-র বম্ব ডিসপোজাল টিম পৌঁছেছে সন্দেশখালিতে। জানা যাচ্ছে, যে যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি আসলে ‘বম্ব ডিসপোজাল রোবট’ বলেই পরিচিত। এই যন্ত্র ব্যবহার করলে মানুষের প্রাণের ঝুঁকি কম থাকে। দূর থেকে রিমোটের সাহায্যেই এই যন্ত্র চালনা করা যায়। ব্রিটিশ আর্মি এই যন্ত্রকে ‘বম্ব ডক্টর’ বলেও ডাকে। চেহারায় একেবারে ছোটখাটো ট্যাঙ্কের মতো দেখতে এই যন্ত্র।
কীভাবে কাজ করে এটি?
রোবটটি CALIBER সংস্থার। জানা যায়, এর জন্য ১১৩ কেজির মতো। এতে রয়েছে বিশেষ ধরনের সেন্সর, যা দূর থেকে বোমা চিহ্নিত করতে পারে। রয়েছে উন্নতমানের ক্যামেরা যার মাধ্যমে বোমা বা অস্ত্রের ছবি সহজেই পৌঁছে যাবে অফিসারদের হাতে।
২-৪ ঘণ্টার মধ্যেই এটি অপারেশন শেষ করতে পারে। এক্স রে করে দেখতে পারে ভিতরে কী আছে। ডিজিটাল ভিডিয়ো রেকর্ড করতে পারে। ৩৬ কেজি পর্যন্ত ওজন কাঁধে নিতে পারে। ৪৫ ডিগ্রি খাড়া সিড়িতেও উঠে যেতে পারে এই রোবট, ঘুরতে পারে ৩৬০ ডিগ্রি।
সাধারণত কমান্ড কন্ট্রোল ইউনিট এই রোবটগুলি নিয়ন্ত্রণ করে। এর গতি দূর থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই রোবট একদিকে যেমন কন্ঠস্বর শুনে কাজ করতে পারে। এতে রয়েছে গ্রিন লেজার।
অনুমান করা হচ্ছে, আবু তালেম মোল্লা নামে ওই ব্যক্তির একতলা বাড়ি ভর্তি রয়েছে বিস্ফোরক। সেগুলির সন্ধানেই এই রোবট নামানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এমন ছবি বাংলায় কার্যত নজিরবিহীন।