করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অক্সিজেনের চাহিদা। রাজধানী শহরে অক্সিজেনের মারাত্মক ঘাটতি দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ‘অক্সিজেন অন হুইলস’ প্রকল্প চালু করেছে মহিন্দ্রা গ্রুপ। এবার চালু হল ১০টি অটো অ্যাম্বুল্যান্স। টার্ন ইওর কনসার্ন ইনটু অ্যাকশন (TYCIA)- এই প্রতিষ্ঠান এবং রাজ্য সভার যৌথ উদ্যোগে দিল্লিতে এই প্রকল্প চালু হয়েছে।
দেশজুড়ে অক্সিজেনের এই আকালের সময়েও একদল লোক কালোবাজারি চালাচ্ছেন। ফলে আমজনতার বেশিরভাগই অক্সিজেন সিলিন্ডারের হদিশই পাচ্ছেন না। পেলেও আকাশছোঁয়া দামের কারণে কিনতে পারছেন না। একই অবস্থা দিল্লির হাসপাতালগুলোতেও। না আছে বেড, না আছে অক্সিজেন। স্বাস্থ্যকর্মী এবং ডাক্তাররা প্রাণপাত করে পরিশ্রম করলেও আক্রান্তের তুলনায় বন্দোবস্ত নেহাতই কম।
এমন কঠিন পরিস্থিতিতে এবার রাজধানীর রাজপথে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ছুটিবে ১০টি অটো অ্যাম্বুল্যান্স। পৌঁছে যাবে প্রয়োজনের জায়গায়। প্রাথমিক ভাবে কোভিড আক্রান্তদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়াই কাজ এই অটো অ্যাম্বুল্যান্সের চালকদের। সব অটোতেই ব্যবস্থা রয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের। এই উদ্যোগে অন্যান্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে (TYCIA)। টুইটারে তারা আবেদন জানিয়েছে।
এই সংস্থার লক্ষ্য হল ডোনেশনের মাধ্যমে ২৫ লক্ষ টাকা সঞ্চয় করা। এই টাকা দিয়েই আরও অটো অ্যাম্বুল্যান্স চালু করার পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠান। দিল্লির সমস্ত রাস্তায় যাতে অটো অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা যায়, সেই লক্ষ্যেই ব্রতী হয়েছেন এই প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা। প্রতিটি অটো অ্যাম্বুল্যান্সেই যেন অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকে সেদিকে বিশেষ ভাবে নজর দিচ্ছে এই সংস্থা।
আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্রের পর দিল্লি, আনন্দ মহিন্দ্রার উদ্যোগে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ছুটছে বোলেরো ট্রাক
এই প্রসঙ্গেই উল্লেখ্য যে, মহারাষ্ট্রের পর এখন দিল্লিতেও শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রার উদ্যোগে ‘অক্সিজেন অন হুইলস’ প্রকল্প চালু হয়েছে। টুইটে আনন্দ মহিন্দ্রা জানিয়েছেন, বোলেরো ট্রাকের মাধ্যমে রাজঘাট এবং ময়ূরপূরীর অক্সিজেন ডিপো থেকে দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিল্পপতি জানিয়েছেন, দিল্লির অন্যান্য অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকেও হাসপাতালগুলিতে সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হবে খুব তাড়াতাড়ি।