মহারাষ্ট্রের পর দিল্লি, আনন্দ মহিন্দ্রার উদ্যোগে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ছুটছে বোলেরো ট্রাক
আরও বেশ কিছু শহরে 'অক্সিজেন অন হুইলস'- এর আওতায় বোলেরো ট্রাক চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে মহিন্দ্রা গ্রুপের।
দিল্লিতেও চালু হয়েছে মহিন্দ্রা গ্রুপের ‘অক্সিজেন অন হুইলস’ প্রকল্প। টুইট করে একথা জানিয়েছেন, শিল্পপতি এবং মহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মহিন্দ্রা। টুইটে তিনি লিখেছেন, রাজঘাট এবং ময়ূরপূরীর অক্সিজেন ডিপো থেকে দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আনন্দ মহিন্দ্রা। তিনি বলেন, তাঁর সংস্থাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শিল্পপতি জানিয়েছেন, দিল্লির অন্যান্য অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকেও হাসপাতালগুলিতে সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হবে খুব তাড়াতাড়ি। অন্যদিকে পুণে, চকন, পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড়, নাসিক এবং নাগপুরেও চালু হয়ে গিয়েছে এই প্রকল্প। প্রতিদিন বলেরো ট্রাকের সাহায্যে অন্তত ৬০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার উৎপাদন কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
We’re scaling up operations in Delhi in the coming days as well as expanding reach to neighbouring centres. O2W is already operating at Pune, Chakan, Pimpri-Chinchwad, Nasik and Nagpur, delivering about 600 O2 cylinders every day with Bolero pickup trucks.(2/2) pic.twitter.com/6VF4q9gr6o
— anand mahindra (@anandmahindra) May 5, 2021
কিছুদিন আগেই মহারাষ্ট্রে ‘অক্সিজেন অন হুইলস’ প্রকল্প চালু করেছিল মহিন্দ্রা গ্রুপ। তখনই কর্ণধার আনন্দ মহিন্দ্রা জানিয়েছিলেন, খুব দ্রুত অন্যান্য শহরেও এই পরিষেবা চালু করা হবে। কথা মতোই কাজ করেছেন তিনি। রাজধানী শহরেও এই পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে এখন। আরও বেশ কিছু শহরে ‘অক্সিজেন অন হুইলস’- এর আওতায় বোলেরো ট্রাক চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে মহিন্দ্রা গ্রুপের।
আরও পড়ুন- নতুন ইলেকট্রিক স্কুটার লঞ্চ করবে ওড়িশার সংস্থা EeVe, প্রকাশ্যে এল Soul মডেলের খুঁটিনাটি
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। এর মধ্যেই তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা বাণী শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে দেশজুড়ে অক্সিজেন নিয়ে কার্যত হাহাকার চলছে। হাসপাতালে নেই বেড। সব মিলিয়ে চারধারে রয়েছে শুধু আতঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে আনন্দ মহিন্দ্রা এবং তাঁর সংস্থা এভাবে হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় আমজনতার অনেকেই বলছেন, শিল্পপতি যেন সাক্ষাৎ দেবদূত। এই কঠিন পরিস্থিতিতে জনতার সেবায় নিয়োজিত হয়েছেন। অন্যদিকে আনন্দ মহিন্দ্রা বলছেন, মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়ে তিনি ধন্য। প্রশাসনের তরফে সমস্ত ধরণের সহযোগিতা পাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।