Uttar Pradesh: বোরখা পরেননি, স্ত্রী ও ২ মেয়েকে খুন করে বাড়িতে পুঁতে দিলেন ব্যক্তি
Man kills wife, two daughters: পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে ঘুম থেকে তুলে গুলি করে খুন করেন ফারুক। এরপর দুই মেয়ে আফরিন (১৬) ও শেরিন(১৪)-কেও খুন করেন। খুনের পর বাড়িতেই তিনজনের দেহ পুঁতে দেন। পাঁচদিন ধরে তাহিরা ও তাঁর দুই মেয়ের খোঁজ না পেয়ে চিন্তায় পড়ে পরিবারের অন্য সদস্যরা। কিছু একটা ঘটেছে বলে সন্দেহ করেন ফারুকের বাবা। তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।

লখনউ: নৃশংস। বোরখা পরেননি স্ত্রী। সেই রাগে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে খুনের অভিযোগ উঠল ব্যক্তির বিরুদ্ধে। খুনের পর স্ত্রী ও সন্তানদের বাড়ির প্রাঙ্গণেই পুঁতে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের শামলি জেলায়। অভিযুক্তের নাম ফারুক। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ১০ ডিসেম্বর ঘটনাটি ঘটেছে। তবে মঙ্গলবার বিষয়টি জানা যায়।
ফারুকের বাড়ি কান্ধলা থানার গড়ি দৌলত গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, ফারুকের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী তাহিরার বচসা হয়েছিল। তিনি বাপের বাড়ি চলে যান। যাওয়ার সময় বোরখা পরেননি। এতে রেগে যান ফারুক। স্ত্রীর বোরখা না পরাকে অসম্মানজনক বলে মনে করেন তিনি। স্ত্রী বাপের বাড়ি থেকে ফিরে আসার পরই হিংস্র হয়ে ওঠেন ফারুক।
পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে ঘুম থেকে তুলে গুলি করে খুন করেন ফারুক। এরপর দুই মেয়ে আফরিন (১৬) ও শেরিন(১৪)-কেও খুন করেন। খুনের পর বাড়িতেই তিনজনের দেহ পুঁতে দেন। পাঁচদিন ধরে তাহিরা ও তাঁর দুই মেয়ের খোঁজ না পেয়ে চিন্তায় পড়ে পরিবারের অন্য সদস্যরা। কিছু একটা ঘটেছে বলে সন্দেহ করেন ফারুকের বাবা। তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।
পুলিশকে ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। প্রথমে পুলিশকে ভুল পথে চালিত করা চেষ্টা করেন ফারুক। কিন্তু, তাঁর কথায় অসঙ্গতি পেয়ে সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। তখন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়েন ফারুক। স্ত্রী ও দুই কন্যাকে খুনের কথা স্বীকার করেন। বলেন, স্ত্রী ও বড় মেয়েকে গুলি করে খুন করেছেন। আর ছোট মেয়েকে শ্বাসরোধ করে মেরেছেন। পুলিশ মাটি খুঁড়ে তিনজনের দেহ উদ্ধার করেছে। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সুপার নরেন্দ্র প্রতাপ সিং জানিয়েছেন, ফারুককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
