How Hydrogen Train Works: দার্জিলিংয়ে ছুটবে সবুজ-ধোঁয়াহীন ‘বন্দে মেট্রো’, কীভাবে চলবে হাইড্রোজেন ট্রেন?

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Feb 04, 2023 | 11:19 PM

Hydrogen Train Darjeeling: এই হাইড্রোজেন চালিত সবুজ ট্রেনগুলির নাম দেওয়া হয়েছে 'বন্দে মেট্রো'। প্রাথমিক ভাবে ঐতিহাসিক কিছু রুটেই চলবে ধোঁয়াহীন ট্রেনগুলি, যে তালিকায় রয়েছে দার্জিলিং। ডিজ়েল ছাড়া এই ট্রেনগুলি কীভাবে চলবে, জেনে নিন।

Follow Us

Hydrogen Train Technology: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পর দেশে এবার হাইড্রোজেন ট্রেন চলবে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে চলবে সেই হাইড্রোজেন চালিত সবুজ ট্রেন। এক ফোঁটাও ধোঁয়া বেরোবে না তা থেকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ঐতিহাসিক রুট কালকা-সিমলা এবং দার্জিলিংয়ের চলবে ধোঁয়াহীন হাইড্রোজেন ট্রেন। গত বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়েছেন, 2023 সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই ট্রেনগুলি তৈরি হয়ে যাবে। যদিও হাইড্রোজেন চালিত ট্রেনেরে এহেন প্রযুক্তি বিশ্বের গুটিকয়েক দেশেই রয়েছে। ভারতের এই ধরনের সবুজায়নের উদ্যোগকে সেই কারণেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

এই হাইড্রোজেন চালিত সবুজ ট্রেনগুলির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বন্দে মেট্রো’। প্রাথমিক ভাবে ঐতিহাসিক কিছু রুটেই চলবে ধোঁয়াহীন ট্রেনগুলি। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের পাশাপাশি ন্যারো-গেজ রুটগুলির মধ্যে রয়েছে নীলগিরি পর্বত রেলওয়ে, কালকা-সিমলা রেলওয়ে, মথেরান পর্বতন রেলওয়ে, কাঙ্গরা ভ্যালি, বিলমোরা ওয়াঘাই এবং মারওয়ার-দেবগড় মাদরিয়া। পরিবেশ বান্ধব ট্রেনগুলির পিছনে কী প্রযুক্তি রয়েছে, তাই একবার দেখে নেওয়া যাক।

হাইড্রোজেন ট্রেন কী?

প্রথাগত ডিজ়েল চালিত ইঞ্জিনের পরিবর্তে হাইড্রোজেন জ্বালানির সেল ব্যবহৃত হবে এই সবুজ ট্রেনগুলিতে। হাইড্রোজেন জ্বালানি সেলগুলি হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনকে রূপান্তর করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, যা পরে ট্রেনের মোটরকে শক্তি যোগাতে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত যেমন বড় ট্রেন দেখে আমরা অভ্যস্ত, এগুলি সেরকম হবে না— বগির সংখ্যা হবে 6 থেকে 7টি। এই ধরনের ট্রেনগুলির গতিও 160 কিমি প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে। গত ডিসেম্বরে বিশ্বের প্রথম হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন চিনে সর্বাধিক 160 কিমি/ঘণ্টা বেগে ছুটতে শুরু করেছে।

হাইড্রোজেন ট্রেনগুলি কার্বন ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড বা পার্টিকুলেট ম্যাটারের মতো ক্ষতিকারক দূষক নির্গত করে না। আর কালো ধোঁয়া নির্গত করে না বলেই ট্রেনগুলি ঐতিহ্যগত ডিজ়েল ট্রেনের তুলনায় তাদের পরিবেশগতভাবে শ্রেষ্ঠ বিকল্প করে তোলে। এই সবুজ ট্রেনগুলির আর একটি সুবিধা হল, বায়ু, সৌর বা হাইড্রো পাওয়ারের মতো রিনিউএবল শক্তির উৎস ব্যবহার করে হাইড্রোজেন তৈরি করতে পারে, যা এই ট্রেনগুলির জন্য জ্বালানি সরবরাহকে পরিষ্কার এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য করে তোলে।

হাইড্রোজেন ট্রেন বিপুল ব্যবহারের প্রতিবন্ধকতা?

হাইড্রোজেন ট্রেনের চালানোর ক্ষেত্রে বিরাট খরচও তাদের ব্যাপক ব্যবহারের জন্য একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখা দিতে পারে। গবেষণা এবং রেটিং সংস্থা ICRA-র তরফে জানানো হয়েছে, গ্রিন হাইড্রোজেন (রিনিউএবেল এনার্জি ব্যবহার করে উৎপাদিত হাইড্রোজেন) প্রতি কেজিতে ভারতে খরচা প্রায় 492 টাকা। ET EnergyWorld-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি ফুয়েল সেল-ভিত্তিক হাইড্রোজেন ইঞ্জিন অপারেট করতে ডিজ়েল চালিত ইঞ্জিনের তুলনায় অন্তত 27% বেশি খরচ হবে।

শুধু তাই নয়। তারপরেও আবার ফুয়েল সেল এবং স্টোরেজেরও অতিরিক্ত খরচ থাকবে। তাই, ধোঁয়াহীন, সবুজ, হাইড্রোজেন ট্রেনগুলি ব্যাপক ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে মানিয়ে নেওয়ার আগে নিরাপত্তার বিষয়গুলোও ভাল ভাবে বিবেচনা করা উচিত।

Hydrogen Train Technology: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পর দেশে এবার হাইড্রোজেন ট্রেন চলবে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে চলবে সেই হাইড্রোজেন চালিত সবুজ ট্রেন। এক ফোঁটাও ধোঁয়া বেরোবে না তা থেকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ঐতিহাসিক রুট কালকা-সিমলা এবং দার্জিলিংয়ের চলবে ধোঁয়াহীন হাইড্রোজেন ট্রেন। গত বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়েছেন, 2023 সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই ট্রেনগুলি তৈরি হয়ে যাবে। যদিও হাইড্রোজেন চালিত ট্রেনেরে এহেন প্রযুক্তি বিশ্বের গুটিকয়েক দেশেই রয়েছে। ভারতের এই ধরনের সবুজায়নের উদ্যোগকে সেই কারণেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

এই হাইড্রোজেন চালিত সবুজ ট্রেনগুলির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বন্দে মেট্রো’। প্রাথমিক ভাবে ঐতিহাসিক কিছু রুটেই চলবে ধোঁয়াহীন ট্রেনগুলি। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের পাশাপাশি ন্যারো-গেজ রুটগুলির মধ্যে রয়েছে নীলগিরি পর্বত রেলওয়ে, কালকা-সিমলা রেলওয়ে, মথেরান পর্বতন রেলওয়ে, কাঙ্গরা ভ্যালি, বিলমোরা ওয়াঘাই এবং মারওয়ার-দেবগড় মাদরিয়া। পরিবেশ বান্ধব ট্রেনগুলির পিছনে কী প্রযুক্তি রয়েছে, তাই একবার দেখে নেওয়া যাক।

হাইড্রোজেন ট্রেন কী?

প্রথাগত ডিজ়েল চালিত ইঞ্জিনের পরিবর্তে হাইড্রোজেন জ্বালানির সেল ব্যবহৃত হবে এই সবুজ ট্রেনগুলিতে। হাইড্রোজেন জ্বালানি সেলগুলি হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনকে রূপান্তর করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, যা পরে ট্রেনের মোটরকে শক্তি যোগাতে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত যেমন বড় ট্রেন দেখে আমরা অভ্যস্ত, এগুলি সেরকম হবে না— বগির সংখ্যা হবে 6 থেকে 7টি। এই ধরনের ট্রেনগুলির গতিও 160 কিমি প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে। গত ডিসেম্বরে বিশ্বের প্রথম হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন চিনে সর্বাধিক 160 কিমি/ঘণ্টা বেগে ছুটতে শুরু করেছে।

হাইড্রোজেন ট্রেনগুলি কার্বন ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড বা পার্টিকুলেট ম্যাটারের মতো ক্ষতিকারক দূষক নির্গত করে না। আর কালো ধোঁয়া নির্গত করে না বলেই ট্রেনগুলি ঐতিহ্যগত ডিজ়েল ট্রেনের তুলনায় তাদের পরিবেশগতভাবে শ্রেষ্ঠ বিকল্প করে তোলে। এই সবুজ ট্রেনগুলির আর একটি সুবিধা হল, বায়ু, সৌর বা হাইড্রো পাওয়ারের মতো রিনিউএবল শক্তির উৎস ব্যবহার করে হাইড্রোজেন তৈরি করতে পারে, যা এই ট্রেনগুলির জন্য জ্বালানি সরবরাহকে পরিষ্কার এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য করে তোলে।

হাইড্রোজেন ট্রেন বিপুল ব্যবহারের প্রতিবন্ধকতা?

হাইড্রোজেন ট্রেনের চালানোর ক্ষেত্রে বিরাট খরচও তাদের ব্যাপক ব্যবহারের জন্য একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখা দিতে পারে। গবেষণা এবং রেটিং সংস্থা ICRA-র তরফে জানানো হয়েছে, গ্রিন হাইড্রোজেন (রিনিউএবেল এনার্জি ব্যবহার করে উৎপাদিত হাইড্রোজেন) প্রতি কেজিতে ভারতে খরচা প্রায় 492 টাকা। ET EnergyWorld-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি ফুয়েল সেল-ভিত্তিক হাইড্রোজেন ইঞ্জিন অপারেট করতে ডিজ়েল চালিত ইঞ্জিনের তুলনায় অন্তত 27% বেশি খরচ হবে।

শুধু তাই নয়। তারপরেও আবার ফুয়েল সেল এবং স্টোরেজেরও অতিরিক্ত খরচ থাকবে। তাই, ধোঁয়াহীন, সবুজ, হাইড্রোজেন ট্রেনগুলি ব্যাপক ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে মানিয়ে নেওয়ার আগে নিরাপত্তার বিষয়গুলোও ভাল ভাবে বিবেচনা করা উচিত।

Next Article