Chat GPT Ban: শিশুমনের ভয়ঙ্কর ক্ষতি, কেন দেশ-বিদেশের স্কুল-কলেজ Chat GPT বন্ধ করতে চাইছে?
Chat GPT Latest News: বর্তমানে Google-কে টেক্কা দিতে বাজারে হাজির এক নতুন সফটওয়্যার। যে কি না মানুষের মতো কথা বলে। যে কোনও কিছু পরিমাপ করা থেকে শুরু করে আপনার সব প্রশ্নের সঠিক উত্তরও দিতে পারে। অবাক হচ্ছেন? টুক করে একবার সেই Google-এ গিয়েই একবার Chat GPT সম্পর্কে সার্চ করে নিন।
Chat GPT In India: বর্তমানে Google-কে টেক্কা দিতে বাজারে হাজির এক নতুন সফটওয়্যার। যে কি না মানুষের মতো কথা বলে। যে কোনও কিছু পরিমাপ করা থেকে শুরু করে আপনার সব প্রশ্নের সঠিক উত্তরও দিতে পারে। অবাক হচ্ছেন? টুক করে একবার সেই Google-এ গিয়েই একবার Chat GPT সম্পর্কে সার্চ করে নিন। Chat GPT আসলে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (Artificial Intelligence) টুল। যে সবকিছু নিখুঁতভাবে জানাতে পারে আপনাকে। কিন্তু একে ‘মুশকিল আসান’-এর অবলম্বন বলে মনে হলেও বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, এই অ্যাপ ব্যবহার করলে শিশুদের যুক্তিবোধ যাবে কমে। তারা নিজে থেকে কিছু ভাবার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। এছাড়াও লক্ষ-লক্ষ কর্মসংস্থানের উপর সঙ্কট নেমে আসতে পারে। আর কী-কী কারণে স্কুল-কলেজগুলি এই অ্য়াপকে বন্ধ করতে চাইছে, তা-ও জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমে জানা যাক ChatGPT কী? এটি কীভাবে কাজ করে?
Chat GPT হল একটি সফটওয়্যার। এর পুরো নাম Generative Pretrained Transformer। আপনি এটিকে একটি আধুনিক NMS (নিউরাল নেটওয়ার্কভিত্তিক মেশিন লার্নিং মডেল) বলতে পারেন। এই সফটওয়্যারটি আপনাকে শুধুমাত্র Google-এর মতো রিয়েল টাইম সার্চ-ই দেয় না বরং আপনার জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নের উত্তরও দেয় খুব স্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট শব্দে। এই সফটওয়্যারটি খুব দ্রুত মানুষের মাঝে জায়গা করে নিচ্ছে। সংস্থার সিইও স্যাম অল্টম্যানের মতে, চ্যাট জিপিটি এক সপ্তাহেরও কম সময়ে এক মিলিয়ন ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছেছে। ওয়ার্ল্ড স্ট্যাটিসটিক্স নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই এক মিলিয়ন ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছতে নেটফ্লিক্সের সময় লেগেছে সাড়ে তিন বছর। যেখানে টুইটারের সময় লেগেছে 2 বছর এবং ফেসবুক সময় নিয়েছে 10 মাস। ইনস্টাগ্রাম 3 মাস এবং স্পটিফাই 5 মাস সময় নিয়েছে। চ্যাট জিপিটি ওপেন এআই-এর সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে। ওপেন এআই হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর একটি গবেষণা সংস্থা, যা 2015 সালে এলন মাস্ক এবং স্যাম অল্টম্যান শুরু করেছিলেন। কিন্তু পরে এলন মাস্ক এই কোম্পানি থেকে আলাদা হয়ে যান। চ্যাট জিপিটি 2022-এর নভেম্বরে চালু হয়েছিল।
শিক্ষার্থীরা কীভাবে এটির সাহায্য নেয়?
—চ্যাটজিপিটি শিক্ষার্থীদের তাদের স্কুলের হোমওয়ার্কে বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করতে পারে। অর্থাৎ কোনও শিক্ষার্থী যদি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণ সম্পর্কে একটি প্রবন্ধ লিখতে চায় এবং তা চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন করে, তবে চ্যাটজিপিটি সঙ্গে-সঙ্গে উত্তর দিয়ে দেবে। —Chat GPTকে প্রশ্ন করলে, সে সেই প্রশ্নের উত্তরের জন্য় প্রয়োজনীয় প্রাসঙ্গিক তথ্যও প্রদান করে এবং শিক্ষার্থীদের হোমওয়ার্কে সহায়তা করতে পারে। এতে শিক্ষার্থীরা আরও ভালভাবে বুঝতে সক্ষম হয়। Chat GPT প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর Google এর চেয়েও দ্রুত এবং সহজে দিতে পারে। যেখানে একদিকে Chat GPT সারা বিশ্বে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে, অন্যদিকে স্কুল-কলেজগুলি এটি নিষিদ্ধ করতে চাইছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এর কারণগুলি।
স্কুল-কলেজগুলি কেন এই Chat GPT নিষিদ্ধ করতে চাইছে?
—Chat GPT অ্যাপের সাহায্যে শিশুদের পড়ানোও শুরু হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। আজকাল শিক্ষার্থীরা Chat GPT ব্যবহার করে তাদের হোমওয়ার্কও লিখছে। অর্থাৎ এতে তাদের নিজে থেকে চিন্তা ভাবনা করে উত্তর লেখার ক্ষমতা চলে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশের উপর খারাপ প্রভাব পড়বে।
এছাড়াও আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে দৈনিক ব্লগ লেখেন। আর আপনার বিষয় সম্পর্কে ChatGPTকে একটি ব্লগ লিখতে বলেন, তাহলে সে কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনাকে একটি ব্লগ লিখে দেবে। আপনি যদি Chat GPT থেকে UPSC-এর কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন, তবে আপনি এটিও কয়েক সেকেন্ডে জানতে পারবেন। অত্যন্ত উন্নত অ্যাপটিকে মানব সভ্যতার জন্য হুমকি বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। আর সেই কারণেই একাধিক স্কুল-কলেজ Chat GPT নিষিদ্ধ করেছে।