চলতি বছর এই দিনের গুরুত্ব নিঃসন্দেহে অনেকটাই বেশি।
ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সোসাইটি ডে। প্রতি বছর ১৭ মে এই বিশেষ দিন পালিত হয় বিশ্বজুড়ে। ১৯৬৯ সাল থেকে পালিত হচ্ছে এই ‘ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সোসাইটি ডে’। মূলত ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন বা আইটিইউ- র প্রতিষ্ঠা এবং প্রথম আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ কনভেনশন স্বাক্ষর (১৮৬৫) হিসাবে এই বিশেষ দিন পালিত হয়।
চলতি বছর এই দিনের গুরুত্ব নিঃসন্দেহে অনেকটাই বেশি। কারণ কোভিড পরিস্থিতিতে টেলি যোগাযোগ এবং সঠিক তথ্য পাওয়া সমাজের জন্য ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা গত একবছর বেশ ভালভাবেই বোঝা গিয়েছে। আজকাল তো বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ কোভিড টেস্টের সেন্টার, কোন হাসপাতালে বেড এবং অক্সিজেনের ব্যবস্থা কেমন, কোথায় ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে… এই সবই জানতে পারেন। অনলাইনেই চিকিৎসকের পরামর্শও নেওয়া সম্ভব হচ্ছে এখন। আমজনতার দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে, টেলিকমিউনিকেশন এবং ইনফরমেশন, এই দু’টি শব্দ।
আইটিইউ- এর সদস্যরাও এই ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছেন। বিভিন্ন কার্যকলাপের মাধ্যমে তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন, ডিজিটাল মাধ্যম সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সোসাইটি ডে পালনের মূল লক্ষ্য হল ইনফরমেশন এবং কমিউনিকেশন টেকনোলজির পাশাপাশি ইন্টারনেটের বিভিন্ন ধরণের ব্যবহার এবং সমাজ ও অর্থনীতিতে তার গুরুত্ব প্রসঙ্গে সাধারণ মানুষকে অবগত করা।
ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন ডে- এই দিনের প্রতিষ্ঠা বা ইন্সটিটিউশন হয়েছিল ১৯৭৩ সালে Malaga-Torremolinos- এর Plenipotentiary কনফারেন্সের মাধ্যমে।
ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন সোসাইটি ডে- ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে ইনফরমেশন সোসাইটির ভিত্তিতে একটি ওয়ার্ল্ড সামিটের আয়োজন করেছিল ইউএন জেনারেল অ্যাসেম্বলি। এরপরই ১৭ মে- কে ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন সোসাইটি ডে হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ইনফরমেশন টেকনোলজির গুরুত্ব বোঝাতেই এই বিশেষ দিন পালন করা হয়। ২০০৬ সালের মার্চ মাসে জেনারেল অ্যাসেম্বলি ঠিক করে যে প্রতি বছর ১৭ মে ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন সোসাইটি ডে পালিত হবে।
২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে ITU Plenipotentiary Conference (Antalya, Turkey) সিদ্ধান্ত নেয় এই দুই বিশেষ দিন একই সঙ্গে ১৭ মে পালন করা হবে।