Communal Harmony: হিন্দু পরিবারের মেয়ে প্রতিমাকে সস্নেহে লালন করছে মুসলিম দম্পতি
হিন্দু বাড়ির মেয়েকে নিজের মেয়ের মতোই কাছে টেনে নিলেন মৌসুমির আব্বু-আম্মি মহম্মদ মমিনুদ্দিন ও লাভলি বেগম। প্রতিমার প্রতি মৌসুমির আব্বু-আম্মি ও পরিবারের বাকি সদস্যের ভালবাসা অভিভূত করেছে তাঁকে।
আলিপুরদুয়ার: ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের জেরে উত্তাল গোটা দেশ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ধরা পড়েছে হিংসার ছবি। ঠিক সেই সময় একটুকরো সম্প্রীতির ছবি উঠে এল আলিপুরদুয়ারে। হিন্দু পরিবারের মেয়ে প্রতিমা দাসকে সস্নেহে লালন করছে এক মুসলিম দম্পতি।
প্রতিমার বাড়ি আলিপুরদুয়ার শহরে। এবছরই উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন তিনি। খেলাধুলোতেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন। থ্রো-বলের কয়েকটি চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। লেখাপড়ার পাশাপাশি রোজগারের চেষ্টায় আলিপুরদুয়ার শহর ছেড়ে রাঙ্গালীবাজনায় আসেন প্রতিমা। সেখানে ফাস্ট ফুডের দোকান খুলেছেন তিনি। অন্নের সংস্থান হলেও বাসস্থানের খোঁজে ছিলেন প্রতিমা দাস। ঠিক সেই সময় সৌভাতৃত্বের হাত বাড়িয়ে দেন মৌসুমি পারভিন। মৌসুমির বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা হয় প্রতিমার।
হিন্দু পরিবারের মেয়ে প্রতিমা দাস। গলায় তাঁর তুলসির মালা। এরকম এক হিন্দু বাড়ির মেয়েকে নিজের মেয়ের মতোই কাছে টেনে নিলেন মৌসুমির আব্বু-আম্মি মহম্মদ মমিনুদ্দিন ও লাভলি বেগম। প্রতিমার প্রতি মৌসুমির আব্বু-আম্মি ও পরিবারের বাকি সদস্যের ভালবাসা অভিভূত করেছে তাঁকে। প্রতিমার নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য তাঁকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছেন মমিনুদ্দিন ও লাভলি। প্রতিমার সৎ পথে উপার্যনের এই চেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তাঁরাও।
গোটা দেশ জুড়ে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে রাঙ্গালীবাজনায় এই সম্প্রীতির ছবি দেখে স্থানিয়রা বলছেন, এটাই আমাদের সাধের বাংলা, গর্বের বাংলা, ঐতিহ্যের বাংলা। যেখানে ধর্মের নামে ভেদাভেদির করে সৌভাতৃত্বে ভাঙ্গণ ধরানো হয়, সেখানে প্রতিমা, মমিনুদ্দিন, লাভলিরা বারবার জাত-পাত-ধর্মের উর্ধ্বে উঠে সেই ফাটল সারিয়ে তোলেন।