Air Pollution in E Vehicles: বিদ্যুৎ চালিত গাড়িতেও বায়ুদূষণ!
অনেকে বিশ্বাস করেন ইলেকট্রিক গাড়ি পরিবেশ দূষণ রুখতে সক্ষম নয়। কারণ এই গাড়িতে ব্যবহৃত ব্যাটারি তৈরি করতে প্রচুর পরিমাণ বায়ু দূষণ হয়। অনেকে মতে,জ্বালানি চালিত গাড়ির তুলনায় ইলেকট্রিক গাড়িতে বায়ুদূষণ এবং শব্দদূষণ থেকেই মুক্তি পাওয়া যায়।
অনেকে বিশ্বাস করেন ইলেকট্রিক গাড়ি পরিবেশ দূষণ রুখতে সক্ষম নয়। কারণ এই গাড়িতে ব্যবহৃত ব্যাটারি তৈরি করতে প্রচুর পরিমাণ বায়ু দূষণ হয়। অনেকে মতে,জ্বালানি চালিত গাড়ির তুলনায় ইলেকট্রিক গাড়িতে বায়ুদূষণ এবং শব্দদূষণ থেকেই মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তবে কি আদৌ ইলেকট্রিক গাড়ি থেকে পরিবেশ দূষণ হয়? ইলেকট্রিক গাড়ি জিরো এমিশন ফ্রি এই কথা পুরোটা সত্যি নয়। ইলেকট্রিক গাড়ির টেলপাইপ থেকে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয় না। কিন্তু গাড়ি তৈরি এবং চার্জ দেওয়ার সময় বায়ুদূষণ হয়। একটি জ্বালানি চালিত গাড়ির থেকে ইলেকট্রিক গাড়ি কম দূষণ করে। কিন্তু ইভি থেকে যে একবারেই দূষণ হবে না তা ভুল। ব্যাটারি চালিত গাড়ি থেকে নির্গত দূষণের একটি বড় উত্স হল লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। এই ব্যাটারি তৈরি করার সময় লিথিয়াম,কোবাল্ট এবং নিকেল সহ ইত্যাদি খনিজ ব্যবহার করা হয়। এই উপাদানগুলিকে খনন করার জন্য জ্বালানির ব্যবহার করতে হয়। টেসলা মডেলে ৮০ kwh ব্যাটারি প্যাক তৈরি করতে ২.৫ থেকে ১৬ মেট্রিক টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়। এই দূষণ জ্বালানি চালিত গাড়ির তুলনায় ৮০% বেশি। যদিও সব গাড়িতে উচ্চ শক্তির ব্যাটারি ব্যবহার করা হয় না। বেশ কিছু গাড়িতে হাইব্রিড সিস্টেম ব্যবহার করে সংস্থাগুলি,যা থেকে পরিবেশ দূষণ তুলনামূলক কম হয়। একটি জ্বালানি চালিত গাড়ি সাধারণ অবস্থায় প্রতি মাইলে ৩৫০ গ্রাম কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন করে। একটি হাইব্রিড এবং প্লাগইন হাইব্রিড গাড়ি ২৬০ গ্রাম কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত করে। সম্পূর্ণ ব্যাটারি চালিত গাড়ি নির্গমন করে ২০০ গ্রাম কার্বন ডাই অক্সাইড।