Antiseptic Cream: বঙ্গ জীবনে কীভাবে অঙ্গ হয়ে উঠল বোরোলিন?

Antiseptic Cream: বঙ্গ জীবনে কীভাবে অঙ্গ হয়ে উঠল বোরোলিন?

rahul Sadhukhan

|

Updated on: Dec 23, 2023 | 4:21 PM

শীত হোক বা গরম, বোরোলিনের জবাব নেই। সেই বোরোলিনের অজানা গল্প জানে আর কটা বাঙালি?

‘শুষ্কতায়, রুক্ষতার-অবসান যদি চান/ ১২ মাস সারা অঙ্গে মেখে নিন- সুরভিত অ্য়ান্টিসেপ্টিক ক্রিম বোরোলিন’

শ্রীবন্তী মজুমদাারের কন্ঠে বোলোনিরে সেই বিজ্ঞাপনী গান বাঙালির কাছে নস্ট্যালজিয়া। আসলে বোরোলিন তো ভীষণভাবে বাঙালির। বাংলার। তাই তো পরে একসময় বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করার সময় প্রয়াত কিংবদন্তী পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ লিখেছিলেন এক ক্য়াচলাইন-‘বঙ্গ জীবনের অঙ্গ’।

‘আত্মনির্ভর ভারত’। এই স্লোগান তো হালের। বহু আগেই বাঙালি আত্মনির্ভরতার শব্দ খুঁজে নিয়েছিল। পথ দেখিয়েছিল বোরোলিন। ব্রিটিশদের অত্যাচার যখন চলছে সারা দেশে, তখনই ‘আত্মনির্ভরতার’প্রতীক হিসেবে উঠে আসা বোরোলিনের। আজ আপনাদের শোনাবো বোরোলিনের গল্প-

১৯২৯ সাল। ব্যবসায়ী গৌরমোহন দত্ত প্রতিষ্ঠা করেন জিডি ফার্মাসিউটিক্যালস। সবুজ রঙের টিউবে একটা ক্রিমের প্যাকেজিং। বিদেশি প্ণ্য যখন ব্রিটিশদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছিল দেশে। বিপ্লবীরা তখন দেশবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছে, বিদেশি পণ্য বর্জনের। ঠিক তখনই বোরোলিনের আবির্ভাব। একেবারে দেশীয়। সেই সময় থেকেই প্রজন্মের পর প্রজন্ম। বছরের পর বছর বঙ্গ জীবনে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে পড়ে বোরোলিন। আসলে জন্মলগ্নে বোরোলিন ছিল এটা ছিল ভারতীয়দের জাতীয়তাবাদের প্রতীক। খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল-

১৯৪৭-এর ১৫ অগস্ট যখন ভারত স্বাধীনতা লাভ করেছিল, সেই সময় বোরোলিনের পক্ষ থেকে প্রায় ১ লক্ষ ক্রিমের টিউব বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছিল।