সিনেমা, ছবি আর চিঠি নিয়ে হুগলিতে মৃণাল সেনের আর্কাইভ
মৃণাল সেনের ব্যবহার্য জিনিসপত্র, বই এবং ওয়ার্কিং স্টিল অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে আগলে রেখেছেন অরিন্দম সাহা সর্দার। একই সঙ্গে বহু চিঠি ও বিরল নথি সংরক্ষণের আধুনিক উপায়ে সংরক্ষিত করছেন তিনি।
মৃণাল সেনের ব্যবহার্য জিনিসপত্র, বই এবং ওয়ার্কিং স্টিল অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে আগলে রেখেছেন অরিন্দম সাহা সর্দার। একই সঙ্গে বহু চিঠি ও বিরল নথি সংরক্ষণের আধুনিক উপায়ে সংরক্ষিত করছেন তিনি। ১৯৮৬-তে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত ‘জেনেসিস’ ছবির কার্ডই হোক বা ‘খারিজ’, ‘পরশুরাম’ বা ‘কলকাতা৭১’ রিলিজের প্রথম দিনের বুকলেট… সবকিছু আর্কাইভাল পেপারের আস্তরণে ঢেকে সুরক্ষিত করেছে টিম জীবনস্মৃতি। আছে অপর্ণা সেনের ‘যুগান্তর’ ছবির সম্পূর্ণ স্ক্রিপ্ট বা বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের ‘উড়োজাহাজ’ ছবির ক্ল্যাপস্টিক। একই সঙ্গে ‘জীবনস্মৃতি’র ডিজিট্যাল আর্কাইভে এই সমস্ত নথি ও পুঁথিগুলো উঠছে। তাই ছাত্রছাত্রী বা গবেষকরা চাইলেই পেতে পারবেন ওই নথিগুলির প্রিন্ট। প্রতি শনি ও রবিবার উত্তরপাড়ার মালিকপাড়ায় দুপুর ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই সংগ্ৰহশালা। চলে আড্ডা, ওয়ার্কশপ বা বিভিন্ন ছোট-ছোট অনুষ্ঠান… সবই বাঙালির স্বর্ণালী অতীতকে সংরক্ষণের জন্য। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি এই সংগ্ৰহশালা ‘জীবনস্মৃতি’। এখানে রবীন্দ্র, নজরুল, বিষ্ণু দে, বারীন ঘোষ, নন্দলাল বসু, বাবা আলাউদ্দিন, প্রেমেন্দ্র মিত্র, দেবব্রত বিশ্বাস, সুবিনয় রায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে সত্যজিৎ রায় আর মৃণাল সেন বিষয়ক বহু নথি সযত্নে সংগ্রহীত হচ্ছে। একই সঙ্গে ‘জীবনস্মৃতি’র ডিজিট্যাল আর্কাইভে এই সমস্ত নথি ও পুঁথিগুলো উঠছে। তাই ছাত্রছাত্রী বা গবেষকরা চাইলেই পেতে পারবেন ওই নথিগুলির প্রিন্ট।