EMI Rules: নো কস্ট ইএমআই-এ বোকা হচ্ছেন না তো?
বেশিরভাগ ই-কমার্স কোম্পানিগুলি গ্রাহকদের কোনও পন্যের দিকে আকৃষ্ট করতে এই নো-কস্ট ইএমআই অফার দিয়ে থাকে। গ্রাহকরাও নো-কস্ট ইএমআই অফার লেখা দেখলেই যেন সেটিকে কেনার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। তবে এই সুবিধা নেওয়ার সময় আপনাকে একটু সজাগ থাকতে হবে।
বেশিরভাগ ই-কমার্স কোম্পানিগুলি গ্রাহকদের কোনও পন্যের দিকে আকৃষ্ট করতে এই নো-কস্ট ইএমআই অফার দিয়ে থাকে।গ্রাহকরাও নো-কস্ট ইএমআই অফার লেখা দেখলেই যেন সেটিকে কেনার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। তাড়াহুড়ো করে অর্ডারও করে ফেলেন। নো কস্ট ইএমআই-এর মাধ্যমে কোনও অতিরিক্ত চার্জ ছাড়াই আপনি মোবাইল, ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা পছন্দের অন্য কোনও দামী জিনিস কিনতে পারেন। অনেক কোম্পানিই এই নো কস্ট ইএমআই অফারও দেয়। এই নো কস্ট ইএমআই-এ আপনাকে কোনও অতিরিক্ত সুদের হার দিতে হয় না। তবে, এগুলির সুবিধা নেওয়ার সময় আপনাকে একটু সজাগ থাকতে হবে। নো কস্ট ইএমআই হল এমন একটি অপশন, যেখানে কোনও সুদ ছাড়াই একাধিক মাসিক কিস্তিতে কোনও জিনিসের দাম মেটাতে পারেন। এই অফারটি অবশ্যই আকর্ষণীয়। কিন্তু নজর রাখতে হবে আপনি যে পণ্যটি কিনতে যাচ্ছেন, সেটির দাম অন্যান্য জায়গার থেকে বাড়িয়ে রাখা নেই তো? সেটির দিকে নজর অবশ্যই রাখতে হবে। এছাড়াও, নো কস্ট ইএমআই-এর ক্ষেত্রে খুব বেশি প্রসেসিং ফি এবং বেশি ডেলিভারি চার্জ থাকছে কি না, সেটির দিকেও নজর রাখুন। নো কস্ট ইএমআই-এর সুযোগ ব্যবহার করার আগে গ্রাহকদের অবশ্যই সাবধানে গোটা বিষয়টি আগে দেখে নিতে হবে। প্রথমে আপনাকে যেটি দেখতে হবে, তা হল আপনাকে প্রসেসিং ফি হিসেবে কত টাকা দিতে হচ্ছে। এর সঙ্গে ব্যাঙ্কের ১৮ শতাংশ জিএসটিও দিতে হবে। কোনও জিনিস কেনার আগে প্রসেসিং ফি, প্রি-ক্লোজার ফি, প্রি-পেমেন্ট পেনাল্টি এবং লেট পেমেন্ট চার্জ সম্পর্কে জেনে রাখা দরকার।