Basirhat News: সরছে অঙ্গনওয়াড়ি, তীব্র প্রতিবাদ

Basirhat News: সরছে অঙ্গনওয়াড়ি, তীব্র প্রতিবাদ

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Moumita Das

Updated on: Jul 13, 2023 | 1:46 PM

বসিরহাটের স্বরূপনগর ব্লকের শাঁড়াপুল-নির্মাণ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের রাঘবকাটি ৩৩৯ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এলাকার প্রসূতি মহিলা থেকে শুরু করে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের সমস্ত রকম পরিষেবা দেওয়ার কাজ করছিল। সদ‍্য মা হওয়া মহিলাদের পাশাপাশি সদ‍্যোজাত থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের পুষ্টিকর খাবার প্রদান করা।

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র স্থানান্তরিত হওয়ার নির্দেশ আসায় ক্ষোভ প্রকাশ সীমান্তের মহিলাদের। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে বহাল রাখার জন্য বদ্ধপরিকর গ্রামের মহিলারা। বসিরহাটের স্বরূপনগর ব্লকের শাঁড়াপুল-নির্মাণ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের রাঘবকাটি ৩৩৯ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এলাকার প্রসূতি মহিলা থেকে শুরু করে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের সমস্ত রকম পরিষেবা দেওয়ার কাজ করছিল। সদ‍্য মা হওয়া মহিলাদের পাশাপাশি সদ‍্যোজাত থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের পুষ্টিকর খাবার প্রদান করা। পাশাপাশি স্কুলে যাওয়ার আগের সমস্ত রকম পড়াশোনার ব্যবস্থাও সেখানে ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে নির্দেশ আসে যে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি এক কিলোমিটার দূরে নলবড়া গ্রামে স্থানান্তরিত করা হবে। তা জানতে পেরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সীমান্তবর্তী গ্রামের প্রায় ৫০ জন মহিলা। তাদের দাবি এখান থেকে এক কিলোমিটার দূরে নলবড়ায় যদি এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চলে যায় তাহলে এখানকার বাচ্চা থেকে শুরু করে প্রসূতি মহিলারা প্রচন্ড সমস্যার মধ্যে পড়বেন। কারণ তাদের এক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সীমান্তের মেন রোড ধরে যাতায়াত করতে হবে। সেখানে চলে ভারি ও বড় যানবাহন। যা যথেষ্টই ঝুঁকিপূর্ণ। তারা চাইছেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি রাঘবকাটিতেই বহাল থাকুক। অপরদিকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দায়িত্ব থাকা সেলিমা খাতুন বলেন, “দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তিনি এই অঙ্গনওয়াড়ি চালিয়ে আসছেন। হঠাৎ করে স্বরূপনগরের চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসারের দপ্তর থেকে নির্দেশ আসে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি এক কিলোমিটার দূরে নলবড়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। যদিও আমার এখানে অঙ্গনওয়াড়ি চালাতে কোন অসুবিধা হচ্ছিল না। তাও কেন কেন্দ্রটিকে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না।” সীমান্তের মহিলারা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাইছেন।