Panchayat Election 2023: ভুতুড়ে ব্যালট!
ভুতুড়ে ব্যালট নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। তাই ফের নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন বানারহাট ব্লকের নাথুয়া এলাকার হেরে যাওয়া বিজেপি প্রার্থী। বানারহাট ব্লকের ১৫/৫৩ নং বুথে পঞ্চায়েতের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিল বিজেপির দীপক সরকার এবং শিখা মন্ডল ( দুজনেই বিজেপির) একজন ১৪ ভোটে হেরেছেন অপর ১৭ ভোটে।
ভুতুড়ে ব্যালট নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। প্রশ্নের মুখে বানারহাট ব্লক প্রশাসন। তাই ফের নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন বানারহাট ব্লকের নাথুয়া এলাকার হেরে যাওয়া বিজেপি প্রার্থী। অভিযোগ, নির্বাচনের দিন চলতি মাসের ৮ তারিখ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ।তারমধ্যে বানারহাট ব্লকের ১৫/৫৩ নং বুথে পঞ্চায়েতের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিল বিজেপির দীপক সরকার এবং শিখা মন্ডল ( দুজনেই বিজেপির) একজন ১৪ ভোটে হেরেছেন অপর ১৭ ভোটে। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তৃনমূলের দান্ডু খরিয়া এবং গিরিবালা মির্ধা। সেই বুথে টোটাল ভোটার সংখ্যা ১৩২০ জন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী সেদিন ভোট পড়েছিল ১০৩৬। সেইমত তাদের হাতে সই করা কাগজও তুলে দেয় প্রিসাইডিং অফিসার।ভোট পড়েছিল ১০৩৬ টি। এই পর্যন্ত সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। তবে ভোট গণনার দিন ভোট বাক্স খুলতে চোখ কপালে উঠে যায় বিরোধী প্রার্থীদের। তাদের অভিযোগ, যে সংখ্যক ভোট পড়েছে তার থেকে ৬৯ টি ব্যালট কম পাওয়া যায় ব্যালট বক্সে । যার কারণেই নির্বাচনে তাদের হার বলেই দাবি বিজেপির।
স্বাভাবিকভাবেই ৬৯ টি ব্যালটের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। ঘটনা নিয়ে সেদিনই গণনা কেন্দ্রে গণনার কাজের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের অভিযোগ জানালেও তার কোন সদুত্তর পাননি তারা। এমনকি পুনরায় গণনা করা হয়নি বলেই অভিযোগ। এরপর বানারহাটের বিডিও কে লিখিত আকারে অভিযোগ জানাতে জানাতে যান। রিকাউন্টিং এর জন্য আবেদন করে হেরে যাওয়া বিজেপি প্রার্থী এবং তার পুলিং এজেন্ট। যদিও অভিযোগ তার APRO এবং বিডিও এবং সেখানে উপস্থিত থাকা প্রিসাইডিং অফিসাররা তার সঠিক কোনো জনাব দিতে পারেনি এবং অভিযোগও গ্রহণ করেনি।ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে গোটা ঘটনা নিয়ে। এমন কি জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী তিনি নিজেও গোটা ঘটনা নিয়ে লিখিত ইমেইল মারফত অভিযোগ জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন এবং জেলাশাসকে। এবারে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে যাচ্ছে বিজেপি।
প্রশ্ন উঠছে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও। ব্যালট কোথায় গেল? তাহলে ব্যালট বক্স খেয়ে ফেললো ব্যালট? নাকি নিজে থেকে গায়েব হয়ে গেলো? এই ভুতুড়ে ব্যালটের এখনো পর্যন্ত হদিস দিতে পারেনি সেদিন গণনায় থাকা আধিকারিকরা। এমনকি বানারহাটের বিডিও তিনি নিজেও জানাতে পারেনি। ভুতুড়ে ব্যালটের হদিস পেতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে যাচ্ছে বিজেপি। অভিযোগকারীদের প্রশ্ন যদি ব্যালট অন্য কোন বাক্সে গিয়ে থাকে পঞ্চায়েত সমিতি ,জেলা পরিষদের তিনটি বক্সে ভোট গণনা হয়েছে। তাহলে ১০৩৬ টি ভোট পোল হলেও পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে যদি ৬৯ টি ভোট কম হয়, তাহলে নিশ্চয়ই সেই ব্যালট অন্য কোথাও জমা পড়েছে। সেটাও কিন্তু দেখতে পারেনি ব্লক প্রশাসন এবং সেদিন গণনার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। এমনটাই দাবি বিজেপির। এইনিয়েই কিন্তু এখন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে বানারহাট এলাকায়।যদিও এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি বানারহাটের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক প্রহ্লাদ বিশ্বাস।