Mexico Blue Hole: মেক্সিকোতে ব্লু হোল রহস্য়!

Mexico Blue Hole: মেক্সিকোতে ব্লু হোল রহস্য়!

TV9 Bangla Digital

| Edited By: সুপ্রিয় ঘোষ

Updated on: Apr 28, 2023 | 6:48 PM

মেক্সিকোর ইউকাটান উপদ্বীপের উপকূলে বিশ্বের দ্বিতীয় গভীরতম ব্লু হোল আবিষ্কৃত হয়েছে। চেতুমাল উপসাগরে এই বিরাট গর্তটি প্রায় ৯০০ ফুট গভীর এবং ১৪৭,০০০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ব্লু হোল হল সমুদ্রের নীচে পাওয়া বড় বিশাল গর্ত,যা উপকূলীয় এলাকায় পাওয়া যায়।

মেক্সিকোর ইউকাটান উপদ্বীপের উপকূলে বিশ্বের দ্বিতীয় গভীরতম ব্লু হোল আবিষ্কৃত হয়েছে। চেতুমাল উপসাগরে এই বিরাট গর্তটি প্রায় ৯০০ ফুট গভীর এবং ১৪৭,০০০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ব্লু হোল হল সমুদ্রের নীচে পাওয়া বড় বিশাল গর্ত,যা উপকূলীয় এলাকায় পাওয়া যায়। সমুদ্রের মাঝে বা কোনও দ্বীপের আশেপাশে দৈত্যাকার রন্ধ্রকে ব্লু হোল বলা হয়। সমুদ্রের স্বাভাবিক গভীরতার চেয়ে এই ব্লু হোল গুলির গভীরতা অনেক বেশি। ব্লু হোলের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত সূর্যালোক পৌঁছয় না। তবুও এতে অনেক প্রবাল,সামুদ্রিক কচ্ছপ এবং হাঙ্গর সহ উদ্ভিদ এবং সামুদ্রিক জীবন রয়েছে। তারা এই পরিবেশের সঙ্গে বেশ ভালভাবেই খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে। আকাশ থেকে সমুদ্রে চোখ রাখলেও আলাদা করে ব্লু হোলের অস্তিত্ব বোঝা যায়। কারণ ওই সামুদ্রিক রন্ধ্রগুলির উপরের জলভাগকে,আশপাশের জলভাগের চেয়ে বেশি নীল দেখায়। বিজ্ঞানীরা তেমনই একটি বিরাট রন্ধ্রের খোঁজ পেলেন,যা বিশ্বের দ্বিতীয় বড় ব্লু হোল। সমুদ্রের জল চুনাপাথরের সঙ্গে মিলিত হলে ব্লু হোল তৈরি হয়। চুনাপাথরে অনেক ছিদ্র থাকে। তাই জল সহজেই পাথরের মধ্যে প্রবেশ করে। জলের রাসায়নিকগুলি চুনাপাথরের সঙ্গে বিক্রিয়া করে এবং এটি ভেঙে যায়। বিশ্বের অনেক ব্লু হোল বরফ যুগে তৈরি হয়েছিল বলে মনে করা হয়। উপকূলীয় অঞ্চলে বারবার বন্যা ও নিষ্কাশনের ফলে শিলা ক্ষয় হয় এবং শূন্যতা তৈরি হয়। তখনও সেই সব হোলগুলি এতটাও গভার ছিল না। কিন্তু পরবর্তীতে সমুদ্রের জলের উচ্চতাও বাড়তে শুরু করে। এই পাথরের কাঠামো জলের নীচে ডুবে যায়। আর তখনই কয়েক জায়গার পাথর ভেঙে সৃষ্টি হয় ব্লু হোল।

Published on: Apr 28, 2023 06:48 PM