Bridge Collapse: জলের তোড়ে ভেসে গেল শালী নদীর সাঁকো, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দুপাড়ের গ্রামগুলি
দুদিনের টানা বৃষ্টিতে এবার ভেসে গেল বাঁশের সাঁকো। গতকাল রাতে প্রবল জলস্রোতে বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের ভগবতীপুর এলাকায় থাকা শালী নদীর উপরের বাঁশের সাঁকো জলের তোড়ে ভেসে যায়। নদী পারাপারের ক্ষেত্রে একমাত্র সাঁকো ভেসে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে শালী নদীর দুপাড়ে থাকা বেশ কয়েকটি গ্রাম।
দুদিনের টানা বৃষ্টিতে এবার ভেসে গেল বাঁশের সাঁকো। গতকাল রাতে প্রবল জলস্রোতে বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের ভগবতীপুর এলাকায় থাকা শালী নদীর উপরের বাঁশের সাঁকো জলের তোড়ে ভেসে যায়। নদী পারাপারের ক্ষেত্রে একমাত্র সাঁকো ভেসে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে শালী নদীর দুপাড়ে থাকা বেশ কয়েকটি গ্রাম। বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের ভগবতীপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে শালী নদী। গ্রামের মানুষকে দৈনন্দিন প্রয়োজনে প্রায় প্রতিদিনই নদীর অপর পাড়ে থাকা গ্রামগুলিতে যাতায়াত করতে হয়। যাতায়াতের সুবিধার জন্য স্থানীয় গ্রাম ষোল আনা ও গ্রাম পঞ্চায়েত সম্মিলিত ভাবে শালী নদীর উপর একটি বাঁশের সাঁকো তৈরী করে। সোমবার রাতে থেকে নিম্নচাপের জেরে ফুঁসতে শুরু করে শালী নদী। জলের প্রবল স্রোতে গতকাল বিকেল থেকেই দুলতে থাকে সাঁকোটি। সাঁকো বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টায় নামেন স্থানীয় মানুষ। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে গতকাল রাতে নদীর জল ভাসিয়ে নিয়ে যায় সাঁকোটিকে। এভাবে সাঁকো ভেসে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ভগবতীপুর গ্রাম ও ওই গ্রামের মানুষেরা। এর ফলে লেখাপড়া থেকে শুরু করে ভগবতীপুর গ্রামের মানুষের জীবন ও জীবিকা ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে দাবী স্থানীয়দের। ইন্দাস ব্লক প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে প্রতি বছরই বর্ষার সময় সাঁকোটি ভেঙে পড়ে। এবারও তেমনটাই হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই জায়গায় স্থায়ী সেতুর জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন স্থায়ী সেতু তৈরীর ব্যাপারে উদ্যোগ নিলে তবেই সমস্যার সমাধান হবে।