Cow Smuggling Case: বছরে ২৪ কোটি! গরু পাচারের টাকা গিয়েছে পুলিশের পকেটেও

Anubrata Mondal News: নিরাপদে গরু পাচারের জন্য 'প্রোটেকশন মানি' দিতে হত অনুব্রত মণ্ডলকে, এমনই বিস্ফোরক তথ্য জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।

Cow Smuggling Case: বছরে ২৪ কোটি! গরু পাচারের টাকা গিয়েছে পুলিশের পকেটেও
| Updated on: Aug 12, 2022 | 6:04 PM

বোলপুর: ঝাড়খণ্ড থেকে গরু যাবে মালদা, মুর্শিদাবাদ। সেখান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে চলে যাবে বাংলাদেশে। মাঝে সেতুবন্ধন করবে বীরভূম। আর এই ‘করিডর’ ব্যবহারের জন্য বছরে দিতে হবে ২৪ কোটি টাকা। এনামুল হকের সঙ্গে এই ‘চুক্তি’ করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। যার লিঙ্কম্যান ছিলেন সায়গল হোসেন। গরু পাচার মামলায় এমনই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে সিবিআই তদন্তে। জিজ্ঞাসাবাদের পর এনামুল হক এবং সায়গল হোসেনের বক্তব্যে মিল পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সিবিআই জানতে পেরেছে, ফোনে কথা বলেই ৩ মাস অন্তর অন্তর ৬ কোটি টাকার লেনদেন হত।

সিবিআই রিপোর্ট অনুযায়ী একাধিক কোম্পানি তৈরি করে এই গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার কারবার চলেছে। নিরাপদে গরু পাচারের জন্য ‘প্রোটেকশন মানি’ দিতে হত অনুব্রত মণ্ডলকে, এমনই বিস্ফোরক তথ্য জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।

২০১৫ সালে গরু পাচারের অবৈধ ‘ব্যবসা’ শুরু করেছিলেন এনামুল হক। ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ২৪ কোটি টাকার ‘প্রোটেকশন মানি’ দেওয়া হয়ে থাকলে, ৫ বছরে টাকার অঙ্কটা দাঁড়ায় একশো কোটিরও বেশি। শুধু কি বীরভূম জেলাধিপতিই কি বখরার ‘নৈবেদ্য’ পেতেন, নাকি কালো টাকা সাদা করার চক্রে কাটমানি নিতেন আরও অনেকে? সিবিআই জানিয়েছে, গরু পাচারের টাকা শুধু নেতারাই নন, পুলিশকর্মী থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ার, প্রতি চেকপোস্টে জনে জনে চলেছে লেনদেন। প্রতি থানায় ডাকের মাধ্যমেই নাকি ভাগ হত বখরার!

Follow Us: