Scrub Typhus: বাড়ছে স্ক্রাব টাইফাস?

Scrub Typhus: বাড়ছে স্ক্রাব টাইফাস?

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Tapasi Dutta

Updated on: Aug 08, 2023 | 3:35 PM

বর্ষাকালে ডেঙ্গি বা স্ক্রাব টাইফাসের মত পতঙ্গ বাহিত রোগ ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে উত্তর দিনাজপুরে। গ্রামাঞ্চলেরই বহু মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। রায়গঞ্জ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অনেকেরই রক্তের নমুনা পরীক্ষায় ধরা পড়ছে যে তারা স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত।

একশো দিনের প্রকল্পের টাকা বন্ধ, তাই বর্ষায় গ্রামে গ্রামে জঙ্গল সাফাইএর কাজও বন্ধ! বর্ষায় গ্রামাঞ্চলে ঝোপঝাড় বাড়ছে, বাড়ছে স্ক্রাব টাইফাসের মত পতঙ্গ বাহিত রোগের উদ্বেগ। এই অবস্থায় পঞ্চায়েতে কর্মরত ভিলেজ রিসোর্স পার্সন (VRP) এবং ভেক্টর কন্ট্রোল টিম (VCT) দের জঙ্গল সাফাইয়ের কাজে লাগানো হল কর্নজোড়ায় জেলা শাসকের বাংলো ও তার দফতর চত্ত্বরে। তবে গ্রামাঞ্চলের আগে জেলা শাসকের বাংলো আর জেলা প্রশাসনিক দফতর চত্ত্বরেই তাদের জঙ্গল সাফাইয়ের কাজে দেখা গেলো, যাতে স্ক্রাব টাইফাসের মত রোগের আশঙ্কাতেই কি প্রশাসনের কর্তারাই? আর গ্রামের সাধারণ মানুষ কি তবে ব্রাত্য? এখন সেই প্রশ্নই উঠছে। যদিও জেলা প্রশাসনিক দফতর চত্ত্বরের পর জেলার সব গ্রামে এই ভিসিটি ও ভিআরপিদের দিয়েই জঞ্জাল সাফাই অভিযান চলবে বলে জেলা প্রশাসনের দাবী। বর্ষাকালে ডেঙ্গি বা স্ক্রাব টাইফাসের মত পতঙ্গ বাহিত রোগ ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে উত্তর দিনাজপুরে। গ্রামাঞ্চলেরই বহু মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। রায়গঞ্জ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অনেকেরই রক্তের নমুনা পরীক্ষায় ধরা পড়ছে যে তারা স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত। কিন্তু বর্ষায় গ্রামাঞ্চলে বাড়ছে ঝোপঝাড়। যা পরিস্কার হচ্ছেনা। কেন্দ্র ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা বন্ধ রাখাতেই শ্রমিকদের জঙ্গল সাফাইয়ের কাজে লাগানো যাচ্ছে না বলে প্রশাসনের দাবী। কিন্তু প্রশাসন ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও এতেই পতঙ্গ বাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এমত অবস্থায় রায়গঞ্জ ব্লকের কমলাবাড়ি-এক গ্রাম পঞ্চায়েতের VRP ও VCT দের দেখা গেলো রায়গঞ্জের কর্নজোড়ায় খোদ জেলা শাসকের দফতর ও তার বাংলো চত্ত্বরে জঙ্গল ও জঞ্জাল সাফাই করতে। আর তাতেই প্রশাসনিক কর্তারাই কি তবে স্ক্রাব টাইফাসের মত পতঙ্গ বাহিত রোগের আশঙ্কা করছেন জন্যেই কি VRP, VCT দের দিয়ে এই পরিচ্ছন্নতার কাজ করাচ্ছেন দ্রুততার সঙ্গে? এই ঘটনায় কিন্তু সেই প্রশ্নই প্রকট হচ্ছে। তবে প্রশাসনের দাবী, ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা বন্ধ হওয়ায় এই মরশুমে অন্যান্ন বছরের মত ১০০ দিনের শ্রমিক দিয়ে জঞ্জাল সাফাই করা যাচ্ছে না বলেই VRP ও VCT দের এই কাজে লাগানো হয়েছে। আর পরবর্তীতে গ্রামগুলিতেও তারাই একাজ করবেন। তবে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা না ভেবে, আগে গ্রাম গুলিতে জঙ্গল সাফাই না করে নিজেরাই যে আতঙ্কিত হয়েছেন, আর তাতেই জেলা শাসকের বাংলো ও তার অফিস চত্ত্বরে এই জঙ্গল পরিস্কার চলছে, এই ঘটনাতেই কিন্তু তা একপ্রকার স্পষ্ট তা বলাই যায়।