Shantanu Banerjee News: শান্তনু জেলে থাকলেও ভোট লুটের আশঙ্কা বাম বিজেপির

Shantanu Banerjee News: শান্তনু জেলে থাকলেও ভোট লুটের আশঙ্কা বাম বিজেপির

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Tapasi Dutta

Updated on: Jun 16, 2023 | 10:18 PM

নেই শান্তনুর দাদাগিরি,নির্বিঘ্নে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিরোধীরা।শান্তনু জেলে থাকলেও ভোট লুটের আশঙ্কা বাম বিজেপির। এক সময়ের বলাগড়ের অনুব্রতর ত্রাস ছড়িয়ে ছিল গোটা জেলা জুড়েই।

নেই শান্তনুর দাদাগিরি, নির্বিঘ্নে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিরোধীরা। শান্তনু জেলে থাকলেও ভোট লুটের আশঙ্কা বাম বিজেপির।এক সময়ের বলাগরের অনুব্রতর ত্রাস ছড়িয়ে ছিল গোটা জেলা জুড়েই।আজ তিনি জেল হেফাজতে, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত শান্তনু ছিলেন ৩৪ নং হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য।বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় জয়লাভ করে হয়েছিলেন স্বাস্থ্য ও জন স্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ।এর পর থেকেই জেলা জুড়ে ছিল তার শাসন।হয়ে উঠেছিলেন হুগলি জেলার বেতাজ বাদশা।
তবে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে শান্তনু জেলে যেতেই একের পর এক কীর্তি ফাঁস হতে শুরু করে তার।কথা বলতে সাহস পান বিরোধীরাও।

১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের ভয় দেখিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন রাজনীতির ময়দানের বাহুবলী শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এমনই অভিযোগ তুলে মুখ খুলেছিলেন বিরোধীরা ।সেই সময় বন্দুক দেখিয়ে জোর করে তার বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছিলেন এবং জিতেছিলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

আজ তিনি জেলে তাই এক প্রকার তার জেলা পরিষদের আসনে নির্বিঘ্নে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিরোধীরা।
তবে শান্তনুর জায়গায় এবারে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন দেবীপ্রসাদ রক্ষিত।

যদিও আসন নম্বরটি পরিবর্তন হয়েছে হুগলি জেলা পরিষদের তিনটি আসন সংখ্যা বারার কারণে।৩৪ নং জেলা পরিষদ এখন পরিবর্তন হয়ে ৩৬ নং জেলা পরিষদ হয়েছে।
তারকেশ্বরের বালিগরী এক ও দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত,রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভনজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এই চার পঞ্চায়েত মিলিয়ে জেলা পরিষদের আসন নম্বর এখন ৩৬।যেটা আগে ছিল ৩৪।

এই আসনটিতে বামেদের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পান্না লাল গায়েন তিনি বলেন গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শান্তনু বাবু ও তার ভৈরব বাহিনী তাদের প্রার্থীকে জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছিলেন তবে এবারে শান্তনু বাবু জেলে আছেন, যদি বাইরে থাকতেন তাহলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো।তবে মনোনয়ন নির্বিঘ্নে জমা দিলেও ভোট লুটের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।প্রশাসন যদি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে কাজ করে বামেদের জয় নিশ্চিত বলে দাবি করেন বাম প্রার্থী পান্না লাল গায়েন।

১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীকেও ভয় দেখিয়ে মনোয়নয়ন প্রত্যাহার করিয়েছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।তবে এবারের বিজেপি প্রার্থী বাপ্পাদিত্য ঘুরুই বলেন তারকেশ্বরের বাবার মাটিকে কলঙ্কিত করেছে শান্তনু,চোর থেকে ডাকতে পরিণত হয়েছিল।মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মানুষ কে ভোট দিতে না দিয়ে আজ জেলে পোচচ্ছে।মনোনয়ন সুষ্ঠ ভাবে জমা দিলেও ভোট লুট হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।তবে তৃণমূল যেভাবে খেলবে বিজেপি ঠিক সেই ভাবেই খেলবে।

অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় দল থেকে বহিষ্কৃত হন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।এবারে এই জেলা পরিষদের আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন দেবী প্রসাদ রক্ষিত।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে দেবী প্রসাদ রক্ষিত বলেন এটা কারো ব্যক্তিগত আসন নয় দল যাকে প্রার্থী করবে সে নির্বাচনে লড়াই করবে।বিরোধীরা অভিযোগ করবেই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পরিপেক্ষিতে ভোট হবে এবং তৃণমুল জয়ী হবে।শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় কলঙ্কিত কি কলঙ্কিত নয় তার বিচার করবে আদালত।তবে কেউ দোষ করলে দল তাকে শাস্তি দেবে তার পাশে থাকবে না। অতএব জয় নিয়ে কোনো চিন্তা নেই উন্নয়ন কে হাতিয়ার করেই জয়লাভ করবে তৃণমূল।