Jalpaiguri News: রাস্তার ধারে অন্য বুফে!
জলপাইগুড়ি শহরে আজ থেকে শুরু হোলো গরীবের বুফে।মাছ মাংস দিয়ে পেট পুরে খাওয়ার পর এক বয়স্ক রিক্সো চালক বলছিলেন প্রতিদিন যদি এভাবে বিনামূল্যে এক বেলা খাবার পেতাম। তবে আর রিক্সো চালাতে হোতো না। আজকের মেনুতে ছিলো লেবু, ভাত, ডাল, পাপর,ডিমের কারি, রুই মাছ, চিকেন কারি, রসগোল্লা , গোলাপ জাম। সাথে ছিলো মিনারেল ওয়াটার।
জলপাইগুড়ি শহরে আজ থেকে শুরু হোলো গরীবের বুফে।এখান থেকে আজ শতাধিক মানুষ নিজেদের পছন্দ মতো খাবার নিজে হাতে বেড়ে নিয়ে খেয়েছেন। মাছ মাংস দিয়ে পেট পুরে খাওয়ার পর এক বয়স্ক রিক্সো চালক বলছিলেন প্রতিদিন যদি এভাবে বিনামূল্যে এক বেলা খাবার পেতাম। তবে আর রিক্সো চালাতে হোতো না। আজকের মেনুতে ছিলো লেবু, ভাত, ডাল, পাপর,ডিমের কারি, রুই মাছ, চিকেন কারি, রসগোল্লা , গোলাপ জাম। সাথে ছিলো মিনারেল ওয়াটার। বিনামূল্যে দশ পদের স্বাদ গ্রহন করে সকলেই দুহাত তুলে আশীর্বাদ করলো গ্রীন জলপাইগুড়ি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মকর্তাদের। শুক্রবার জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অধীনে থাকা সদর হাসপাতালের পাশেই এই অবিনব বুফে লাঞ্চের ব্যাবস্থা করা হয়। যেখানে প্রায় শতাধিক মানুষকে পেট পুরে দুপুরের আহার সারতে দেখা যায়। পেশায় রিক্সা চালক দুলাল সরকার জানালেন আমরা গরীব মানুষ। রিক্সো চালিয়ে সংসার চালাই। আজ বিনামূল্যে দুপুরের খাওয়ার খুব ভালোই খেলাম। শ্যামল রায় নামে এক পথচারী জানালেন তার পরিবারের লোক হাসপাতালে ভর্তী। তিনি ধূপগুড়ি থেকে এসেছেন তাকে দেখতে। এই সংস্থা খুব ভালো কাজ করলো।এতে অসহায় মানুষের খুব সুবিধা হবে। দুলাল চন্দ্র মন্ডল নামে এক বয়স্ক রিস্কো চালক জানালেন তিনিও দুপুরের খাওয়ার খেলেন। তিনি আরও বলেন এখন বয়স হয়েছে। রিক্সো চালাতে খুব কষ্ট হয়।প্রতিদিন যদি অন্তত এক বেলা এইভাবে খাবার পেতাম তবে আর রিক্সো চালাতে হোতো না। গ্রীন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক অংকুর দাস জানান,আজ থেকে তাঁদের ৬৯ নম্বর প্রজেক্ট এর কর্মসূচি হিসেবে গরীবের বুফে শুভারম্ভ হোলো। প্রাথমিক ভাবে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২ দিন চালু থাকবে এই কর্মসূচি।। আগামী দিনে এই কর্মসূচি প্রতিদিন চালানোর লক্ষমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।। সাধারণত রিক্সা চালক,ভ্যান চালক,লেবার শ্রেনীর শ্রমজীবী মানুষের কথা চিন্তা করে এই কর্মসূচি আমরা হাতে নিয়েছি।তিনি আরও বলেন আমরা এতদিন বিভিন্ন যায়গায় প্যাকেট করে খাবার দিতাম। সেখানে কোনও দিন মাছ,কোনও দিন মাংস, কোনও দিন ডিম দিতাম। কিন্তু সকলে সব কিছু খায়না। তাই অনেক সময় তারা খাবার নষ্ট করতেন। এখানে আমরা সবকিছু রেখেছি।নিজে হাতে বেড়ে নিয়ে যার যা ইচ্ছা তাই খাবে। এতে আর খাওয়ার নষ্ট হবেনা। প্রথম দিনেই ব্যাপক সারা। আমরা উৎসাহিত।