বিবর্ণ এই সময়ে হারিয়ে যাবে হালখাতা?

নূর আলম খান বিগত ৫০ বছর ধরে এই দোকান থেকে বিক্রি করছেন ‘দাগ খেরো’, ‘জাবেদা’, ‘খতিয়ান’ রেজিস্টার-সহ বিভিন্ন হিসেবের খাতা। নূর এখন অসুস্থ।

| Updated on: May 11, 2021 | 4:01 PM

বৈঠকখানা বাজারের পাশের এই মহল্লায় তৈরি হয় বাঙালির নববর্ষের হালখাতা। নূর আলম খান বিগত ৫০ বছর ধরে এই দোকান থেকে বিক্রি করছেন ‘দাগ খেরো’, ‘জাবেদা’, ‘খতিয়ান’ রেজিস্টার-সহ বিভিন্ন হিসেবের খাতা। নূর এখন অসুস্থ। আর দোকানে বসতে পারেন না। এখন দোকানের দায়িত্ব তাঁর পুত্র আফরোজ়ের হাতে। গত বছর করোনার প্রকোপে মন্দার মুখ দেখেছে আফরোজের ব্যবসা। ধর্ম নয়, উৎসবই প্রাধান্য পেয়েছে বরাবর বাঙালির নববর্ষে। তাই আফরোজদের ব্র্যাণ্ডের হিসেব খাতার মলাটে এভাবেই উঠে এসেছে সিদ্ধিদাতা গণপতির ছবি। এ বছর বাজারে ভীষণ ভাঁটা। কালীঘাটের মন্দিরের সামনে কোভিডের আগের বছরগুলোতে লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি বিক্রি করতে যে দোকানগুলো বসত, তার ১০ শতাংশ দোকান বসেছে এ বার। এখানে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি। কিন্তু কেনার লোক প্রায় নেই বললেই চলে। তাই ব্যবসায়ীরা রয়েছেন শঙ্কায়। বিবর্ণ এই সময়ে তবে কি হারিয়ে যাবে হালখাতা? তবে কি একটা উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা জীবন ও জীবিকাগুলো হয়ে যাবে ম্রিয়মাণ? কে ধরবে হাল?

 

Follow Us: