Kidney Problems: কেমন জলে সারবে কিডনির অসুখ?
কিডনি আমাদের শরীরে ছাঁকনি হিসেবে শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন পরিশোধন করে। তাই কিডনি যাতে ঠিকভাবে কাজ করতে পারে তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেতে হবে। জল খেলে তবেই কিডনি ঠিকমত পরিস্রুত করতে পারে।
কিডনি আমাদের শরীরে ছাঁকনি হিসেবে শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন পরিশোধন করে। তাই কিডনি যাতে ঠিকভাবে কাজ করতে পারে তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেতে হবে। জল খেলে তবেই কিডনি ঠিকমত পরিস্রুত করতে পারে। চিকিৎসকেরা প্রায়শই পরামর্শ দেন যে ঠান্ডা বা গরম কোনও জলই কিন্তু শরীরের জন্য ভাল নয়। গরমে অনেকেই ফ্রিজ থেকে সরাসরি ঠান্ডা জল বের করে ঢকঢক করে খেয়ে ফেলেন। এতে শরীরের উপর অনেক প্রভাব পড়ে। আবার অনেকেই আছেন যাঁরা খুব গরম জল খান,এতেও কিন্তু অন্ত্রের ক্ষতি হয় । ২০১৩ এ ইরানের একটি গবেষণায় উঠে আসে একটি তথ্য।
১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা জল শরীরের জন্য সবচাইতে ভাল। এই তাপমাত্রার জল খেলে তা শরীরের জন্য ভাল এবং কিডনির কাজ করতেও কোনও রকম সমস্যা হয় না । খেয়াল রাখতে হবে যে কোনও ভাবেই যেন ডিহাইড্রেশন না হয়। গরম কালে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হয় সবচাইতে বেশি।
শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না থাকলে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন ঠিকভাবে বেরোতে পারে না। শরীরে টক্সিন জমতে শুরু করলে কিডনির উপর চাপ তো পড়েই পাশাপাশি কিডনিতে পাথর হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে মূত্রনালীর সংক্রমণ এবং ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনাও কিন্তু বাড়ে। আর জল দিনের পর দিন পরিমাণের তুলনায় কম খেলে কিডনি ফেলিওয়ের সম্ভাবনা থেকে যায়। আর্য়ুবেদ মতে বলা হয় ইষদুষ্ণ জল আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। রোজ সকালে খালিপেটে একগ্লাস ইষদুষ্ণ জল খেলে শরীর টক্সিন মুক্ত হয় কিডনিও ঠিকমত কাজ করে । একজন সুস্থ ব্যক্তির প্রতিদিন ৩-৪ লিটার জল খাওয়া প্রয়োজন। এর থেকে কম জল খেলে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। জল খাওয়ার পরিমাণ নির্ভর করে লিঙ্গ, বয়স এবং পরিবেশের উপর। শরীরের প্রয়োজনেই অনেককে জল কম খেতে হয়। তবে কিডনির সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত জল খাবেন না। সেক্ষেত্রে চিকিৎসক যেমন বলবেন সেই ভাবে মেপে জল খেতে হবে।