Asansol Fraud Case: লুকোতে গিয়ে প্রতারণা!
এলাকায় চলছিল ইডি অভিযান। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রেল কর্মীর বাড়িতে সিবিআই অভিযানের ভুয়ো গল্প ফেঁদে রেলকর্মীর বাড়িতে সর্বস্ব লুঠ করলো প্রতারক। অভিনব প্রতারণার ঘটনার অভিযোগ বৃহস্পতিবার জমা পড়লো চিত্তরঞ্জন থানায়।
এলাকায় চলছিল ইডি অভিযান। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রেল কর্মীর বাড়িতে সিবিআই অভিযানের ভুয়ো গল্প ফেঁদে রেলকর্মীর বাড়িতে সর্বস্ব লুঠ করলো প্রতারক। অভিনব প্রতারণার ঘটনার অভিযোগ বৃহস্পতিবার জমা পড়লো চিত্তরঞ্জন থানায়। চিত্তরঞ্জন লাগোয়া মিহিজামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে বুধবার জোরদার তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল ইডি। আতঙ্ক ছড়িয়েছিল চিত্তরঞ্জন এলাকায়। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চিত্তরঞ্জন রেল শহরে একটি আবাসন থেকে কয়েক লক্ষ টাকার সম্পদ হাতিয়ে নিয়ে পালালো প্রতারক। রেল শহর চিত্তরঞ্জনের ফতেপুর অঞ্চলে ৫৪ নম্বর রোড ২১/এ আবাসনে এই ঘটনা ঘটেছে। ওই আবাসনে থাকেন রেল কর্মী ইয়েলাপ্পা রমণ মূর্তি। তার স্ত্রীর নাম ওয়াই যোগেশ্বরী। তাদের দুই মেয়ের মধ্যে এক মেয়ে কলকাতায় চাকরি করেন। অন্যজন থাকেন শ্বশুরবাড়িতে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই লাখো টাকার সম্পত্তি হাতিয়ে নেয় প্রতারক। জানা গেছে বুধবার দুপুরে লম্বা স্বাস্থ্যবান নীল রঙের জামা পরা এক ব্যক্তি একটি স্কুটিতে হঠাৎ শ্রী মূর্তির আবাসনে হাজির হয়। তিনি যজ্ঞেশ্বরী দেবীকে জানান তার স্বামীর বন্ধু। একই ডিপার্টমেনন্টে কাজ করেন। কারখানায় সিবিআই অভিযান চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে দুইজন কর্মী ধরা পড়েছে। এবার তার স্বামীকেও সিবিআই গ্রেফতার করতে পারে। এক্ষুনি আবাসনেও তারা আসবে। তাই বাড়িতে থাকা ফাইলপত্র, টাকাকড়ি, গয়নাগাটি যা আছে পাশের বাড়িতে সরিয়ে রাখার পরামর্শ দেয় ওই ব্যক্তি। এই সময় যজ্ঞেশ্বরী দেবী তার স্বামীকে ফোন করতে গেলে অজ্ঞাত ব্যক্তি বাধা দিয়ে বলে সমস্ত কল রেকর্ড করছে সিবিআই। তাই ফোন করা যাবে না। তাই পাশের বাড়িতে তাদের বাড়ির জিনিসপত্র যেন রেখে দেয়। যজ্ঞেশ্বরী দেবী জানান মূল্যবান জিনিস রাখার অসুবিধা আছে পাশের বাড়িতে। ওই ব্যক্তি বলে তাকেই সবকিছু দিতে। সিবিআই চলে গেলে সবকিছু ফিরিয়ে দেওয়া হবে। প্রচন্ড আতঙ্কিত হয়ে যজ্ঞেশ্বরী দেবী ঘরে থাকা পাঁচ হাজার টাকা, তিন ভরি সোনার মঙ্গলসূত্র, এক ভরি সোনার চেন, দুটি সোনার কানের দুল, রুপোর বাটি ও স্বামীর আধার কার্ডের কপি পোটলা বেঁধে দিয়ে দেন। হাতে সেসব পাওয়ার পরে দ্রুত চম্পট দেয় অজ্ঞাত ব্যক্তি। এদিকে ঘটনার বিন্দু বিসর্গ না জানা ইয়েলাপ্পা রমণ মূর্তি যখন ডিউটি শেষ করে রাতে বাড়িতে আসেন তখন তিনি জানতে পারেন এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে। বাড়ির সবকিছু লুট হয়ে গেছে। সমস্ত ঘটনা শুনে হতবাক হয়ে যান তিনি।তিনি বিষয়টি লিখিত আকারে চিত্তরঞ্জন থানাকে জানান বৃহস্পতিবার। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ। তবে চিত্তরঞ্জনে এই ধরনের ঘটনা দুবার ঘটলো বলে অভিযোগ।