ED Raid: গত ৬ বছরে শুধু আর্থিক অপরাধের তদন্তেই বিপুল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি, ইকনমিক অফেন্স উইংয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সি

ED: প্রথমেই বলে রাখা দরকার, অভিযুক্ত আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে তাঁর সম্পদ বা টাকায় হাত দেওয়ার অধিকার নেই এজেন্সির। এজেন্সি সেটা হেফাজতে রাখতে পারে, এই পর্যন্তই। অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর দুটো রাস্তা। এক, আর্থিক প্রতারণার ক্ষেত্রে সম্পত্তি নিলাম করে প্রতারিতদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা। এ মাস থেকেই যেমন রোজ ভ্যালির আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। দুই, বাজেয়াপ্ত করা টাকার দাবিদার না থাকলে তা সরকারি কোষাগারে জমা করা।

ED Raid: গত ৬ বছরে শুধু আর্থিক অপরাধের তদন্তেই বিপুল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি, ইকনমিক অফেন্স উইংয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সি
| Updated on: Mar 28, 2024 | 11:50 PM

বাংলা থেকে ইডি-র বাজেয়াপ্ত করা টাকা গরিবদের ফেরত দিতে চান তিনি। এজন্য আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়কে ফোনে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর বেশ জমে উঠছে। ইডি বা অন্য কোনও কেন্দ্রীয় এজেন্সি যেসব টাকা-সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে, সেগুলোর কী হয়? গত ৬ বছরে শুধু আর্থিক অপরাধের তদন্তেই বিপুল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি, ইকনমিক অফেন্স উইংয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বাংলা থেকেই বহু কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় থেকে শেখ শাহজাহান বা নিয়োগ দুর্নীতির অভিযুক্তরা। নেতা-মন্ত্রী কে নেই? প্রধানমন্ত্রীর কথায় সব মিলিয়ে অঙ্কটা ৩ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। ২০১৭ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত সম্পদের পরিমাণ ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি, যা সর্বকালীন রেকর্ড। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং আইনে। শুধু এই আইনেই প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। কেন্দ্র সরকারের তথ্য বলছে ২০১৪ থেকে ২০২৩-এর অক্টোবর পর্যন্ত একা ইডি-ই অস্থায়ীভাবে প্রায় ১ লক্ষ ১৭ হাজার কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে। আর পাকাপাকিভাবে বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। পাকাপাকি বাজেয়াপ্ত করার মানে এই টাকা সরকারের ঘরে ঢুকেছে। বাকি টাকা হয় ফেরত দেওয়া হয়েছে, নয়তো এজেন্সির হেফাজতে রয়েছে। এই বাজেয়াপ্ত করা টাকা ও সম্পত্তির কী হয়? প্রথমেই বলে রাখা দরকার, অভিযুক্ত আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে তাঁর সম্পদ বা টাকায় হাত দেওয়ার অধিকার নেই এজেন্সির। এজেন্সি সেটা হেফাজতে রাখতে পারে, এই পর্যন্তই। অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর দুটো রাস্তা। এক, আর্থিক প্রতারণার ক্ষেত্রে সম্পত্তি নিলাম করে প্রতারিতদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা। এ মাস থেকেই যেমন রোজ ভ্যালির আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। দুই, বাজেয়াপ্ত করা টাকার দাবিদার না থাকলে তা সরকারি কোষাগারে জমা করা। দুটি ক্ষেত্রেই প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ ও জটিল। আর অভিযুক্ত নির্দোষ প্রমাণিত হলে তাঁকে প্রতিটি পাইপয়সা বুঝিয়ে দেওয়ার ভারও এজেন্সিরই। এই জায়গাতেই প্রশ্ন হল প্রধানমন্ত্রী যেভাবে টাকা ফেরতের কথা বলেছেন সেটা কী ভাবে সম্ভব? আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতারিতদের টাকা ফেরানো আর গরীব মানুষকে টাকা দেওয়া। দুটো এক নয়। প্রথমটার সংস্থান আইনে রয়েছে। সেই কারণেই একাধিক ঘটনায় টাকা ফেরত পেয়েছেন প্রতারিতরা। তবে সেই টাকা নির্দিষ্ট কোনও কাজে ব্যবহার করার নজির নেই। আইনি বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন, সেটা করতে হলে নতুন আইন আনতে হতে পারে। সেই কারণেই সম্ভবত নরেন্দ্র মোদী আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছেন।

Follow Us: