Balurghat News: গৃহহীন ২০টি পরিবার!
বৈধ কাগজপত্র না থাকায় গৃহহীন হতে চলেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ডুমইর চক আমোদ কলোনিতে গ্রামের প্রায় কুড়িটি পরিবারের। বালুরঘাট-হিলি রেল লাইন সম্প্রসারণের ফলে জমি অধিগ্রহণ শুরু হতেই মাথায় হাত ডুমইর চক আমোদ কলোনির বাসিন্দাদের।
বৈধ কাগজপত্র না থাকায় গৃহহীন হতে চলেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ডুমইর চক আমোদ কলোনিতে গ্রামের প্রায় কুড়িটি পরিবারের। বালুরঘাট-হিলি রেল লাইন সম্প্রসারণের ফলে জমি অধিগ্রহণ শুরু হতেই মাথায় হাত ডুমইর চক আমোদ কলোনির বাসিন্দাদের। এদিকে বালুরঘাট হিলি রেল প্রকল্পের কারণে ভাঙা পড়তে চলেছে বাড়ি ঘর ও বহু নির্মাণ। যার ফলে বহু পরিবারই গৃহহীণ হতে চলেছে। সেই গৃহহীনকে পরিবারগুলিকে পুর্নবাসনের জন্য বিশেষ কমেটি গঠন করল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। জানা গিয়েছে, বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত ২৯.৭ কিলোমিটার পথে অনেক বাড়ি ঘর ও নির্মাণ পড়ছে। এমনকি স্কুল ও নানা বিল্ডিংয়ের একাংশ পড়ছে। এছাড়াও একটি কলোনীর বেশকিছু বাড়ি ভাঙা পড়তে চলেছে। জেলাপ্রশাসনের বিশেষ পুনর্বাসন কমেটি সেই তালিকায় তৈরির কাজ শুরু করেছে। গৃহহীন পরিবারকে অন্যত্র স্থানান্তরের ব্যবস্থাও করবে বলে জানা গিয়েছে। জেলাপ্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত ২৯.৭ কিলোমিটার পথ এবং ওই পথের জন্য ৩৮৬ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই জমি চিহ্নিতকরণ ও জমির মূল্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছে। এই পথে বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত বেশকিছু বাড়ি ঘর পড়েছে। এছাড়াও অস্থায়ী দোকান ও একটি স্কুলের বিল্ডিং সহ নানা নির্মাণ পড়েছে। সেই নির্মাণগুলি ভেঙে ফেলা হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও অমৃতখন্ডের একটি কলোনীর প্রায় ২০ টি পরিবার রয়েছে। তাদের বৈধ কাগজপত্র নেই। তাদের অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করবে পুনর্বাসন কমেটি। ইতিমধ্যেই পুনর্বাসন কমেটি গঠন হয়েছে। সেই কমেটি সেই তালিকা তৈরি করছে। প্রায় ৫০০ বাড়ি ঘর ও নানা নির্মাণ সেই তালিকায় আসবে বলে প্রশাসন মনে করছে। প্রসঙ্গত, জমিদাতাদের তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে প্রশাসন ও রেল মন্ত্রক। জমিদাতাদের নথি সংগ্রহের কাজ চলছে। নথি সংগ্রহে হলে জমিদাতাদের ক্ষতিপূরণের টাকাও মিলবে। অন্যদিকে, জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রায় ২৯৮ কোটি টাকা লাগবে। তার মধ্যে ২৪৪ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই রেলের তরফে দেওয়া হয়েছে। পুজোর আগেই জমি অধিগ্রহণের কাজের ৯০% শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করছে প্রশাসন। এবিষয়ে বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ডের গ্রামপঞ্চায়েতে চকআমোদকলোনীর বাসিন্দা গোপাল লোহার বলেন, আমার বাড়ির বৈধ কাগজপত্র নেই। দীর্ঘদিন ধরেই আমরা এখানে বসবাস করছি। শুনেছি এই জমির উপর দিয়েই রেল যাবে। যার ফলে আমাদের এই জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবি জানাই। আরেক বাসিন্দা শান্তনা বর্মন বলেন, আমরা এখন খুব সমস্যায় পড়েছি। আমরা এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এই সপ্তাহেই জেলাশাসকের কাছে দ্বারস্থ হব। যাতে আমাদের অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। জমির ভ্যালুয়েশন ও জমির স্ট্রাকচারাল উপর স্ট্রাকচারাল ভ্যালুয়েশন হয়ে গিয়েছে। অনেক বসতবাড়ি পড়েছে। এমনকি স্কুলের বিল্ডিং রয়েছে। সেইগুলি দেখার জন্য পুনর্বাসন কমেটি গঠন করা হয়েছে। যাদের বাড়ি ভাঙা পড়বে, তাদের আবাস প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা কিংবা অন্যত্র স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হবে। জমি অধিগ্রহণের আইন অনুযায়ী মেনেই পুর্নবাসন করা হবে।