North Korea: হিটলারের মতোই কিমের মেয়েদের ঠোঁটে লাল রঙে ঘোর আপত্তি, উত্তর কোরিয়ায় জারি আরেক একুশে আইন

TV9 Bangla Digital | Edited By: আসাদ মল্লিক

May 23, 2024 | 8:54 PM

North Korea: কেউ যদি কিমের স্টাইলে চুল কাটেন তাহলে তাঁকে যেতে হবে শ্রীঘরে। শুধু তাই নয়। ওদেশে সরকার মেয়েদের জন আঠারো রকম আর ছেলেদের জন্য দশ রকম হেয়ারস্টাইল বেঁধে দিয়েছে। তার বাইরে অন্য কোনওভাবে চুল কাটলে আপনিও জেলে যাবেন। সঙ্গে যাবেন নাপিতও।

Follow Us

তাইওয়ানের পড়শি দেশ উত্তর কোরিয়া, কিম-জং-উনের আর লাল রং ভালো লাগছে না। শুনে অবাক হচ্ছেন। ভাবছেন যে কমিউনিস্ট পার্টির পতাকার রংটাই তো লাল। না পতাকার লালে কিমের আপত্তি নেই। কিম-কে অনেকেই এ যুগের হিটলার বলে থাকেন। তো সেই হিটলারের মতোই কিমের মেয়েদের ঠোঁটে লাল রঙে ঘোর আপত্তি। আর তাই উত্তর কোরিয়ায় জারি হয়েছে আরেকটা একুশে আইন। মহিলাদের লাল রঙের লিপস্টিক পড়া নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন সে দেশের সর্বাধিনায়ক। আমি হলফ করে বলতে পারি মহিলারা যাঁরা এখন স্ট্রেট কাট দেখছেন। তাঁরা সকলেই আমার কথা শুনে মনে মনে ভাবছেন যে ভাগ্যিস উত্তর কোরিয়ায় জন্মাইনি। তো এবার বলি কিমের মাথায় হঠাত এই ভূত চাপল কেন। দেখুন সরকারি নির্দেশনামায় তো আর কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি। তবে আয়রন কার্টনের ওপার থেকে যতটুকু খবর আসছে। তাতে জানা গেছে যে কিমের মনে হয়েছে মেয়েদের ঠোঁটের লাল লিপস্টিক ক্যাপিটালিজমের সিম্বল। আর ঠোঁটের লাল রং মহিলাদের আকর্ষণীয় করে তুলছে। এরকম চলতে থাকলে নৈতিক অবক্ষয়ের জেরে দেশ আমার গোল্লায় যাবে। সুতরাং লাল লিপস্টিক বন্ধ। তবে কিমের স্ত্রী-বোন-মেয়ের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে কিনা তা বলতে পারব না। দেখুন উত্তর কোরিয়ায় একুশে আইনের সংখ্যা কম নয়। যেমন ধরুন মেয়েরা টাইট জিনস পড়তে পারেন না। কিম নিজে কালো ট্রেঞ্চ কোট পরেন বলে দেশে আর কারোর কালো ট্রেঞ্চ কোট পরার অধিকার নেই। কেউ যদি কিমের স্টাইলে চুল কাটেন তাহলে তাঁকে যেতে হবে শ্রীঘরে। শুধু তাই নয়। ওদেশে সরকার মেয়েদের জন আঠারো রকম আর ছেলেদের জন্য দশ রকম হেয়ারস্টাইল বেঁধে দিয়েছে। তার বাইরে অন্য কোনওভাবে চুল কাটলে আপনিও জেলে যাবেন। সঙ্গে যাবেন নাপিতও। ৮ জুলাই ও ১৭ ডিসেম্বর উত্তর কোরিয়ায় কোনও সেলিব্রেশন করা যায় না। কারণ এই দু-দিন কিমের বাবা আর ঠাকুরদার মৃত্যুদিন।

ভাবুন, এই দুটো দিনে উত্তর কোরিয়ায় যাঁরা জন্মেছেন। তাঁদের সারা জীবনের জন্য বার্থ ডে সেলিব্রেশন বন্ধ। পাবলিক গ্যাদারিংয়ে গান গাওয়া যায় না। পপ গান শোনা যায় না। কন্ডোম ব্যবহার করা যায় না। আর কত বলব। অদ্ভূতুড়ে কাণ্ড-কারখানার শেষ নেই। দেখুন শুরুতে হিটলারের কথা বলছিলাম। সেই অর্থে বলতে পারি মহিলাদের লাল লিপস্টিক নিয়ে ইতিহাসের শেষ নেই। হিটলার লাল লিপস্টিক পছন্দ করতেন না বলে সেইসময় মার্কিন সেনার মহিলা সদস্যরা লাল লিপস্টিকই ব্যবহার করতেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকায় নারী আন্দোলনের প্রতীক ছিল ঠোঁটের লাল রঙ। হলিউডে সাদা-কালো ছবির পর যখন রঙিন ছবির যুগ এলো। তখন গ্রেটা গার্বো, গ্লোরিয়া সোয়ানসন, মেরিলিন মনরোরা তাঁদের রেড লিপস্টিকে কত পুরুষকে যে মোহিত করেছেন, তার ইয়ত্তা নেই। নিকারাগুয়ায় পুরুষেরা লাল লিপস্টিক পরে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন। কয়েকবছর আগেই ম্যাসিডোনিয়ায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভের সময় পুলিশের ফাইবার গ্লাসের ঢালে চুমু খেয়ে এক মহিলা তাঁর ঠোঁটের লাল চিহ্ন এঁকে দেন। যা প্রতিবাদের আইকনিক ছবি হয়ে গেছে। মধ্যযুগে আবার চার্চ মনে করত যেসব মহিলার ওপর শয়তান ভর করে, তাঁরাই রেড লিপস্টিক পরেন। আজ এই ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে কিমও হয়ত সে কথাই ভাবছেন।

তাইওয়ানের পড়শি দেশ উত্তর কোরিয়া, কিম-জং-উনের আর লাল রং ভালো লাগছে না। শুনে অবাক হচ্ছেন। ভাবছেন যে কমিউনিস্ট পার্টির পতাকার রংটাই তো লাল। না পতাকার লালে কিমের আপত্তি নেই। কিম-কে অনেকেই এ যুগের হিটলার বলে থাকেন। তো সেই হিটলারের মতোই কিমের মেয়েদের ঠোঁটে লাল রঙে ঘোর আপত্তি। আর তাই উত্তর কোরিয়ায় জারি হয়েছে আরেকটা একুশে আইন। মহিলাদের লাল রঙের লিপস্টিক পড়া নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন সে দেশের সর্বাধিনায়ক। আমি হলফ করে বলতে পারি মহিলারা যাঁরা এখন স্ট্রেট কাট দেখছেন। তাঁরা সকলেই আমার কথা শুনে মনে মনে ভাবছেন যে ভাগ্যিস উত্তর কোরিয়ায় জন্মাইনি। তো এবার বলি কিমের মাথায় হঠাত এই ভূত চাপল কেন। দেখুন সরকারি নির্দেশনামায় তো আর কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি। তবে আয়রন কার্টনের ওপার থেকে যতটুকু খবর আসছে। তাতে জানা গেছে যে কিমের মনে হয়েছে মেয়েদের ঠোঁটের লাল লিপস্টিক ক্যাপিটালিজমের সিম্বল। আর ঠোঁটের লাল রং মহিলাদের আকর্ষণীয় করে তুলছে। এরকম চলতে থাকলে নৈতিক অবক্ষয়ের জেরে দেশ আমার গোল্লায় যাবে। সুতরাং লাল লিপস্টিক বন্ধ। তবে কিমের স্ত্রী-বোন-মেয়ের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে কিনা তা বলতে পারব না। দেখুন উত্তর কোরিয়ায় একুশে আইনের সংখ্যা কম নয়। যেমন ধরুন মেয়েরা টাইট জিনস পড়তে পারেন না। কিম নিজে কালো ট্রেঞ্চ কোট পরেন বলে দেশে আর কারোর কালো ট্রেঞ্চ কোট পরার অধিকার নেই। কেউ যদি কিমের স্টাইলে চুল কাটেন তাহলে তাঁকে যেতে হবে শ্রীঘরে। শুধু তাই নয়। ওদেশে সরকার মেয়েদের জন আঠারো রকম আর ছেলেদের জন্য দশ রকম হেয়ারস্টাইল বেঁধে দিয়েছে। তার বাইরে অন্য কোনওভাবে চুল কাটলে আপনিও জেলে যাবেন। সঙ্গে যাবেন নাপিতও। ৮ জুলাই ও ১৭ ডিসেম্বর উত্তর কোরিয়ায় কোনও সেলিব্রেশন করা যায় না। কারণ এই দু-দিন কিমের বাবা আর ঠাকুরদার মৃত্যুদিন।

ভাবুন, এই দুটো দিনে উত্তর কোরিয়ায় যাঁরা জন্মেছেন। তাঁদের সারা জীবনের জন্য বার্থ ডে সেলিব্রেশন বন্ধ। পাবলিক গ্যাদারিংয়ে গান গাওয়া যায় না। পপ গান শোনা যায় না। কন্ডোম ব্যবহার করা যায় না। আর কত বলব। অদ্ভূতুড়ে কাণ্ড-কারখানার শেষ নেই। দেখুন শুরুতে হিটলারের কথা বলছিলাম। সেই অর্থে বলতে পারি মহিলাদের লাল লিপস্টিক নিয়ে ইতিহাসের শেষ নেই। হিটলার লাল লিপস্টিক পছন্দ করতেন না বলে সেইসময় মার্কিন সেনার মহিলা সদস্যরা লাল লিপস্টিকই ব্যবহার করতেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকায় নারী আন্দোলনের প্রতীক ছিল ঠোঁটের লাল রঙ। হলিউডে সাদা-কালো ছবির পর যখন রঙিন ছবির যুগ এলো। তখন গ্রেটা গার্বো, গ্লোরিয়া সোয়ানসন, মেরিলিন মনরোরা তাঁদের রেড লিপস্টিকে কত পুরুষকে যে মোহিত করেছেন, তার ইয়ত্তা নেই। নিকারাগুয়ায় পুরুষেরা লাল লিপস্টিক পরে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন। কয়েকবছর আগেই ম্যাসিডোনিয়ায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভের সময় পুলিশের ফাইবার গ্লাসের ঢালে চুমু খেয়ে এক মহিলা তাঁর ঠোঁটের লাল চিহ্ন এঁকে দেন। যা প্রতিবাদের আইকনিক ছবি হয়ে গেছে। মধ্যযুগে আবার চার্চ মনে করত যেসব মহিলার ওপর শয়তান ভর করে, তাঁরাই রেড লিপস্টিক পরেন। আজ এই ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে কিমও হয়ত সে কথাই ভাবছেন।

Next Video