Gold Nugget Unearthed: পাথরের গায়ে, ১৩কোটি টাকার সোনা!
অস্ট্রেলিয়ার একজন স্বর্ণ খননকারী, মাটির নীচ থেকে বিরাট এক সোনার তাল পেয়েছেন। তাও আবার সাধারণ একটি মাঠ থেকে। এখন প্রশ্ন হল তিনি কীভাবে এই ধারণা পেলেন যে, সেখানে স্বর্ণ মজুত থাকতে পারে?
মাটি বা পাথরে ধাতু খোঁজার জন্য সবার প্রথমে যার প্রয়োজন পড়ে,তা হল মেটাল ডিটেক্টর। যার সাহায্যে সহজেই চাপা পড়ে থাকা যে কোনও জিনিসের সন্ধান পেয়ে যান বিজ্ঞানী ও প্রত্নতত্ত্ববিদরা। অস্ট্রেলিয়ার একজন স্বর্ণ খননকারী মাটির নীচ থেকে বিরাট এক সোনার তাল পেয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ায় এই ব্যক্তি তাঁর মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে একটি মাঠে ধাতু খুঁজছিলেন। সেই সময় মাটিতে পুঁতে রাখা একটি বিশাল পাথর দেখতে পান। কিন্তু মাটি থেকে তুলে আনতেই তিনি দেখেন সেটি আদতেই একটি সোনার খণ্ড। অবাক ব্যপার হল তাঁর কাছে একটি খুব সাধারণ মেটাল ডিটেক্টর ছিল। তারপরেও তিনি সোনার সন্ধান পান। এই ব্যক্তি যে রাজ্যটিতে গিয়েছিলেন সেখানে প্রচুর সোনা মাটির নীচে চাপা রয়েছে। এই কারণে রাজ্যটি ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল’ নামে পরিচিত। সেখানেই তিনি বিরাট একটি সোনার তাল খুঁজে পান। তিনি সেই সোনা মিশ্রিত পাথরটি নিয়ে একটি দোকানে যান। দোকানের মালিক ড্যারেন ক্যাম্প চলতি বছরের ২৭ মার্চ তাঁর ফেসবুক পেজে এই বিষয়ে পোস্ট করেছেন। ক্যাম্প বলেছেন,’লোকটি আমার কাছে একটি সোনার তাল নিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করেছিল যে। তাতে ১০,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার মূল্যের সোনা রয়েছে কি না? আমি বলেছিলাম এক মিলিয়ন ডলার আছে। কারণ এটি খুব ভারী ছিল। ওজন থেকে আমি অনুমান করতে পারেছিলাম যে,এতে প্রচুর পরিমাণে সোনা আছে। কিন্তু শেষে দেখা গিয়েছে,এই পাথরের ওজন ছিল ৪.৬ কেজির বেশি,যার মধ্যে ২.৬ কেজি সোনা পাওয়া গিয়েছে। যার মূল্য ১৬০,০০০ ডলার অর্থাৎ, ১৩.১৫ কোটি টাকা। যা আমি ভাবতেই পারিনি’। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার তালটি ‘ওয়েলকাম স্ট্রেঞ্জার’ নামে পরিচিত। অস্ট্রেলিয়ার খনিতে কাজকরা শ্রমিকরা ১৮৬৯ সালে এটি আবিষ্কার করেছিল। এই পাথরের ওজন ছিল 66 কেজি এবং এর দাম হবে প্রায় ২.৭ মিলিয়ন।