Chinsura Panta Utsab: জানেন, এ বাংলার পান্তা উৎসব?
বুধবার চুঁচুড়া কারবালা সংলগ্ন সংস্থার ভবনে সাড়ম্বরে পালিত হয় উৎসব। জামাই ষষ্ঠীর আগের দিন এই হরেক রকমের মেনু পাত পেরে খেলেন প্রায় ছশো থেকে সাতশো মানুষ। কি ছিলনা মেনুতে। পান্তা ভাত, ডালের বরা, মাছের ডিমের বরা, আলু মাখা, ছ্যাচড়া, কাতলা মাছ ভাজা, পাবদা মাছের ঝাল, মোড়লা মাছের চচ্চড়ি, শুকনো লঙ্কা ভাজা, কাঁচা লঙ্কা, গন্ধরাজ লেবু, পেঁয়াজ, চাটনি, পাঁপড়
প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরেও ধুমধাম করে বর্ষার আহ্বানে পান্তা উৎসবের আয়োজন করল চুঁচুড়া আরোগ্য। বুধবার চুঁচুড়া কারবালা সংলগ্ন সংস্থার ভবনে সাড়ম্বরে পালিত হয় উৎসব। জামাই ষষ্ঠীর আগের দিন এই হরেক রকমের মেনু পাত পেরে খেলেন প্রায় ছশো থেকে সাতশো মানুষ। কি ছিলনা মেনুতে। পান্তা ভাত, ডালের বরা, মাছের ডিমের বরা, আলু মাখা, ছ্যাচড়া, কাতলা মাছ ভাজা, পাবদা মাছের ঝাল, মোড়লা মাছের চচ্চড়ি, শুকনো লঙ্কা ভাজা, কাঁচা লঙ্কা, গন্ধরাজ লেবু, পেঁয়াজ, চাটনি, পাঁপড়। সব শেষে একটা করে গোটা আম ও কাঠাল। সব নিয়ে মোট ১৮ রকমের পদ ছিল সকলের জন্য। উৎসব কে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই চলছিল রান্নার তোড়জোড়। সংস্থার সদস্য ইন্দ্রজিৎ দত্ত জানিয়েছেন, ১১ বছর আগে খুব ছোট করে এই উৎসব শুরু করা হয়েছিল। পড়ে সংস্থার সদস্য এবং স্থানীয় মানুষের উদ্যোগে ধীরে ধীরে উৎসব অন্য মাত্রায় পৌঁছয়। বর্তমানে উৎসব আর চুঁচুড়া শহরের মানুষের মধ্যে আবদ্ধ নেই। প্রসার ঘটেছে সংলগ্ন একাধিক জেলা সহ বহিরাজ্যে। এবছর হায়দ্রাবাদ, ঝাড়খণ্ড থেকে বহু মানুষ এসে উৎসবে যোগ দিয়েছেন। অনেকেই এসেছেন বেহালা, দুর্গাপুর, সহ কলকাতার একাধিক জায়গা থেকে। মূলত বর্ষার আহ্বানে এই উৎসবের উদ্যোগ। বিগত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে ইন্দ্রজিৎ বাবু আশাবাদী উৎসব শেষ হওয়া মাত্রই নামবে বৃষ্টি।