AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

লক্ষ্মী বাবুর আসল দোকান

উত্‍সা হাজরা

|

Updated on: May 10, 2021 | 12:23 PM

Share

বাংলার বাইরে থেকে যাঁরা কলকাতায় আসেন, তাঁরা লক্ষ্মীবাবুর দোকান থেকে গয়না গড়িয়ে নিয়ে যান। এ খুব প্রাচীন প্রথা। আজও বজায় আছে সেই রেওয়াজ। একটা বন্ধ হয়ে যাওয়া দোকানের সামনে এসে থমকে গেলাম।

চৌরঙ্গী এলাকায় গেলে যে কেউ দেখবেন একই নামে একাধিক গয়নার দোকান। লক্ষ্মীবাবুর সোনা রুপার দোকান। কেউ আবার লিখেছেন লক্ষ্মী বাবু কি সোনা চাঁদি কা দুকান। কে এই লক্ষ্মীবাবু? এই চত্বরে মূল খরিদ্দার অবাঙালি জনগোষ্ঠী। বাংলার বাইরে থেকে যাঁরা কলকাতায় আসেন, তাঁরা লক্ষ্মীবাবুর দোকান থেকে গয়না গড়িয়ে নিয়ে যান। এ খুব প্রাচীন প্রথা। আজও বজায় আছে সেই রেওয়াজ। একটা বন্ধ হয়ে যাওয়া দোকানের সামনে এসে থমকে গেলাম। সাইন বোর্ডের লেখা প্রায় ক্ষয়ে গিছে। ফুটপাথের গভীরে ঢুকে যেতে-যেতে একটু উঁকি দিচ্ছে দুটো শব্দ ‘আসলি দুকান’। আঠারোশো শতকের শেষার্ধে শুরু হয় এই দোকান। লক্ষ্মীনারায়ণ সেন অ্য়ান্ড সন্স প্রাইভেট লিমিটেড। দোকানের বর্তমান মালিক রঞ্জন সেনের দাবি, কলকাতার প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিদের মধ্যে প্রাচীনতম তাঁদের প্রতিষ্ঠান। রঞ্জনের দাদুর বাবা ছিলেন লক্ষ্মীনারায়ণ সেন। সেনরা ছিলেন সুতানুটির বাসিন্দা। লাক্ষা ও গালার ব্যবসা ছিল তাঁদের। ফোর্ট উইলিয়াম প্রতিষ্ঠার সময়ে তাঁদের উঠে আসতে হয় এই চৌরঙ্গী অঞ্চলে। ১৭টা দোকান একটাই নাম লক্ষ্মী। এই ভিডিয়োতে আমাদের সঙ্গে সফর করুন অতীত কলকাতার এক অজানার গহীনে।